সুবচন এখন নির্বাসনে’। প্রতিদিন নানান অনিয়ম-অনাচারের খবর শুনে শুনে আমাদের মন আজ ভোঁতা। ইতোমধ্যে সহ্য ক্ষমতা অনেক বেড়েছে। সহজেই আশ্চর্য্য হইনা এখন। তাই বলে এমন কথাও মেনে নিতে হবে যে মাত্র সপ্তম শ্রেণী পাশ করা একজনকে পিএইচডি ডিগ্রী ধরিয়ে দেয়া হয়েছে ! হায় দুর্দিনের পোয়াবারো!
না, এ খবর আমাদের দেশে নয়, ভারতে।
এ থেকে আমাদের জানার বুঝার ও শিা গ্রহনের অনেক কিছুই আছে। এটা মোটেও কুখবর নয়, বরং এটা হল প্রাণ শীতল হবার মত, হতাশায় নিমজ্জিত যুবকদের জন্য অনুপ্রেরনা জাগানিয়া এক খবর। হাঁ, কারো প্রচেষ্টা থাকলে, মানুষের ভালবাসায় নিরহংকার-র্নিলোভ-নিশংঙ্ক চিত্তে কাজ করে গেলে, কি কম লেখা পড়া, কি দরিদ্র, কি অখ্যাত,এসব কোন বাধা নয়, বরং সমাজ ও প্রতিষ্ঠান তাকে ডেকে নিয়ে ডিগ্রী উপহার দেয়(যা হল প্রকৃত ডিগ্রী), রাষ্ট্র যন্ত্র স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়, আর প্রকৃত স্বীকৃতি তো মানুষের কাছে, যাদের উদ্যেশ্যে নিজেকে উৎসর্গ করা হয়, যখন জনতা এই বীরকে বরণ করে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধায়, আর অনুগত সহযোগী হয়ে তাদের নায়ককে আগলে রাখে যরে ধনের মত।
আন্না হাজারের কথা বলছিলাম। সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া, দারিদ্রতার জন্য আর এগুতে পারেন নি, ১৯২৩ সালে জন্ম, জীবিকার তাগিতে শৈশবে ফুল বিক্রেতা, সেনাবাহিনির গাড়ির ড্রাইভার(আমাদের ড্রাইভাররা দেখুন!) হিসাবে চাকুরি, সেখানে নানান অনিয়মের বিরূদ্ধে সোচ্চার, ১৯৬৫ এর যুদ্ধে অংশগ্রহণ,সেখানে অলৈাকিক ভাবে বেঁচে গিয়ে জীবনের মোড় ঘুড়ে যাওয়া, ফলে চাকুরি ইস্তফা দিয়ে জনসেবায় আত্মনিয়োগ, মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের রালিগাঁও কে আদর্শ ও ভারতের সবচেয়ে ধণী গ্রামে পরিনত করা, ১৯৭৫এ এ গ্যম ছিল দরিদ্র পীড়িত এবং মদ-মাফিয়ার স্বর্গরাজ্য,এর পর একে একে সমাজের বিভিন্ন অনিয়মে বিষেশত ভারত ব্যাপি দুর্নিতির বিরূদ্ধে অহিংস অভিজান, এই হল আন্না হাজারের কিছু তথ্য।
আন্না চির কুমার, কোন বাড়ি নেই তার, পেনসনের টাকায় চলেন, যা কিছু সঞ্চয় তা বিলিয়ে দিয়েছেন( আমাদের রাজনীতিবিদরা দেখুন, এ ভাবেও প্রসিদ্ধ হওয়া যায়), শুধু পিএইচডি ডিগ্রী নয়, ১৯৯০ ও ১৯৯২ এ তিনি পেয়েছেন রাষ্ট্রিয় সর্বোচ্চ পুরষ্কার, যথাক্রমে পদ্মশ্রী ও পদ্ম ভূষণ।
অহিংস পথ ই প্রতিবাদ- প্রতিকার ও সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ। সহিংস মার- কাট- ঠেংগাও-ঠুকিয়ে দাও-জ্বালাও- পুড়াও-বদলা নাও এ সবে সমাধান নাই, আর হলেও এটা হবে ক্ষণস্থায়ী। সর্বাগ্রে প্রয়োজন দেশপ্রেম, কোনটা আসল কোনটা মেকী সরল জনতা তা অন্তত বোঝে, আর বুঝলে তখন তারা এগিয়ে আসে ও সমর্থন করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।