আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য একটি দশ সদস্যের সরকার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে দুই ধরনের রূপরেখা নিয়ে চিন্তা করছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। কিন্তু এ দুই রূপরেখার কোনোটির সঙ্গে মিল নেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চিন্তা ভাবনার। কারণ, বিএনপি’র পরিকল্পনায় থাকা দুটি রূপরেখা’ই মূলত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ঘিরেই তৈরি হয়েছে। শুক্রবার রাতে বার্তা২৪ ডটনেটকে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য।
প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা প্রায়ই প্রধান বিরোধী দলের উদ্দেশে বলেন যে, নির্বাচনকালীন সরকার বিষয়ে তারা প্রস্তাব দিক।
এমনটি উল্লেখ করে বিএনপির এই অন্যতম শীর্ষ জানান, নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ছোট মন্ত্রিসভার সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পর এখন বিএনপি চেয়ারপারসন তার দলের পক্ষ থেকে দুটি রূপরেখা প্রায় চূড়ান্ত করেছে এনেছেন। রমজানের ঈদের পর খালেদা জিয়া এখান থেকে যেকোনো একটি কিংবা দুটোই বিকল্প আকারে প্রস্তাব আকার উপস্থাপন করবেন।
জানা গেছে, দুটি রূপরেখার ক্ষেত্রেই সরকারের প্রধান করার প্রস্তাব দেয়া হবে সুপ্রিম কোর্টের কোনো অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে।
সরকারের অন্য সদস্যদের ব্যাপারে দলটির প্রথম রূপরেখায় সুপ্রিম কোর্টের সাবেক দশজন বিচারককে নিয়ে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা আছে।
দ্বিতীয় রূপরেখাটিতে দশজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম সুপারিশ করা হবে সরকারের সদস্য হিসেবে।
সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র দুই দলের পক্ষ থেকে পাঁচজন করে এমন বিশিষ্ট ব্যক্তিতে নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব করা হবে, যাদের কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
স্পষ্টতই, এই দুটি রূপরেখার একটির সঙ্গেও মিল নেই সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বলা ‘ছোট্ট সরকারে’র (স্মল গভর্নমেন্ট)। বিবিসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এমন নির্বাচনকালীন সরকারের ছোট্ট মন্ত্রিসভায় বিএনপি’ও চাইলে প্রতিনিধি পাঠাতে পারে বলে জানান। তবে নিজেদের বিবেচনায় থাকা দুই রূপরেখার বাইরে এমন প্রস্তাবকে বিএনপি প্রত্যাখান করে আসছে।
জানা গেছে, ঈদ নাগাদ এই রূপরেখা প্রস্তাব চূড়ান্ত করবার পাশাপাশি- আওয়ামী লীগ এ রূপরেখার বিষয়ে আলোচনায় না এলে নিজেদের দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতিও নিয়ে রাখছে বিরোধী দল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।