চলতি মাসের (নভেম্বর ২০১৩) গেল সপ্তাহে দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত এমআরসি-মুড লিমিটেডের এক জরিপ প্রতিবেদনে জনপ্রিয়তায় বিএনপির চেয়ে আওয়ামী লীগের এগিয়ে থাকার বিষয়টি আমাদের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ‘আজ ভোট হলে, কোন দলকে ভোট দিবেন?’ এই প্রশ্নের জবাবে সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছে ৩৯ দশমিক ৬ শতাংশ; সেখানে বিরোধী দল বিএনপিকে ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ ভোট দিতে দেখা গেছে। অন্যদিকে বিএনপির শরিক জামায়াতের সমর্থন ১ দশমিক ৪ শতাংশ নিয়ে তলানিতে ঠেকেছে। পক্ষান্তরে মহাজোটের অংশ জাতীয় পার্টির সমর্থন রয়েছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। যে কোনো বিবেচনায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট যে এগিয়ে আছে এটাই বাস্তবতা।
তবে ২২ দশমিক ৪ শতাংশ ভোটার এখনো দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছেন। এই জরিপটি পরিচালিত হয়েছিল অক্টোবর (২০১৩) মাসের মাঝামাঝিতে। সেদিক থেকে অক্টোবর জুড়ে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও হরতালের নামে অরাজকতা সাধারণ জনগণকে তাদের প্রতি বিরূপ করেছে এটাই স্বাভাবিক। অপরদিকে মহাজোট সরকার সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এটাও জনগণের দৃষ্টিতে প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে। মধ্য নভেম্বর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্মরণীয় কিছু ঘটনা ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করেছেন। পরদিন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিরোধী দলের নেত্রী খালেদা জিয়া সাক্ষাৎ করে আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নিতে বলে তাদের প্রত্যাশার কথা বলেছেন। পরের দিন রাষ্ট্রপতি নতুন মন্ত্রীদের শপথ পাঠ করিয়েছেন। দেখা যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত কোনো দিক থেকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করেনি বলেই বারবার তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না। বরং সর্বদলীয় সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দশম জাতীয় নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন।
বারংবার বিএনপিসহ বিরোধী দলের হুমকি আর একটানা হরতাল মোকাবেলা করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য তাঁর এই উদ্যোগ দেশ-বিদেশে প্রশংসা অর্জন করেছে। আগামী নতুন বছরের শুরুতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করে সরকার গঠিত হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে আমরা মনে করি। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের রায়ে আস্থাশীল। তিনি জনসাধারণের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে বদ্ধপরিকর। এজন্যই তাঁর সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রচেষ্টা।
২১ নভেম্বর (২০১৩) শুরু হলো সর্বদলীয় সরকারের নতুন পথ পরিক্রমা।
নির্বাচনকালে বিশ্বের অন্যান্য সংসদীয় গণতন্ত্রে নির্বাচিত সরকার থাকে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেই সরকার তাদের সকল প্রকার সহযোগিতা করে থাকে। নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রশাসন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র এবং আইন ও বিচার বিভাগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে থাকায় বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা ও অরাজকতা মোকাবেলা সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করি।
কারণ ২০০১ সালের ১ অক্টোবরে বিএনপি-জামায়াত জোট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর দেশের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্মম অত্যাচার-নির্যাতন শুরু হয়। সে সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি লতিফুর রহমান একাধিকবার পুলিশকে নির্দেশ দিলেও তাঁর নির্দেশ কেউ মান্য করেনি। বরং তাঁকে উপেক্ষা করে পুলিশ প্রশাসন বিএনপি-জামায়াত জোটের পক্ষে কাজ করেছিল। আর বিএনপি-জামায়াতের অত্যাচারে বিহ্বল-অসহায় ও দিশেহারা এবং নির্যাতিত জনগোষ্ঠী তখন পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। এদিক থেকে আগামী নির্বাচনে জামায়াত-বিএনপি জোট জয়ী হলে যেন সেই পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ওই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলো থাকার যৌক্তিকতা রয়েছে।
আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকার জন্য প্রস্তুত আছে। কিন্তু ভয় আছে বিএনপি-জামায়াতের রক্তগঙ্গা বয়ে দেবার অভিপ্রায় সম্পর্কে। ২২ নভেম্বর (২০১৩) জামায়াত সারাদেশে আগুন জ্বালানোর যে হুমকি দিয়েছে তাতেই তাদের ভবিষ্যৎ উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়েছে। আগামী নির্বাচনে জনগণ তাদের জয়ী করে আনবে কি? বিরোধী দল অন্যায় কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে বৈতরণী পার হয়ে ক্ষমতায় যেতে চাইছে। জাতিকে রুখে দাঁড়াতে হবে শীঘ্রই।
কেউ কেউ শেখ হাসিনা গঠিত সর্বদলীয় সরকারে জাতীয় পার্টির ছয়জন নেতার মন্ত্রিত্ব পাওয়াকে সহ্য করতে পারছেন না। সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল এরশাদের অতীতের বিভিন্ন কর্মকা-কে তুলে ধরে কুৎসা রটনায় মেতে উঠেছেন অনেকেই। যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক জামায়াত-বিএনপির চেয়ে এরশাদের জাতীয় পার্টি অনেক নিরাপদ। যদিও দলটি হেফাজতে ইসলামকে সমর্থন জানিয়ে গেছে তবু আমরা মনে করি তাদের আদর্শগত একটা ভিত আছে। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের আদর্শকে বিরোধিতার পরিবর্তে লালন করার অঙ্গীকারে স্থিত।
মনে রাখা দরকার আওয়ামী লীগ এখনো পর্যন্ত একটি আদর্শভিত্তিক দল পরিচালনা করে। শেখ হাসিনা নীতিবান রাজনীতিবিদদের পছন্দ করেন। আর নীতিবানরা কখনো স্বেচ্ছাচারী ও কূটকৌশলী হন না। রাষ্ট্র পরিচালনায় এখনো ন্যায়নীতির প্রচলন রয়েছে। অসহায় মানুষের জন্য দাঁড়াবার জায়গা আছে।
আর সেই জায়গাটা তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৯১ সালে ক্ষমতা এসে বিএনপি সংসদকে পাশ কাটিয়ে নির্বিচারে অনেক অধ্যাদেশ ও আদেশ জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। তারা ছিল স্বেচ্ছাচারী। তাদের স্বেচ্ছাচারিতা বারবার সংবিধান লংঘন এবং জনগণের সঙ্গে তামাশা করেছে। ২০০১ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে তারা নোংরা রাজনীতিতে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে।
জঙ্গিবাদ তাদের প্রত্যক্ষ মদদ পেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ২১ আগস্ট (২০০৪)-এ গ্রেনেড ছুঁড়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনার মধ্যে তাদের সেই বীভৎস মুখগুলো খুঁজে পাওয়া যায়। ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে সংবিধান ও গণতন্ত্রের পরিচর্চায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছিল বলেই আজ তারই ধারাবাহিকতায় সর্বদলীয় সরকার গঠিত হয়েছে। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার সংকল্প জাতিকে জানানো হয়েছে। গঠিত হয়েছে শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন।
২০ নভেম্বর (২০১৩) ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। দিনটিতে নবম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির ইতিহাসকে সঠিক নিশানায় পরিচালনা করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আলোচিত সেই ভাষণে তিনি দীপ্ত কণ্ঠস্বরে বলেছেন, বাংলার মাটিতে সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবেই। নির্বাচন বানচাল করার ক্ষমতা কারো থাকবে না এবং নেই। আমরা গণতান্ত্রিক যে যাত্রা শুরু করেছি, আমি আশা করছি আগামী নির্বাচনের পরে এই যাত্রা আরো মজবুত হবে।
আমি রাষ্ট্রপতির সাথে দেখা করেছি। তিনি আমাকে নির্বাচন পর্যন্ত সরকার পরিচালনা করার জন্য অনুমতি দিয়েছেন। ’ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার আন্তরিকতার দৃষ্টান্ত রয়েছে নিচের কথাগুলোতে-
ক. আমি স্পষ্টভাষায় বলতে চাই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার কোনো মৌলিক ও নির্বাহী সিদ্ধান্ত নিবে না। নির্বাচনকালে নির্বাচন কমিশনের হাতে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো থাকবে। সরকার শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনায় তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিবে।
তাছাড়া সরকার দৈনন্দিন কাজ করবে। এর বাইরে সরকার কিছুই করবে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও শক্তিশালী। নির্বাচন কমিশনকে আর্থিকভাবে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। ছবিসহ ভোটার তালিকা ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে নির্বাচন হবে।
এখন আর ভোট চুরির কোনো সুযোগ নেই। তাছাড়া ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসার নিয়তও আমাদের সরকারের নেই। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি কখনো আওয়ামী লীগের ছিল না। ভবিষ্যতেও থাকবে না।
খ. সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
আমাদের সরকারের সময় পাঁচ হাজার ৮২৮টি নির্বাচন হয়েছে। বিরোধী দল একটি নির্বাচন নিয়েও কোনো অভিযোগ করতে পারেনি। সকল নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে হয়েছে। তার একমাত্র উদাহরণ যে বিরোধী দলের মেয়র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। এসব নির্বাচনে ৬৪ হাজার ৬০ জন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন।
গ. নির্বাচন করবে স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। সরকার নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। জনগণ যাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে তারাই সরকার গঠন করবে। বিরোধী দলীয় নেতার যদি আত্মবিশ্বাস থাকে যে তিনি নির্বাচনে বিজয়ী হবেন, আমি মনে করি তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
কারণ আমাদের হাত দিয়ে নির্বাচনে কোনো কারচুপি হতে পারে না। আর এর প্রমাণ তো বিরোধী দল ও দেশবাসী দেখেছে।
ঘ. আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাদেরকে নির্বাচিত করবে তারাই সরকার গঠন করে সংসদে এসে বক্তব্য রাখবেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। দেশবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। ভবিষ্যতে অসাংবিধানিকভাবে আর কেউ যাতে ক্ষমতা নিতে না পারে এবং জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে তা নিশ্চিত হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। সাংবিধানিক ধারা থাকবে অব্যাহত। এটি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই প্রয়োজন।
শেখ হাসিনার বক্তব্য থেকে আমরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি।
কারণ তাঁর একান্ত প্রত্যাশা শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০০১ সালে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল। পক্ষান্তরে বিএনপি যখন ক্ষমতায় গিয়েছে- মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তারা চক্রান্ত করেছে সরকারে টিকে থাকার জন্য। এটাই জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক। দেশে শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা বজায় রাখার জন্য শেখ হাসিনার উদ্যোগই জনগণের মুক্তির সনদ।
কারণ বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ আবারো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের দেশে পরিণত হবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানে লুটপাট। বিএনপির দুই গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন। অন্যদিকে নৌকায় ভোট দিলে দেশবাসী উন্নতি, সমৃদ্ধি, প্রগতি ও শান্তি পাবে। নৌকা এদেশ স্বাধীন করেছে।
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার দৃঢ় অঙ্গীকার রয়েছে একমাত্র আওয়ামী লীগেরই।
মূলত পঁচাত্তরের পর ৩৮ বছরে বাংলাদেশের মানুষ একটিবারের জন্যও শান্তিতে নির্বাচন করতে পারেনি। প্রতিটি নির্বাচনে প্রতারণা ও গ-গোল হয়েছে। গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনেকের জীবন দিতে হয়েছে। জেনারেল জিয়াউর রহমানের সময় দেশে ১৯টি ক্যু হয়।
আর এর মাধ্যমে অনেক সেনা কর্মকর্তাকে জীবন দিতে হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। গণতন্ত্রকে ধরে রাখার জন্যই সর্বদলীয় সরকার গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এখানে চালের দাম অল্প।
মানুষের উপার্জন অনেক। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পোশাক শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে। ২৬ হাজার দুইশ প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হয়েছেন শেখ হাসিনা সরকার। রাজধানীর যানজট দূর করতে একাধিক ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে এবং একাধিক ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
জাতীয়করণও করা হয়েছে অনেক স্কুল-কলেজ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন বিশ্বের যে কোনো উন্নত দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করা হয়। এই তুলনার কৃতিত্ব সম্পূর্ণরূপে শেখ হাসিনারই অর্জন। কারণ জাতির জন্য মঙ্গলজনক একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের কৃতিত্বও তাঁর। সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার সাফল্য কামনা করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।