জীবনের জন্যই এই সব কথামালা
১.
বলো ভালো আছি। ভালো থাকে রোদ কড়াই উপচানো দিন
বলো ভালো আছি। ভালো থাকে হাহাকার জনমানব বিহীন
বলো ভালো আছি। ঈশানে চোখ রেখে বিমর্ষ জীবন মুয়াজ্জিন
বলো ভালো আছি। ভিক্ষাপাত্রে বিশ্বাস ঠাই বসে রাত দিন
বলো ভালো আছি।
ছায়া ভস্মে ধুয়ে যায় চোখ ক্লান্তি বিহীন।
২.
আমার ঝুল বারান্দায় ক্রমাগত খিস্তি করে অস্তগামী রোদ
বৈকালিক আকাশে ক্লান্ত মেঘ এসে ফিরে যায় বিপরীত।
আমি আড়মোড় ভেঙ্গে স্বপ্ন দেখি দীর্ঘায়িত আলোকের -
দুহাত এগিয়ে যাওয়ার সিড়ি আজো কাটা পড়ে ছায়ার ভাজে
আমি জেগে উঠি বড্ড অবেলায়, সময়যন্ত্রের নিকাশকালে। ।
৩.
ফলবান বৃক্ষ হয়ে স্থির দাঁড়িয়ে থাকার দিন শেষ।
শেষ হয়ে গেছে কাটার আঘাত সয়ে ফুল দেবার
মহত্বগাথার একটি একটি দিন,
দূর্মুখেরা যাই বলুক, গোল হজম করায় কৃতিত্ব নেই
ভঙ্গুর জেনেও তড়িঘড়ি এগোনোই প্রকৃত জীবন।
পরাজিতদের পরিচয় চিরকালই হেরে যাওয়া কেউ
মহানুভবতা হিসেব করেনা অগ্রবর্তী পৃষ্ঠাবলি।
দুচোখ বন্ধ হয়ে এলে তৃতীয় চোখে দেখো বদল
সূর্যের শক্তি নিয়ে যায় পশ্চাদভাবহীন অগ্রজ দল
উদারতা লুকিয়ে এগিয়ে যাও নির্ভয়, অসংকোচে। ।
৪.
ঘোর অন্ধকার টা ক্ষণে ক্ষণে সংজ্ঞা বদলায়।
কখনো দুঃখ লুকোনিয়া সুখ, পরক্ষনেই মাত্রাতিরিক্ত ঘোর রাত।
অন্ধকারে সব ডুবে যায়, আমার কৃষ্ণকায় দেহ, আমি।
নিজেকেই বড্ড অচেনা আর ভয়ঙ্কর ঠেকে মুহুর্তে।
অন্ধকারে উঠোন হারায় জমে উঠা অনুনয় বিশাল,
পতিত আমি ভয়ঙ্কর শূন্যতায় আতকে উঠি অন্ধকার বিম্বে। ।
মহামান্য অন্ধকারপতি, আমাকে দাও পতিত জীবনে একটু বোধ। ।
৫.
ক্ষণকাল ঘনিয়ে এলে ফিরে যাও প্রাচীন
বুকের নরম পৃষ্ঠে অবিরাম ডাকো অচিন
ভাঙা জানালায় সবুজ খায় সব কৃত্রিম
চিনচিনে ব্যথায় জাগ্রত সেই নাড়ির দিন।
চলে এসো গল্প বুনার অবিশ্বাস্য বিকেলে
তাল পাতার বাশি শুনবো সূর্য্য ডুব দিলে
জীবনের পাঠে বৃষ্টি নামুক উঠোনের বুক
নিঃশ্বাসের গানে মেতে উঠুক এক ভাবুক।
শ্যাওলা জমে গেলে দিনযাপনের তহবিলে
জন্মটানে ফিরে চল মানুষ ধুলোর মিছিলে
গল্পভাসি তারার ঠিকানাগুনে কাটাও রাত
মেঠো পথে অঙ্ক টানো মিলুক ধারাপাত।
।
(শৈশব -৩)
৬.
নিঃসংগ রাত্রি জানে উজবুক কবিদের রাত্রি জাগার প্রয়োজনীয়তা।
মুঠোয় মুঠোয় বিষাদ বিলিয়ে যায় যারা, প্রকৃত বন্ধু এই অন্ধকারের।
টলমলে জল থেকে চাঁদের আলো সরে গেলে তুমিও বুঝবে আনন্দপূজারী,
এ পৃথিবী বিষাদের শস্যক্ষেত্র; আমাদের যা কিছু আনন্দ সবই মেকি।
৭.
সুখ প্রতারণা করে গেল, জানার পর কেমন করে মানুষ?
হু হু করে বুকে রাখে সহস্র মৃত্যুর উপকরণ।
কেমন করে দিন কাটায় নিয়ত যে মানুষের সাহচর্য হীন?
তার বুকে বাসা বাধে কবরের ওম সমেত রাত্রি দিন।
যে মানুষ জানে তার পৃথিবী ভ্রমন ঈশ্বরের ভুল সিদ্ধান্তে?
পৃথিবী পরিভ্রমন হয়ে ওঠে জাহান্নামের বিভিষাতিরিক্ত।
যে মানুষ জানে ভুল করে সে মানুষ, থাকে মানুষ বিহীন
আরেকটিবার সৃষ্টির অপার কৃপায় শুকনো দুচোখ রাখে-
পাখি হয়ে পরিভ্রমনের, দূর্বা ঘাস হয়ে জলরোদ খেলার।
ভুল মানুষ জানে, উড়তে জানা পাখিদের জন্ম নির্ভুল।
সকাল স্নাত সবুজ ঘাসের জন্ম উপচে পড়া আনন্দের।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।