রাত তার চাদরটাকে আরো বিছিয়ে দিচ্ছে সময়ের ওপর। একেবারে নিশ্চুপ চারিদিক। এখানে এদেশীয়রা অনেক আগেই খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আমরা বাঙ্গালীরা একটু রাত করেই শুই। আর আমি? আমি তো ঘুমালেও জেগেই থাকি।
আমার মাথার ভেতরে এক দুষ্টু বালিকা শুধু ছুটোছুটি করে। এত্তো জ্বালাতন করে মেয়েটা! এই যে দ্যাখো, বললাম, আর অমনি সে হেসে দিলো। আর আমাকে দিলো একেবারে পাগল করে। এই হাসি দেখলে আমি কি আর কিছু করতে পারি? এই যে মেয়ে, তোমার চপলতা, চঞ্চলতা আমাকে কিভাবে জড়িয়ে রেখেছে জানো? থাক, সব কিছু জানতে হয়না। বুঝে নিতে হয়।
জানালার পর্দা সরালেই আকাশটা দেখা যায়। আজ আকাশে অনেক অনেক তারা। কি শিহরণ জাগালে তুমি? এইসব ডি এন এ, আর এন এ এর মধ্যেও শুধু তুমি, তুমি, তুমি। তোমার হাসিমাখা মুখ আর তোমার ভালোবাসা আমাকে ডি এন এ এর ডাবল হেলিক্স এর মত জড়িয়ে রেখেছে। খুব মনে পড়ে তোমাকে যখন তোমাকে রেডিয়েশন ফিজিক্স বোঝাচ্ছিলাম, তুমি এত অস্থির হয়ে যেতে একটা কিছু না বুঝলেই।
খুব বেশী আদর লাগত তোমাকে তখন। মনে হত, আমার এই সুন্দর ভালোবাসার পরীটা আসলে একটা ছোট্টো মেয়ে। আর তুমি শুধু সুযোগ খুঁজতে ফাঁকি দেবার। কতরকম বাহানা। ইস্ , কি ঢঙ্গু করে আমাকে বলতে, " থাক না আজকে।
আরেকদিন পড়ি, কি হয়? চলোনা, আজকে সাথিয়া দেখি ডিভিডি তে। " আমি মনে মনে হাসতাম, তবে উপরে খুব সিরিয়াস একটা ভাব নিয়ে তো থাকতেই হত। পারতাম কই? তোমার ভালোবাসার প্লাবনে দু'জনেই একেবারে ভেসে ভেসে সাতসমুদ্দুর পার হয়ে কোথায় হারাতাম। তুমি তো সবসময় বল, "চলোনা, দু'জনে হারাই, অন্যকোথাও, অন্য কোনোখানে। যেখানে শুধু তুমি আর আমি।
আর থাকবে হরিণ। হরিণকে পাতা খাওয়াবো আমরা। ডাক দিলেই হরিণ গুলো আমাদের কাছে চলে আসবে। " তখন আমি বলতাম, "ভালোই তো। তোমাকে তাহলে আমি যখন তখন আমার চুম দিয়ে মালা পরাতে পারবো"।
তুমি বলতে, "ইস্, তুমি না... হরিণ রা থাকবেনা? ওরা ঠিক ই বুঝবে। " বুঝলে বুঝুক না। আমি ই তো,তাইনা?
রঙধনুতে কয়টা রঙ জানো?
সুর কয়টা বলতে পারো?
রঙ ধনুর ঐ সাতটি রঙের সপ্তসুরে
আমার তুমি আছো আমার হৃদয় জুড়ে।
ভালোবাসি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।