আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল । আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত , মহানবী (সাঃ) বলেছেন -
"এমন এক সময় আসবে, যখন মানুষকে হারাম কিংবা বিদায় -যে কোন একটিকে বেছে নিতে বাধ্য করা হবে । তোমরা যারা সেদিন বেচে থাকো , বিদায়কে হারামের উপর প্রাধান্য দিয়ো । " (মুসানাদে আহমাদ )
শুধু কোম্পানী নয়- অফিস, আদালত, ব্যাংক, বিজনেস, পুলিশ, সেনা-বাহিনী ইত্যাদি যে কোন ডিপার্টমেন্টেই হালাল পন্হায় কাজ করতে যাবেন, আপনাকে শুনিয়ে দেয়া হবেঃ
'আমাদের কোম্পানীর এটাই নিয়ম, তোমার একার জন্য তো আর সংবিধান পরিবর্তন করা যাবে না ! চাকুরীর ইচ্ছা থাকলে কোম্পানীর নিয়ম অনুসারে কর, আর না হলে বিদায় হও'
সেই সাড়ে চোদ্দশত বছর আগে মহানবী (সাঃ) যা বলে গেছেন , তা আজ হচ্ছে মুসলিম দেশগুলোতেই হচ্ছে - অমুসলিম দেশগুলোর কথা না হয় বাদই দিলাম।
এয়ার পোর্টে চাকুরী করতে হলে মহিলাদের বুরকা বা হিজাব পরা যাবেনা - আরব দেশগুলোর বিমান বন্দরেও আজ এই শর্তারোপ করা হচ্ছে। পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনীতে চাকুরী করতে হলে ছেলেদের দাড়ি ছেটে ফেলতে হবে - হাফ প্যান্ট পড়ে ডিউটি অথবা পিটি করতে হবে আর চাকুরীরর নির্দিষ্ট বয়স না হলে বিয়ে করা যাবে না, নামাজের কোন বিরতি দেয়া যাবে না - এ সকল বিষয় আজ মুসলিম বিশ্বের একেবারে সাধারণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে ।
প্রথমবার যখন আরবে যাওয়ার জন্য একটি আরবী এয়ার লাইন্সের বিমানে উঠি, তখন বিমানে বিমান বালাদের শর্ট স্কাট পোশাক দেখে অবাক হয়ে যাই । আমি অন্ততঃ একটি আরব দেশীয় এয়ার লাইন্সে এমনটা আশা করি নাই । তারাও ইংরেজদের অনুকরণে বিমান বালাদের শর্ট স্কার্ট ইউনিফরম চালু করেছে ।
যে কোন কারণেই হোক কৈাতূহল দমন করতে না পেরে সেদিন এক বিমান বালা কে সিটের পিছনে গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলাম । মুসলমান হয়েও সে কিভাবে শর্ট স্কার্ট পড়েছে ? তাকে এ কথা জিজ্ঞেস করাতে সে মনে হলো কিছুটা বিব্রত হলো । তারপর হাসি মাখা মুখটা বিষাদে ভরে গেল । সে যা বলল তাতে আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল । সে একজন কুরআনে হাফেজা ।
সে সব সময় পর্দা করে চলে। কিন্তু বিমান কোম্পানী বুরকা / হিযাব কর্মক্ষেত্রে এলাউ করে না বিধায় সে যত ক্ষণ ডিউটিতে থাকে তত ক্ষণ তার মনের বিরুদ্ধে হলেও পেটের দায়ে বেপর্দা চলতে হচ্ছে । সে তার বুরকা আমাকে ড্রয়ার থেকে বের করে দেখালো । এটা দেখে সত্যি মনে খুব ব্যাথা পেলাম ।
মুসলমান যত দিন তার ঈমান ও আমলের দিকে ফিরে না আসবে - ততদিন তারা আল্লাহর সাহায্য পাবে না এবং অধঃপতনে পতিত হবে ।
ইসলামের অনুসরণ না করে যারা বিজাতীয়দের অনুসরণ করে তাদের প্রিয়ভাজন হতে চায় - তারা সাময়িক ভাবে তাদের কিছুটা নিকটবর্তী হলেও প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়ে পরিণামে ধ্বংসই ডেকে আনে । তাদের অমুসলিম বিদেশী প্রভুরাও প্রয়োজন শেষে তাদেরকে ছুড়ে ফেলে দেয় । আর যারা আল্লাহ হুকুম মেনে চলে এবং নবীর অনুশাসনকে মেনে চলে , শুরুতে তাদের কষ্ট হলেও শেষ পরিণতি তাদের জন্য সব সময় ভালোই হয় । আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সমস্যা মিটিয়ে দেন এবং তাদেরকে স্বাবলম্বী করে দেন ।
(সূত্রঃ মহাপ্রলয়-ডঃ মুহাম্মদ আব্দুর রহমান আরিফী)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।