আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইসির অফিস সাজসজ্জার জন্য চাঁদাবাজী!

আমি নিজের জন্য ময়মনসিংহের উপ-আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস সাজসজ্জার জন্য ৫৯ থানা নির্বাচন অফিসারের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ হাজার করে চাঁদা আদায় করা হয়েছে। এই টাকায় কেনা হবে এয়ারকন্ডিশনার। আসবে দামি ফার্নিচার। চাঁদা দেয়ার নির্দেশ জারি হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই ৫৯ থানা অফিসারকে ওই টাকা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহে।

ময়মনসিংহের উপ-আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার অফিস সজ্জার দোহাই দিয়ে করা এই চাঁদাবাজির নেতৃত্ব দিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন। উপ-আঞ্চলিক কার্যালয়ের আওতাধীন থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেছেন, অফিস সজ্জার জন্যই কেবল চাঁদা আদায় নয়Ñ অভিযুক্ত ওই জেলা নির্বাচন অফিসারকে থানা অফিসের নামে বরাদ্দ করা অর্থ থেকেও ১০ শতাংশ ‘কমিশন’ দেয়া বাধ্যতামূলক। গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ‘কমিশন’ বাণিজ্য করে এরই মধ্যে কোটিপতি বনে গেছেন ওই জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। ময়মনসিংহ শহরে এরই মধ্যে উঠেছে বহুতলবিশিষ্ট ভবন।

কর্মকর্তারা নিয়মিত বিরতিতে এদিক-ওদিক বদলি হলেও রহস্যজনক কারণে জাহিদ হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে আসন গেড়ে রয়েছেন এ জেলায়। এরই মধ্যে বিয়েও সেরেছেন ময়মনসিংহে। অফিস সজ্জার জন্য চাঁদাবাজি করার অভিযোগের বিষয়ে ময়মনসিংহের উপ-আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা খুরশিদ আনোয়ার বলেন, ৫ হাজার টাকা করে চাঁদা তোলার ঘটনা ঘটেছে কিনা তা আমি জানি না। এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। উদ্দেশ্যমূলকভাবেই কেউ এ সব রটাচ্ছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, “৫ হাজার করে চাঁদা তোলার বিষয়টি সত্য নয়। সবটাই বানোয়াট। উপ-আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনারের ক সাজ-সজ্জার জন্য কমিশনের তরফে অর্থ বরাদ্দ আছে। ফলে কারও কাছ থেকে অর্থ তোলার কোনই প্রয়োজন নেই। ” কমিশনের বরাদ্দ থেকে ১০ ভাগ অর্থ নেয়ার বিষয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, “এটাও শতভাগ মিথ্যা।

২৮ বছর ধরে চাকরি করছি। কখনওই আমাকে ‘কমিশন’ খেতে হয়নি। ময়মনসিংহে বিয়ে করার কারণে শ্বশুরবাড়ির তরফে একটা জায়গা পেয়েছি। ওই জায়গাই ২-৩ তলা একটা বাড়ি তৈরি করছি। অনেকেই তো ঢাকায় বাড়ি-ঘর করছেন।

আমার তো ঢাকায় কিছুই নেই। ” ময়মনসিংহ জেলার এই নির্বাচন কর্মকর্তা আরও জানান, ময়মনসিংহ উপ-আঞ্চলিক কার্যালয়ের অধীনে ৬টি জেলা আছে। এ ৬ জেলায় থানা নির্বাচন অফিসার আছেন মোট ৫৯ জন। অভিযোগ উঠেছে, উপ-আঞ্চলিক কর্মকর্তার অফিস ক সজ্জার কথা বলে জাহিদ হোসেন সব থানা নির্বাচন অফিসারকে ৫ হাজার করে টাকা চাঁদা দেয়ার নির্দেশ দেন দু’ সপ্তাহ আগে। এ নির্দেশের প্রেেিত গত সপ্তাহেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চাঁদার অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.