................................................................................................আমাকে দেখে কেউ,কেউ,কেউই আসলে বুঝতেই পারে না,মানুষের জন্য আমি আসলে কতটা বেশি ঝুঁকি নিতে পারি এবং সেটা হাঁসতে হাঁসতেই এবং নির্ভয়েই। সব কাপুরুষ লোকেরা মিলে আমাকে হত্যা করতে চেষ্টা করছে। হ্যাঁ,আমি বুঝতে পারি,আমি তাঁদের জন্য এক ভয়াবহ বাঁধা। সেই বাঁধাটাকে এই কাপুরুষগুলো হত্যা করতে চাইছে। যেমন হত্যা করেছে আমার ভাই সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের শহীদ অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদকে ইংরেজি ২০১০ সালের ২১ শে মার্চ।
তাঁর অপরাধ ছিল বখাটেপনায় বাঁধা দেয়া ! অথচ তাঁকে এবং তাঁর অসহায় পরিবারকে এখনো বারবার হত্যা করা হচ্ছে তাঁর নিষ্পাপ চরিত্রের উপর মিথ্যা কলঙ্ক দিয়ে। সিলেটে চলছে বিচারের নামে এক ভয়াবহ প্রহসন। কিন্তু আমি গভিরভাবে বিশ্বাস করি,আমাকে এক কুপে কিংবা মাত্র কয়েকটা গুলিতেই খুন করা যাবে না,যাবে না। তাছাড়া আমি আমার প্যান্টের পকেটে একটা অতিরিক্ত প্রাণ নিয়েই চলাফেরা করি। কাপুরুষেরা যদি আমাকে একবার খুন করে ফেলতেই পারে,আমি তৎক্ষণাৎ আমার প্যান্টের পকেটে রাখা কিংবা কখনো আমার ডান কোমরে রাখা অতিরিক্ত প্রাণটা আমার রক্তাক্ত দেহে লাগিয়ে এই কাপুরুষদের সাথে লড়াই করে যাবো।
কিন্তু সেই অতিরিক্ত প্রাণটাও যদি মরে যায়,তখন কি করবো,তাই না? আমি কি কাপুরুষদের কাছেই শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণই করবো? আগামী দিনেই সেটা দেখা যাবে,বোঝা যাবে। কিন্তু এই মুহূর্তে শুধু এই কথাটা বলতে পারি,আমি কিন্তু পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই,ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র, এমনকি আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএকেও ভয় পাইনা। আর তাই কিছু কাপুরুষদের ভয় পাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। কথাটা একদম ঠাণ্ডা মাথায়,সজ্ঞানে আমার সব ছোট-বড়- মাঝারি,খুচরা- পাইকারি,দেশি-বিদেশি,প্রকাশ্য-গোপনীয় সব শত্রুদের উদ্দেশেই লিখছি- হাবিবুল্লাহ মিজান নামের এই অতি বোকা,খুবই লিকলিকে শরীরের ছেলেটা একমাত্র তাঁর আল্লাহ্কেই ভয় পায়। আর কাউকেই না,কাউকেই না।
আসুন পবিত্র রোজার মাসে,বাঙালীর শোঁকের মাসে আমরা সব ধর্মের মানুষের উপর হত্যা, ধর্ষণ,নিপীড়ন নির্যাতন রুখে দাঁড়ানোর শপথ নেয়,নতুন করে এবং আজ থেকেই,এখন থেকেই। যে যেভাবে পারি। আমার প্রিয় কমরেডদেরকে লাল সালাম। নিরাপদে থাকুন,ভালো থাকুন। বিজয় আমাদেরই,ইনশাল্লাহ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।