© লেখকের অনুমতি ছাড়া এই ব্লগে প্রকাশিত কোন লেখা বা তার অংশবিশেষ অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাবে না। লেখালেখির প্রতি অন্যরকম এক ভাললাগা থাকার পরও......সে লেখা সবার সাথে শেয়ার করার সাহস পাইনা......অনেক গুণী লেখকের ভীড়ে নিজেকে কেমনজানি বেমানান লাগে......তারপরও অনেক সাহস সঞ্চয় করে নিজের লেখাটি শেয়ার করলাম......জানিনা কেমন লিখেছি,তবু দৃঢ় বিশ্বাস সবাই আমাকে সঙ্গী করে নিবে তাদের ব্লগ ভ্রমনে,উৎসাহ দিবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার.........!!!! > > "ভরা পেটে কেউ কখনো ক্ষুদার যন্ত্রনা অনুভব করতে পারেনা কিন্তু একজন ক্ষুদাত্ব মানুষ প্রতি মূহুত্বে একজন ভরাপেট মানুষের সুখ অনুভব করতে পারে " নিজের তৈরি থিউরিটা নিজের কাছে কেমন গোলমেলে মনে হল অর্পনের । যখন হাড় অবশিষ্ট এক মায়ের কূলে মৃ্ত্যুপদযাত্রি কঙ্কালসম এক শিশুকে দেখতে পেল টিভির পর্দায় ।নিজের মৃ্ত্যুর জন্য অপেক্ষা করা আর নিজের কূলে নিজের সন্তানের মৃ্ত্যু সহ্য করা ছাড়া যেন আর কোন উপায় নেই নিরুপায়ি এই মায়ের । শিরুনামে চোখে পড়ল মৃ্ত্যু থেকে বাচাঁর জন্য অপ্রতুল ত্রাণসামগ্রী মৃ্ত্যুপদযাত্রি ওসব মানুষের কাছে পৌছাতে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে কিছু মানুষ , কারণ ধর্ম...যুক্তি খাবারের আকার....সমুচা ক্রসের মত হওয়াই অন্য ধর্মের নিদর্শন প্রমাণের চেষ্টা ! মানবতাকে বূড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ধর্মের আবরণধারী এসব মানুষ নামী পশুদের জন্য ধিক্কার দিয়ে উঠলো মন...অবচেতন মন বলে উঠলো, মানুষের প্রকৃত রুপ যখন বিকৃত হয়ে পরে তখন এমন কোন হীন কাজ নেই যা সে করতে পারেনা...... হাতের খাবার মুখে তুলতে গিয়ে যেন নিজের কাছে লজ্জায় বিভ্রান্ত হয়ে পড়ল অর্পন, মনে হল হাজার, লাখো ক্ষুদার যন্ত্রনায় কাতর শিশু অর্পনের দিকে তাকিয়ে বিদ্রুপের হাসি হাসছে আর ধিক্কার দিচ্ছে সারা পৃথিবীকে, বিশ্ব মানবতাকে... হঠাৎ দৃশ্যপঠ বদলে গেল...অর্পন লক্ষ্য করলো একটি মানুষ মাটিতে পরে আছে . বুঝতে অসুবিধা হলনা লোকটি বেচেঁ নেই..একটা সময় নিজেকে মানুষটির খুব কাছে আবিস্কার করলো সে, দেখতে পেল মানুষটির মুখে,ঠোটে শ'খানেক মাছি বসে আছে,উড়ছে.... .অর্পন বুঝতে পারলো না কি হচ্ছে....অসহ্য দৃশ্য থেকে চোখ ফেরাতে গিয়ে লক্ষ্য করলো মানুষটি চোখ বেয়ে পানি পড়ছে..অর্পন চমকে উঠলো, যখন সে মানুষটির স্পষ্ট নিঃশ্বাস শুনতে পেল । হাতের দিকে তাকাতে দেখতে পেল হাতের আঙ্গুল নড়ছে একটো,আধটু....বুঝতে অসুবিধা হলনা মানুষটি তার সর্বশক্তি দিয়েও তার মোখের মাছি সরাতে পারবেনা সে...অর্পন প্রচন্ড উত্তেজিত হয়ে পড়লো, কিন্তু কিছুতেই কিছু করতে পারলোনা সে....! একটা ঘোরের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল অর্পন . ঘোর ভাঙ্গল...কিন্তু সমস্ত চিন্তা জুড়ে মিশে রইল ক্ষন সময় আগের অবচেতন মনের সমস্ত ভাবনা . এসব কেন ? এমন প্রশ্ন মনে আসতেই চোখ পড়লো খাবারের উপর, যে খাবার মুখে নিতে গিয়ে খেতে পারেনি অর্পন...সে খাবার খুবই উপভোগ করে খাচ্ছে দু'টি কুকুর . চিন্তায় ভেসে উঠলো মৃতপ্রায় মানুষের খাবার কেড়ে নেওয়া কিছু নোংরা মুখ,যারা ধর্ম ব্যবহার করে মানব হত্যায়, মানবতায় নয় !! অজানা গন্তব্যে বেড়িয়ে পড়লো অর্পন..। কোথায় , কেন ,কি করার জন্য জানেনা সে...শুধু জানে কিছু একটা করতে হবে .সোমালিয়ার খরা,দুর্ভিক্ষে বিপর্যস্ত মানুষের জন্য কিছু করার কথা চিন্তা আসতে নিজেকে হাত দিয়ে মুখ থেকে মাছি সরাতে না পারা মানুষটির মত নিরুপায় মনে হল . পরক্ষনে মনে হল সোমালিয়ার মানুষের জন্য কিছু করতে না পারি...নিজের আশপাশেতো খেতে না পারা অনেকে আছে..তাদের জন্য কিছু করতে পারলে মনকে কিছুটা শান্ত করা যাবে....অর্পনের গন্তব্য এখন ক্ষুদাহীন বাংলাদেশ...সে জানে সে একা কিছু করতে পারবেনা,অন্তত কিছু মানুষের জন্যতো পারবে .... তোফাজ্জেল অভি
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।