এই চিঠিটাই তোমাকে আমার দেওয়া গলদা চিংড়ি। - আমি মোটামুটি বিস্মিত। নুহাশ হুমায়ূন তার পিতার কাছে চিঠি লিখেছেন। সে চিঠি আবার এতদিন পোস্ট হয় নি। হয়েছে হুমায়ূনের মৃত্যুর পর।
বোধ করি আমাদের ডাক ব্যবস্থা দিনকে দিন দুর্বল হচ্ছে! আর যে হারে নেট বন্ধ থাকে মেইলই বা যাবে কীভাবে! টেলিকম প্রযুক্তি ও এখনো থ্রিজির যুগে প্রবেশ করে নি! কী করা। গলদা চিংড়ি তাই মৃত্যুর পরেই ছাড়া হল। যে সে গলদা না প্রমাণ সাইজের গলদা! আমাদের মূলধারার দৈনিকগুলো মাতামাতি দেখলেই বুঝা যায়।
"নূহাশ, তুমি যখন খুব ছোট ছিলে, তখন তুমাকে একপলক দেখেছিলাম তুমার বাবার সাথে... সেই দিনই আমি তুমার চোখে ও চেহারায় দেখতে পেয়েছিলাম এক আশ্চর্য্য রকমের আলোর দ্যূতি! সেদিন আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বুঝতে পেরেছিলো তুমার ওই চেহারার ভাষা..
আমি হলফ করে বলতে পারি, তুমার বাবার থেকেও তুমি অনেক অনেক বেশি যাদুর ছটা ছড়িয়ে দিতে পারবে তোমার চমত্কার ওই ঈশ্বরীক ক্ষমতা গুনে! কারন তুমি সেই ক্ষমতা পেয়েছো একশত ভাগ যেটা তুমার বাবা পেয়েছিলো মাত্র পঞ্চাশ ভাগ!"
ইহা হচ্ছে হাজার লাইক আর শত শেয়ারের আসমানি চিঠিটির একজন পাঠকের মন্তব্য। জাতি হিসেবে যে আমাদের অধঃপতন হচ্ছে- এগুলো তার সুস্পষ্ট লক্ষণ।
আমাদের ধারণা থাকে সব সময়, পীরের পুত্র পীরই হবে। তাই পূজো করার লোকের অভাব ও হয় না। নুহাশ নামের বালকটি কে নিয়ে মাতামাতি তাই প্রমাণ করে। আলিমের ঘরে সব সময় আলিম হয় না, হওয়া সম্ভব ও না; জালিম ও হতে পারে। আমরা ভুলে যাই।
রাজনীতির প্রসঙ্গ আসলে মাঝে মধ্যেই দেখি, জনগণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ। নাম মাত্র গনতন্ত্রের আড়ালে যে আমরা পরিবার তন্রের জিম্মি- এগুলো নিয়ে চড়া গলার ভাষণ। ঐ ভাষণ পর্যন্তই। আমাদের প্রথাগত বিশ্বাসই হল- আমরা ধরে নেই, পীরের বীর্যে পীরই হবে। এর এদিক ওদিক ও যে হতে পারে আমরা মানতে রাজি নই।
অথচ, নামের শেষে হুমায়ূন বা আজাদ থাকলেই যে কেউ হুমায়ূন আহমেদ বা হুমায়ুন আজাদ হয় না- পীরানুভূতি আঘাত প্রাপ্ত হলেও কথাটা বিশ্বাস করা উচিত।
সব শেষে আমার এক ফ্রেন্ডের মজা করে তৈরি করা একটি ফটো-
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।