একসময় দেখলাম, সবই কল্পনা, বাস্তবতায় শূন্য পৃথিবী। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দলটি তার ইতিহাস থেকে বেড়িয়ে আসতে পারল না। আওয়ামীলীগ বা মহাজোট সরকারের পতন অবিশম্ভাবী। এটা বেশ বোঝা গেল। এখনই যদি নির্বাচন দেওয়া হয় তাহলে এই সরকারের পতন হবেই হবে।
এটা আমারও বিশ্বাস।
আমরা কতগুলা বিষয় একটু বিশ্লেষণ করে দেখি।
১) তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিলঃ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ১/১১ এর সরকারের মত কোন সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। সেই সাথে, বন্ধ হয়ে গেল, আমাদের রাজনীতিবিদদের বিচারের সমস্ত রাস্তা।
রাজনীতিবিদদের আর কেউ এখন ধরতে পারবে না। সুতরাং তারা দিলখোলা হয়ে দূর্নীতি করতে পারবে।
২) আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির ভায়াবহ অবনতিঃ আমাদের আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির ভয়াবহ রকমের অবনতি হয়েছে। প্রতিদিন পেপার খুললেই আমরা দেখতে পাচ্ছি এর প্রমাণ। খুন, ধর্ষণ, লুন্ঠন, পুলিশের উপস্থিতিতে গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা, ক্রসফায়ার, কিছুই থেমে নাই।
চলছে আপন গতিতে।
৩) দূর্নীতিঃ যেহেতু আওয়ামীলীগ সরকার এখন ক্ষমতায়, সুতরাং এখন এই সরকারের দূর্নীতিবাজদের আমরা দেখতে পাবো না। তবে, যারা দৈনন্দিনভাবে সরকারের বিভিন্নমহলের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন, তারাই জানেন, এই সরকারের মন্ত্রী এমপিরা কি হারে দূর্নীতি করে বেড়াচ্ছেন।
৪) শেয়ার বাজারঃ কোন লাভ হচ্ছে না। সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
তারউপর নানাভাবে সেই দোষীরাই শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি টালমাটাল করে যাচ্ছে। সরকারের হাত যে কত দুর্বল দেশের সমৃদ্ধ ব্যবসায়ীদের হাতে তা শেয়ার বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে বুঝা যাবে।
৫) দ্রব্যমূল্যঃ সিন্ডিকেটের হাতে আমাদের দেশের সমস্ত বাণিজ্য বন্দী। এখন থেকে "কম খান" নীতিতে চলতে হবে। কারণ কম খেলে টাকাও কম যাবে।
কিন্তু বিষয়টা হলো, এই যে সিন্ডিকেটের হাতে ব্যবসা বন্দী সেটার জন্য সরকার বরাবরই অসহায় আত্মসমর্পণ করে আসছে। কিছুই করার নাই তাদের।
৬) রাজনীতিঃ ক্রমেই রাজনীতির মাঠে আওয়ামীলীগের জৌলুস কমছে। সরকারী দলের মন্ত্রী এমপিদের বেফাস কথাবার্তা, রাজনীতিতে সরকারের এক তরফা সিদ্ধান্ত, ক্রমেই বাংলাদেশের রাজনীতিকে একটা সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যার জন্য ভবিষ্যতের রাজনীতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
এখন কি করণীয়?
যারা ভাবছেন, বিএনপি অর্থাৎ চার দলীয় জোট সরকার ভালো ছিল, তারা ভুল করছেন। বিএনপি সরকারের আড়াই বছর পর, দেশের অবস্থা এমনই ভয়াবহ ছিল। সেটা সর্বজন বিদিত।
তাহলে উপায়?
তৃতীয় শক্তির উত্থান দরকার। কেন না এই দুই দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে গোপন সমঝোতা আছে।
এরা ধরে নিয়েছে, তারা পালা করে এই দেশের মানুষ শোষণ করে যাবে। আর প্রতি পাঁচ বছর পর পর মানুষকে বোকা বানাবে। সুতরাং এখনই কিছু করা দরকার।
নতুন প্রজন্মকে দিয়ে রাজনীতিতে বিশালাকার পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এখনই সময়, ব্যবস্থা নিতে হবে।
নাহয়, আবার এক পাঁচ বছরময় অন্ধকারে আমরা পতিত হবো! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।