আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজনৈতিক সংকট বনাম গণতান্ত্রিক চর্চা: কোথায় যাচ্ছে আমাদের রাজনৈতিক ভবিষৎ?

বেশী কিছু লিখার নেই..কারণ বেশী কিছু জানাও নেই।। মিডিয়াতে বাংলাদেশের রাজনীতির ক্রীড়ানকদের সরব উপস্থিতি, ভং চং, আগুন, গোলাগুলি না দেখে হরতালের দিন অফিসে গেলে দিনটা কেমন যেন খালি খালি লাগে....হরতাল পরিস্থিতি বোঝার জন্য সাত সকাল থেকে টেলিভিশন খুলে বসা আমার একটা পুরোনো অভ্যাস...সেই সুত্রে আজ সকালেও দেখছিলাম দেশের সার্বিক পরিস্থিতি... বরাবরের মত লাইভ ব্রডকাষ্টিং এর সময় প্রায় সব চ্যানেলের একটা কমন শেয়ার পয়েন্ট ছিল...নয়াপল্টনস্থ বি.এন.পি কার্যালয়....অবাক হয়ে দেখছিলাম....দলীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটক এর ভেতর থেকেই পারলে উত্তর দিচ্ছিলেন বি.এন.পি'র নেতৃবৃন্দ...দু:খের বিষয় হল, যারা কথা বলছিলেন, তাদের কারও চেহারা আগে দেখেছি বলে মনে হল না....ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের আটকের পর সালাহউদ্দিন চৌধুরীর আটক ছিল অনেকটাই আকস্মিক...কিন্তু মনে মনে খুব মিস করছিলাম ফখরুল ইসলাম সাহেব এবং অগ্নি ঝরা বক্তব্যসমূহ...আসলে রাজনীতিবিদদের অনেকে (আমি নিজেও) নির্লজ্জ, মিথ্যাবাদী আর অবিশ্বাসী বললেও, তাদের সাহসটার কদর করতে হয়...বুক ফুলিয়ে সত্য বা মিথ্যা দুটো বলার জন্যই প্রচুর সাহসের দরকার হয়.... রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এমন আটক যে দেশে আগে হয় নি, তা নয়....তবে সেটার পরবর্তী ফলাফল, আটককারী গোষ্ঠীর জন্য কখনই সুখদায়ক হয়ে ওঠে নি...যার উদাহরণ শুরু হয়েছে “আগরতলা” থেকে “মাইনাস টু” মামলা পর্যন্ত..আপত দৃষ্টিতে এই আটক হয়তবা সাময়িকভাবে নতুন রাজনৈতিক কর্মসূচী, সংঘবদ্ধ নাশকতা বা অরাজক পরিস্থিতিকে দমিয়ে রাখবে.....কিন্তু সেটা কিন্তু দমিয়ে রাখা.....এবং নিয়ন্ত্রণমূলক....এবং প্রশ্নটা সেখানেই। হরতাল গণতান্ত্রিক অধিকার কিন্তু গাড়ি পোড়ানো-নৈরাজ্য সৃষ্টি যেমন নয়, তেমনি অরাজকতা নিয়ন্ত্রণ গণতান্ত্রিক...বিরোধী নেতা কর্মীদের আটক তা নয়....বাংলাদেশের রাজনীতিতে (ভাষা, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্র বিরোধী সব সংগ্রামে) ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে সব সময় 'ক্ষমতা দখল ও রক্ষার' ভোটের রাজনীতি হয়েছে এবং হচ্ছে কিন্তু কেউই শেষ পর্যন্ত তা অর্জন করতে পারেনি- এটি ইতিহাস প্রমানিত সত্য....আর রাজনৈতিক সংকট তৈরী করার পর সেটা সামাল দেবার মত সক্ষমতা আর বিচক্ষণতা না থাকলে কি ঘটে, সেটা ২০০৬ থেকে ২০০৮ এর পুরোনো কাসুন্দি ঘাটলেই পাওয়া যাবে....ক্ষমতাকেন্দ্রিক অভিসন্ধি , অত:পর রাজনৈতিক অদুরদর্শীতা, কঠোর হাতে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দমন...এর ফলাফল কি আমরা সবাই সেটা জানি... “লাইফ অফ পাই” ছবির একটা কথা মনে পড়ে গেল হুট করে......সেটা হল...হিংস্র প্রাণীদের মধ্যে কখনো আবেগ সঞ্চার করা যায় না...এবং তারা সুযোগ পাওয়া মাত্রই অপেক্ষাকৃত দূর্বলকে আক্রমণ করে বসবে...সেই সুত্রেই মনে হয়, হিংস্র প্রাণীর মত গণতান্ত্রিক চর্চা নয়, বরং রাজনৈতিক উদারতা সম্ভবত আমাদের কাম্য...কারণ যে যাই বলুক, গণতান্ত্রিক হাতিয়ার ব্যবহার করার ব্যাপারে বাংগালী বেশ “আপোষহীন”...

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.