যাদের হাতে দলীল প্রমাণ কম তারা গালি দেয় বেশি যেখানে কাটা বিধেছে, সেটা না সরিয়ে মলম পট্টি দিয়ে কাজ হবে না । রসুলের অবমাননায় মানুষ কষ্ট পেয়েছে
সোজা কথায় এই লোকগুলো কোনভাবে জেনেছে তাদের প্রাণপ্রিয় নবীকে অশ্লীল ভাবে কটুক্তি করা হয়েছে, চরম বেয়াদবী করা হয়েছে । এরা তার প্রতিকার চায়, প্রতিবাদ চায়, প্রতিরোধ চায় । কিন্তু এতগুলো মানুষে এই অনুভুতি, এই আবেগ আর মানবিক মুল্যবোধকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে সামুতে, মিডিয়াতে আর এরকম আরো বেশ কিছু স্হানে।
এগুলো সর্ব মহলে প্রকাশ হওয়ার পরও পরিস্হিতি সামাল দেওয়া যেতো ।
সরকার কিছু ধর্ম বিদ্বেষী ব্লগারকে প্রচলিত আইন লংঘনের দায়ে গ্রেফতার করতে পারত। ( ছেলে ভুলানো হলেও ) " কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে" - এ জাতীয় আশ্বাস দিতে পারত । সরকারের নেতা মন্ত্রীর দল ( লোক দেখানো হলেও ) ধর্ম বিদ্বেষী ব্লগারদের কিছু " রাগ - ক্ষোভ " দেখাতে পারত । পাবলিক ( খানিকটা হলেও) খুশী হয়ে যেতো ।
একই কাহিনী ব্লগ ও ব্লগ কতৃপক্ষের জন্যও ।
নবী অবমাননার প্রতি কঠিন ভাষায় নিন্দা জানিয়ে ( লোক দেখানো হলেও ) একটা পোষ্ট ষ্টিকি করতে পারত । এটা কি সামুর নীতিমালা পরিপন্হী হত ?
নিজেদের কিছু ভুল ত্রুটির জন্য আন্তরিক ভাবে ( শুধু মুখের কথা হিসেবেই ) দু:খ প্রকাশ করতে পারত । সেটাকি খুবই অসন্মানজনক হত ?
তারা কিছু ব্যান খাওয়া নিক গুলোর প্রতি ( মন ভুলান হলেও ) সহানুভুতি দেখাতে পারত (যারা দাড়িপাল্লা -আসিফ এদের প্রতিবাদে গুম খুন হয়েছে) , বোতলবন্দী নিক গুলো ছেড়ে দিতে পারত !
ফলাফল কি হত ? আর কিছু না হলেও ( বেশ কিছু ) ঝামেলা দূর হত । আমি খুবই বিশ্বাস করি বেশীরভাগ মানুষই শান্তি প্রিয়, আর ঝামেলা না করাকেই পছন্দ করে ।
এখন যদি এতগুলো মানুষের এই অনুভুতিটাকে আপনি পাশ কাটিয়ে সবাইকে যদি জামাত -ছাগু ট্যাগ লাগান, সবাইকে বলে দেন এরা সব যুদ্ধাপরাধীদের বাচাতে চাচ্ছে, সেটা কি আদৌ সমাধানের পথ দেখাবে ?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।