আমার এই ব্লগের কোনো লেখা বা লেখার কোনো অংশ আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া যে কোনো প্রকার মিডিয়াতেই প্রকাশ করা যাবেনা। যদি তা করা হয়, তাহলে আমি আইনগত এবং অবস্থাভেদে ব্লগের আইন/প্রসিজিওর অনুযায়ী ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হব বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সাংসদ আন্দালিব রহমান পার্থ। ভোলা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং জাতীয় পার্টির (মঞ্জু) চেয়ারম্যান তিনি। ইতিমধ্যেই এই সাংসদ ইউটিউবে নিজের সবচাইতে বেশী সংখ্যক ভিডিও আপলোড করে আমাদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। এটি খুব সম্ভবত একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে ভিডিও আপলোড করবার অনন্য রেকর্ড।
এজন্য আমার পক্ষ থেকে আন্দালিব পার্থকে জানাই আন্তরিকভাবে অভিনন্দন। ফেসবুকে আন্দালিব রহমান পার্থ প্রায়ই মানুষের অধিকার, তরুনদের স্বপ্ন, নব জাগরণ, দেশের বিভিন্ন সমস্যা, আক্রান্ত মানুষ, মানবতা, রাজনীতি, দর্শন, ধর্ম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন। এগুলো শুনে অনেক তরুন যুবকই মাননীয় এই সাংসদের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং অনেকেই মনে করেন আন্দালিব পার্থ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারবেন। যদিও আমি কখনই মনে করিনা যে আন্দালিব পার্থ এই দেশের রাজনীতিতে কোন ভূমিকা রাখতে পারবেন, ইনফ্যাক্ট এটি আমার কাছে এক ধরনের অসম্ভব একটি ব্যাপার বলেই মনে হয়।
এর আগে একটি লেখাতে আমি আমার এই না মনে হবার পেছনে অনেক কারন বলেছি।
এছাড়াও আন্দালিব পার্থ সম্পর্কে তার কিছু চারিত্রিক ত্রুটির কথা এবং দূর্নীতির কথা বিভিন্ন ব্লগার, লেখক বিভিন্ন সময়ে বলেছেন। সেসব কথা না হয় বাদই দিলাম। কিন্তু এইযে তারুণ্যের শাহবাগ, এই যে চারিদিকে তরুনদের জয়জয়কার কিংবা যে তরুন হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে খায় দেশের মাটিতে কি ভাবছেন সেই তরুনদের সম্পর্কে পার্থ? কি ভাবছেন শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর নিয়ে? আসুন সেসব বিষয়ে নিয়েই আনাদলিব পার্থের সাম্প্রতিক কিংবা তারও আগে বলা তার কর্মকান্ডগুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে নেই। বলে নেয়া ভালো যে এই লেখায় যেসব স্ক্রীনশট ব্যাবহার করা হয়েছে, এসবের কয়েকটি আন্দালিব পার্থের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সংগ্রীহিত, কয়েকটি স্ক্রীন শট নাম না জানা কয়েকজন আমাকে ইমেইলে পাঠিয়েছেন তাদের ক্ষোভের কথা ব্যাক্ত করে। তাহলে আসুন দেখে নেই আমাদের আগামীর এই নেতাকে-
পার্থ একজন মধ্যবয়ষ্ক ব্যাক্তি।
৩৮ থেকে ৪৩ এর ভেতর বয়স। টিভিতে বার বার এই তরুন সমাজ, এই যুবক সমাজ বলে গলা ফাটিয়ে ফেলা যোদ্ধা এই সাংসদ তার সিনিয়ার নেতাদের কিংবা যারা আগে রাজনীতিতে এসেছেন তাদের প্রতি কোনো রকমের শ্রদ্ধাই রাখেন না। তাহলে রাজনীতি নিয়ে যে তিনি বারবার পারষ্পরিক শ্রদ্ধাবোধের কথা বলছেন, এই যে তিনি বার বার বলছেন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তনের, সেটি কি করে সম্ভব? তবে কি তিনি মিথ্যে বলছেন? শুধু আমিই নই, সাধারণ মানুষ এই লোকটি সম্পর্কে কি বলছে নীচে দেখুন-
কেন সাধারণ মানুষ এইভাবে বলছে পার্থের কথা? কেন তাকে বেয়াদব কিংবা অশালীন অথবা ভন্ড বলছে? আসুন নীচে কিছু স্ক্রীন শট এর মাধ্যমে তা দেখে নেই।
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদদের গাধা বলছেন একদিকে আবার অন্যদিকে বলছেন রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটাতে। দু”টি কি একসাথে সম্ভব? সেদিনের এক ছেলে, সদ্য রাজনীতিতে এসেছে।
ইনফ্যাক্ট তার বাবাও একজন রাজনীতিবিদ। অথচ এই সেদিনের এই লোক আজকে সব রাজনীতিবিদদের গাধা বলে সম্বোধন করছে? তার এই কথার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন একজন তরুন। অত্যন্ত মার্জিত ভাবেই। অত্যন্ত ভদ্র ভাবেই। অথচ সেই তরুনকে কি বললো আনাদলিব পার্থ? আসুন দেখে নেই-
সেই তরুন আন্দালিব পার্থকে অনুরোধ করছে যে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আপনি এভাবে সব রাজনীতিবিদকে গাধা কিংবা গালি দিতে পারেন না।
সেই উত্তরে আনাদালিব পার্থ বলছে, গাধাকে গাধা বলবেনা তো কি চোদনা বলবে কিনা। একটা পর্যায়ে সেই তরুনকে পার্থ বলছে “ফাক অফ, লুজার”
যে তরুনদের নিয়ে দেশ গড়ার স্বপ্নের কথা বলছেন মাননীয় সাংসদ, সেই একজন তরুনের সাথে এই ব্যাবহার কি করে করতে পারেন পার্থ? কি অন্যায় কথা তরুন সাংসদকে বলেছে? তিনি তো সুন্দর করেই বলেছেন যে “এভাবে গাধা বলাটা ঠিক হচ্ছে না”, এটাই কি তবে অপরাধ?
এই তরুন পার্থকে তার ব্যাবহারের জন্য যখন বললেন যে এটি ভালো হচ্ছেনা, আপনার পার্সোনালিটির সাথে যাচ্ছে না তখন এক ভয়াবহ উত্তর দিলেন পার্থ। তিনি সেই তরুনকে উপদেশ দিলেন লন্ডনে বসে যাতে তিনি ক্রিটিক,সমালোচনা না “মারান”, উনি আরো বললেন ম্যাকডোনাল্ডে কাজ করতে যেতে বললেন অত্যন্ত তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের সাথে। পার্থের লন্ডন জীবন হয়ত সুখে স্বাচ্ছন্দে কেটেছে তার বাবার অঢেল অর্থের কল্যানে। যদিও তার বাবা ছিলেন একজন মেয়র মাত্র।
কি করে এত অর্থ এসেছে পার্থের এটি আমরা না জানলেও এতটুকু বুঝতে পারি যে একন মেয়রের এত টাকা থাকার কথা না।
অথচ যে যুবক কষ্ট করে লন্ডনে ম্যাকডোনাল্ডসে কাজ করছে, পয়সা কামাচ্ছে, পড়ালেখা করছে, পরিবার চালাচ্ছে, সেই পার্থ কত তুচ্ছ আর তাচ্ছিল্যের সাথেই না তরুনকে বললেন যে যাও ম্যাকডোনাল্ডসে গিয়া কাজ কর। অথচ এই লোকটি দেশের তরুনদের নিয়ে কথা বলে, আর তরুনেরা তাকে নিয়ে কথা বলে।
আবার কাদের মোল্লার রায় ঘোষনা হবার পর যখন তরুনেরা রাজপথে নামলেন তখন পার্থ কি বলল? পার্থ বলল-
মানে দাঁড়ালো এই রায়কে উল্লেখ করলো আওয়ামীলীগের আঁতাত হিসেবে আবার অন্যদিকে বললো আওয়ামীলীগ ভয় পেয়েছে। একেবারেই দুই রকম কথা বলে বসলো পর প্র দুই লাইনে।
জামাতের সাথে আঁতাত হলে কি করে আবার জামাতকে ভয় পাচ্ছে আওয়ামীলীগ। কিংবা এই ট্রাইবুনালের সাথে আওয়ামীলীগের সম্পর্ক কি? একজন আইনজীবি হয়ে পার্থ কি করে এই ট্রাইবুনাল সম্পর্কে এই ধরনের মন্তব্য করে। তাহলে কি পার্থ বলতে চায় যে এই বিচারপতিরা আওয়ামীলীগের কথা উঠে বসে? এটা কি বিচারপতিদের অবমাননা নয়? একজন সাংসদ হিসেবে এই ধরনের বক্তব্য কি করে দেয়া যায় আমি ঠিক বুঝতে পারিনা।
এই কথার পর পরই তিনি আবার বলে বসলেন যে এই সিনেমার জন্য আওয়ামীলীগকে অস্কার দেয়া যেতে পারে এবং সেই সাথে তিনি ভুল-ভাল ইংরেজীতে এও লিখলেন যে ট্রাইবুনালকে হতে হবে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ। ঠিক একজন স্বাধীনতাবিরোধী ছাগুরা ঠিক যেভাবে বলে থাকে ঠিক সেভাবে।
এসব কথা বলবার পরে আন্দালিব আসলে তার নিজের ভেতরের লুকিয়ে থাকা জামাতী মনোভাবটি লুকোতে পারেন নি। নাজিউর রহমান খান নামে একজন ব্যাক্তির সাথে ব্যাক্তিগত ফেসবুক মেসেজ আদান প্রদানের মাধ্যমেই সেটি ফুটে উঠেছে। দেখুন সেই বক্তব্যের স্ক্রীন শট-
পার্থ তার বক্তব্যের শুরুতেই বলছে বাচ্চারা রাজনীতির কি বুঝে। যেন রাজনীতির সকল পাঠ এই পার্থের মুখস্থ। যাকে তাকে বাচ্চা বলা, গাধা, লাথি দেয়া, ফাক অফ বলা, এগুলো পার্থের বক্তব্যের কমন কয়েকটি উপাদান।
কিন্তু উপরের বক্তব্যের সবচাইতে মারাত্নক ঘটনাটি হচ্ছে পার্থ কেন জামাতীদের বিরুদ্ধে বলছে না সেটি সে ব্যাক্ত করেছে। পার্থের নির্বাচনী আসনে ৩০ হাজার জামাতী ভোট আছে এবং সেই ভোট হারাবার ভয়ে পার্থ কথা বলে না। তবে কি পার্থের টিভির সামনে বলা সব কথাই শুধু আই ওয়াশ? এই যে এত তরুন পার্থের কি এক ভিডিও দেখে নাচলো, এসব সবই কি আই ওয়াশ? ফেসবুকে যারা জামাতের বিরুদ্ধে বলছে, জামাত ছাড়বার জন্য বলছে, তাদেরকে ফেসবুক মুক্তিযোদ্ধা কোন সুরে বলেছে পার্থ, পাঠকেরা কি তা লক্ষ্য করেছেন? এভাবেই কি তরুনদের সম্মান দিয়ে থাকেন পার্থ? এভাবেই কি তরুনদের সাথে কথা বলে পার্থ?
যেই তরুন আন্দালিব পার্থের কথা বলে এবং ভাবে স্মার্ট নেতা কিংবা রাজনীতিবিদ, সেই তরুন পার্থের কাছ থেকে আসলে কি শিখলো? বর্ষীয়ান নেতাদের গাধা বলা, কাজ করে খাওয়া তরুনকে তাচ্ছিল্য করা, গাল দেয়া, লাথি দিবে বলে হুমকি দেয়া, জামাতের ভোটের অন্য নিজেকে বিকিয়ে দেয়া সহ কি বাকি রেখেছে এই সাংসদ। আসলে এতসব কিছুর পরে বেশি আর কিছু বলবার থাকে না। লাট সাহেবের মত জিপ গাড়িতে চড়ে প্রভু হয়ে পার্থরা যাবেন নির্বাচনী এলাকাতে, মানুষের ঘরে ঘরে ঢুকে, চোখে সানগ্লাস পরে হাত মিলাতে মিলাতে তারা প্রমাণ করবেন তারা জনতার বড়ই আপন, বড়ই কাছের।
কৃষকদের দুঃখের কথা শুনে দুঃখ পাবার ভান করবেন, ব্যথিত হবার কাঁচা অভিনয় করবেন আর জিল্লুর সাহেবের তৃতীয় মাত্রায় টকশো করবেন মাসে দুইবার আর দেশের দুঃখ দুর্দশার কথা বলবেন।
আরমানির সুট, পিঙ্কের শার্ট আর টি এম লুইন এর টাইশ অথবা হ্যান্ডকারচিফ-ক্র্যাভেট পরে জাতীয় সংসদে গরম বক্তৃতা দিবেন- এমনটাই হবার কথা এই বাংলাদেশে। মাঝে মাঝে জেলে আটকাবার কিংবা আটক হবার ভান ধরবেন। বিয়ে করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হেলালের মেয়েকে, মা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ফুফাতো বোন, মামা হচ্ছেন শেখ সেলিম, ভাই হচ্ছেন ফজলে নূর তাপস, নেত্রী হচ্ছেন খালেদা জিয়া। এর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে আর কোন নেতা রয়েছেন আমাদের এই দেশে?
ছোটবেলাতে মেলায় গেলে আমরা যেমন বাবার কাছে বায়না ধরতাম নানাবিধ খেলনার দিকে আঙ্গুল তুলে, “বাবা আমার ওই খেলনা চাই, ঐটা দাও” ঠিক তেমনি বাংলাদেশের মত একটি দেশে কোনো ধরনের ভ্যালিড কারণ ছাড়াই রহস্যময়ভাবে এত অর্থের মালিক বনে যায় কিছু লোক, যাদের পেশা হচ্ছে আবার রাজনীতি।
তাদের ছেলে মেয়েরা আস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা থেকে এসে রাতে ডিনারের টেবিলেই বাবার সাথে বসে নির্ধারণ করবে সেই মেলার মত করেই, “ড্যাডি আমি যুব মন্ত্রণালয় নিব, মাম্মি আমি টাউনের ঐ সিট টা নিব, আংকেল আমি অমুক পদ নিব”, পুরো ব্যাপারটি এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে অর্থের উপর দাঁড়িয়ে থাকা একটা ক্ষমতাময় খেলাধূলায়। যেমনটি আন্দালিবের ক্ষেত্রেই আসলে দেখা যায় প্রচণ্ডভাবে, ”ছোটবেলাতে মেলায় গেলে আমরা যেমন বাবার কাছে বায়না ধরতাম নানাবিধ খেলনার দিকে আঙ্গুল তুলে…”
আমরা একটা কথা হয়ত খুব দ্রুত ভুলে যাই যে যেই লোকটির বাবা অসৎ পথে অর্থের সংস্থান করে এই দেশে অর্থপতি হয়েছেন সেই লোকটির গোড়াতেই গলদ। এটি আগে জবাবদিহিতার শক্ত স্ক্যানারে না এনে তাকে ছাড় দেয়াটাই হচ্ছে পুরোনো মদকে কেবল নতুন বোতলে ধরে ঝাঁকুনি দেয়া আর মনের সুখে বলতে থাকা নতুনদের জয় জয়কারের কথা।
এই যে গোড়াতেই গলদের কথা বলছি, এই গলদের সঠিক পিউরিফিকেশন কি আর বাংলার মাঝে কিছু ইংরেজি শব্দ কিংবা চটাশ চটাশ দুটি ভিনদেশি বাক্যে সম্ভব হয়? নাকি নামের আগে ব্যারিস্টার থাকলেই হয়? হয় না। তখন প্রয়োজন পড়ে সত্যিকারের জনতার জন্য কাজ করতে চাওয়ার মানসিকতার প্রমাণ দেবার সত্যিকারের ইচ্ছাকে।
কিন্তু এভাবে প্রভু বেশে জনতার সামনে যখন সানগ্লাস চোখে জনতার দুঃখের কথা শুনতে চাওয়া হয়, তীব্রভাবে বুঝিয়ে দেবার চেষ্টা করা হয় অর্থনৈতিক, সামাজিক আর রাজনৈতিক ফাইন লাইনের রেখাগুলো তখন আসলে মূলত দুঃখ হয় এই ভেবে যে আসলে আমরা বাঙালি কোনোকালেই মোড়ক দেখে গলে যাওয়া থেকে নিজেকে আজ পর্যন্ত সংবরণ করতে পারিনি। এটা আমাদের ভয়াবহ এক খাসলতে পরিণত হয়েছে।
অবাক লাগে। ব্রিটিশরা তো চলে গেছে সেই শত বছর আগে, তারপরেও কোলোনিয়াল মেন্টালিটির রীতিটা কী করে এখনো মগজে, মননে আর চিন্তায় এভাবে গেঁথে থাকলো এটি আজ পর্যন্ত মানুষ ঘেঁটেও বুঝে উঠতে পারলাম না।
পলিটিকাল সামান্যতম সেন্স না থাকা এই যুবক রাজনীতিতে এসেছেন তার বাবার নির্বাচনী এলাকায় জয়ী হয়ে।
জনগণ ভোট দিয়েছেন, বলার কিছু নেই। আছে শুধু দুঃখ করবার। পার্থের মত এমপি সাহেবরা এখন অতিক্রম করছে আমাদের দেশ, এরাই আজকে উঁচু গলায় দেশকে পরিবর্তন করবার কথা বলছেন। এরাই আজকে আজকের তরুণদের নেতা হয়েছেন। গলিত লাভার মত উত্তাপময় দুঃখেরা এখন উপচে পড়ে।
নিঃশব্দ দুঃখে এখন বিষ খেয়ে বিষ হজম করি। ব্লাডি গণতন্ত্রের হাত ধরেই তো এসেছে পার্থের মত মাননীয় এমপিরা, নেতারা।
সত্যিই সেলুকাস!!! এইসব অদ্ভুত পার্থদের হাতে আজ চলেছে স্বদেশ…
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।