আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আন্দালিব রহমান পার্থ এখন আন্ডা হওয়ার অপেক্ষায়

আমার পরিচিত অনেকেই বলে আমার সাথে নাকি মানুষের চেয়ে জানোয়ারের মিল বেশী। তাই দয়া করে কেউ আমার কাছ থেকে মানুষের ব্যাবহার আশা করবেননা। আন্দালিব রহমান পার্থ রাজনৈতিক ভাবে সাড়া ফেলেন সংসদ অধিবেশনে শেয়ার বাজার কেলেংকারী নিয়ে যখন তীব্র প্রতিবাদ জানান। তার সেই বক্তব্য জনগনের মাঝে তীব্র সাড়া ফেলে। ইন্টারনেটে তার সেই বক্তব্য ছড়িয়ে পরে বিদ্যুতগতিতে।

একের পর এক শেয়ার হতে থাকে। মানুষের মোবাইল, ল্যাপটপ আর ফেসবুকের ওয়ালে শেয়ার হতে থাকা এই ভিডিওতে উনি আওয়ামী দুর্নীতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন সংসদ ভবনে বসে। মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্ট দাবীদার আওয়ামী লীগ হয়েছিলো নগ্ন যদিও সেই নগ্নতা তাদেরকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করেনি। এবং এর চেয়েও ভয়াবহ ব্যাপার হলো তার ঐ বক্তব্য খন্ডন করার মত কোনো বক্তব্য আসেনি সরকারী দলের তরফ থেকে। আরো মজার ব্যাপার হলো সেই বক্তব্যে আওয়ামী সুশীল লীগ তোয়াক্কা না করলেও জনগন সাংঘাতিক ভাবে গ্রহন করেছিলো।

আর তার প্রমান মিলছিলো টক শো গুলোতে তার উপস্থিতি। তরুন রাজনীতিক হিসেবে নজর কাড়েন সবার। তার মেয়ে ভক্তর সংখ্যাও যে কম নয় তা বলাই বাহুল্য। তার এই জনপ্রিয়তাই কাল হয়ে দাড়ায়। অনলাইন জগতে ছাগুদের মতই আরেকটি শক্তিশালী গ্রুপ আম্লীগ এ্যাক্টিভিষ্ট'দের মাথা খারাপ হওয়ার যোগাড় হয়।

তারা যে কোন ভাবে আন্দালিব এর ক্রেডিবিলিটি নষ্ট করার অভিপ্রায়ে মাঠে নেমে পড়ে। তার উপর একের পর এক নেগেটিভ রিপোর্ট অনলাইনে প্রকাশিত হতে থাকে। সে কবে কোন মেয়ের সাথে ফষ্টি-নষ্টি করেছিলো, কবে কারে পিস্তল নিয়ে হুমকি দিছিলো সেইসব। যাই হোক তাদের সেই প্রচারনা সত্যি হইলেও হইতে পারে। যেহেতু আমরা সচেতন জনগন খুব ভালোমতই জানি যে, বাংলাদেশে যারা ক্ষমতাবান তারা নিজেরদের ক্ষমতা দেখাইতে খুবই মজা পায়।

কিন্তু ঘটনা হইলো এই দালাল শ্রেনীগোষ্ঠি কিন্তু কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য এই সব রিপোর্টিং করে নাই। তাদের মেইন টার্গেট ছিলো যেহেতু আন্দালিব আম্লীগ রে বাশঁ দিছে সো তারেও বাশঁ দিতে হবে। যাই হোক লাভ খুব একটা হইলো না। পার্থ সমানে বক্তৃতা, বিবৃতি আর টক শো'তে সরকার'কে সমানে উপযুক্ত ব্যাম্বু দিয়েই চললো। আর এই কারনে সাধারন জনগনের মাঝে তার ইমেজ বিল্ডিং বেড়েই চললো।

সাধারন মানুষ সবসময় প্রতিবাদ কারীদের ভক্ত থাকে সেই সুত্রেই তার গ্রহনযোগ্যতাও বেড়ে গেল। এর মাঝেই ঘটে গেল ৬'ই মে রাতের ভয়াবহ হত্যাকান্ড যা নাকি অধিকাংশ মানুষ'কে হতভম্ব করে দেয়। তখন যখন সাধারন জনগন যাদের কথা শুনতে চায় তাদের মুখের কথা শুনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলো। কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হলো তখন অনেকগুলো প্রতিবাদী কন্ঠ কেনো যেনো বাতাসে হারিয়ে যায়। যেমন নাকি মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নেতা-নেত্রীরা।

বিশেষ করে মিজান সাহেব আর সুলতানা কামাল চক্রবর্তী। যারা নাকি অন্য সময়ে পান থেকে চুন খসলেও উত্তেজনায় উত্তেজীত হয়ে যায় তারা যেন কেমন নির্জীব হয়ে পড়লো। যাই হোক এদের সাথে তাল মিলিয়ে পার্থ সাহেবও হাওয়া হয়ে গেলেন। বুঝি উনার কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু জাতির এই দুর্দিনে এইভাবে হারিয়ে যেয়ে উনি উনার মাতৃকুল আর শ্বশুরকুল রক্ষা করলেও জাতির কাছে কি আর মুখ উচুঁ করে দাড়াঁতে পারবেন? নাকি যেই আম্লীগের এ্যাক্টিভিষ্টরা উনাকে এতদিন আন্ডা বলতেন উনি এখন রাজনীতিতে সেই সিদ্ধ আন্ডায় পরিনত হবেন।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৪ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.