لا إله إلا الله محمد رسول الله
সাম্রতিক আমাদেশে যে কজন তরুণ উদীয়মান রাজনৈতিক ব্যাক্তি উঠে এসেছে তার মাঝে আন্দালিব পার্থ অন্যতম, আধুনিক তরুণরা হবার কথা উদীয়মান আর উন্নত চিন্তাচেতনার ধারক, সত্য সুন্দর উষ্কানী বর্জিত পরিষ্কার মার্জিত কথা ও বক্তব্য আশা করে আন্দালিব পার্থের মত একজন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ রাজনৈতিক ব্যাক্তির কাছে,
গত ৪মে ২০১৩ তারিখে শাপলা চত্ত্বরে ১৮ দলীয় জনসভায় এই তরুণ রাজনৈতিক ব্যাক্তির বক্তব্য শুনলাম ও দেখলাম, পার্থের পুরো বক্তব্যটা ছিল প্রধান মন্ত্রীকে সরাসরি ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রমণাত্বক, সত্তি অবাক হলাম একজন আধুনিক ও উন্নত শিক্ষায় শিক্ষত এই উদীয়মান তরুণ তার মায়ের সমান বয়সে এক জন মহিলাকে এই রকম উদ্যত ও অশ্লীণ ভাষায় বক্তব্য দেওয়া জাতি ও রাজনৈতিক ময়দানের জন্য মারাত্বক হুমকি, আন্দালিব পার্থ তিনি নিজেও একজন সংসদ সদস্য ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রী তিনি শুধু আওয়ামীলীগের সভানেত্রী নয়, তিনি একজন স্বাধীন দেশের বৈধভাবে নির্বাচিত প্রধান মন্ত্রী,
এবার দেখাযাক আন্দালিব পার্থে সেই দিন ৪ ই মে শাপলাচত্ত্বরের ১৮ দলের জনসভায় যে বক্তব্য দিয়েছিল, তার বিশেষ কিছু অংশ।
১) প্রধান মন্ত্রী পালাবের পথ পাবেনা না।
২) প্রধান মন্ত্রীর কাছে থেকে ইসলাম শিক্ষা নেওয়া যাবে না।
৩) যুদ্ধের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফাইটার প্লেন কেনা হয় , কিন্তু রানা প্লাজা ধ্বংস স্তুপ হতে উদ্ধারের জন্য একটি “হেক স” কেনা হয়না।
আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আন্দালিব পার্থের সেই বক্ত্যবের জবাব দিলাম এই ভাবে।
একটি গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেক মানুষের ও নাগরিক সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সমালোচনা করার অধিকার আছে, তার মানে এই নয় যে সমালোচনা করতে গিয়ে অশ্লীন ও উদ্যত ভাষায় দাম্ভিকতার সহিত যাই ইচ্ছা তাই বলে যাবে, একজন সংসদ সদস্য যখন প্রধান মন্ত্রীকে এই ভাবে আক্রমণাত্বক ও উষ্কানী মূলক ভাষায় সমালোচনা করে তখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন কোন অবস্থায় উজ্জল হবেনা বরং কলঙ্ক ও নোংরা ময় হবে।
১)প্রধান মন্ত্রী পালাবেন পথ পাবেন না। তার জবাব।
২০০১ সালেও আওয়ামীলীগ বি,এন,পির কাছে পরাজিত হয়েছিল, বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর কাছে যদি পালাবার মানসিকতা থাকতো সেই ২০০১ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর পালাত, বরং তারাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাদের মনে সততা আর ঈমানের শক্ত জোর নেই, আমরা দেখেছি ২০০৮ সালের নির্বাচনে বি,এন,পি যখন পরাজয় হবে নিশ্চিত হয় নির্বাচনের আগে বি,এন,পি নেত্রী খালেদা জিয়া তার দুই পুত্র তারেক রহমান ও আরফাত রহমানকে চিকিৎসার নামে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে,
২) দেশের মানুষ প্রধান মন্ত্রীর কাছ হতে সব নিতে পারে কিন্তু ইসলাম শিক্ষা নিতে পারেনা, তার জবাব।
আন্দালিব পার্থের এই উক্তিটি ছিল মারাত্বক উষ্কানী মুলক ও মারাত্বক হিংসাত্বক।
আমি মনে করি একটি একটি র্ধমীয় অনুভুতিতে আঘাত দেবার মত ও র্ধমীয় আবমাননা মূলক উক্তি করেছেন। আন্দালিব পার্থ যখন র্ধমীয় ও নীতির কথা উচ্চারণ করেন তখন হাসি পায় আর আনন্দ উপভোগ করি, তখন চিন্তা করি এক শৈরচারীর ও র্দুনীতিবাজ পিতার সন্তান আমাদের নীতি কথার ভুলি শোনায়। দেশের মানুষ কার কাছে ইসলাম শিক্ষা নিবে তা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার , এখান কারো জোর করার অধিকার নেই,
আমি মনে করি আন্দালিব পার্থের তার কাছে ইসলাম শিক্ষা নেওয়া উচিত , যে সৌদিয়া ওমারায় গিয়ে পরপুরুষের দ্বারা চেয়ার দাক্কা খায়, যে ইসলামের নামে উগ্রজঙ্গীবাদ মৌলবাদী কার্যক্্রম চালায়, যারা কোরআন শরীফে আগুন দেয় , ইসলামের নামে রাজনৈতিক ফায়দা আাদায় করে, যারা ৩০ লক্ষ মানুষেক হত্য করেছে।
৩) যুদ্ধের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফাইটার প্লেন কেনা হয় , কিন্তু রানা প্লাজা ধ্বংস স্তুপ হতে উদ্ধারের জন্য একটি “হেক স” কেনা হয়না। উক্তিটির জবাব।
আমরা দেখেছি যখন এম,ভি কোকো নামে লঞ্চ ঢুবে শত শত মানুষের মৃত্যু হয় তখন সবাই বলি লঞ্চটি টিক ভাবে বানানো উচিত ছিল, টিক মত আইন মেনে চলা উচিত ছিল, আরো উন্নত লঞ্চ বানানো উচিত ছিল, যখন ১৯৭১ সালে পাকিস্তানীরা নিরস্ত্র বাঙ্গালীদের উপর আক্রমণ করেছিল তখন সবাই চিন্তা করেছিল ও অন্ত্র কেনার প্রয়োজনীয়তা আনুভব করে, ঠিক বর্তমানে রানা প্লাজার র্দুঘটনার পর আমরা সবাই বলতেছি উদ্ধারের জন্য কেন পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি কেন হয়নি, আন্দালিব পার্থে নিকট আমার প্রশ্ন রইল, আপনার বাবাও দীর্ঘ্য দিন ক্ষমতায় ছিল তখন এই রকম বড় ধরণের ভবন বিধ্বস্ত হলে তার উদ্ধারের জন্য কি কি যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী দিন ক্ষমতায় ছিল পার্থের মিত্র বি,এন,পিতারা কি কি যন্ত্রপাতি কিনেছিল ভবন র্দুঘটানার উদ্ধারের জন্য।
উপসংহার বলবো ঐ দিন আন্দালিব পার্থে যে ভাবে উদ্যত ও হিংসাত্বক ভাবে আক্রমণাত্বক বক্তব্য দিয়েছিল তা কোন সভ্য ও উন্নত রাজনৈতিক লক্ষণ হতে পারেনা, আসলে আন্দলিব পার্থ বর্তমান সরকারের সফলতায় নিজে নিজে অর্ন্তজ্বালায় ভুগতেছেন, আসহায় হয়ে আন্তরের জ্বালায় প্রলাপ বকতে শুরু করছেন। কথায় আছে রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন, পার্থ সাহেব অতি মাত্রায় রেগেই উত্তেজিত হয়ে তাই প্রমাণ করলেন পার্থ খেলা শরু হবার আগেই হেরে গেলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।