তারুণ্যের শক্তিতে জাগুন এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সংকটের কুশীলব কারা?
রাজনীতি তো অবশ্যই। দলবাজি এবং প্রশাসনের দায়িত্বহীন আচরণে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম। জাহাঙ্গীরনগর, বুয়েট ছাড়াও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও চলছে নানা অস্থিরতা এবং যে কোনো সময় পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথম অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন।
ছাত্রদের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া, রুম দখল এবং অন্যান্য অপকর্ম ম্লান করেছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ঐতিহ্য।
দলবাজির ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের কারণে শিক্ষকদের নৈতিকতার স্খলন সংবাদ শিরোনাম হয়ে উঠছে। যৌন নির্যাতন, ফলাফল কারচুপির মতো ঘটনা ঘটছে একের পর এক।
এসব ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রনালয়ও খুব ভাল ভূমিকা রাখতে পারছে না। এর প্রধান কারণ হলো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কাগুজে সংগঠন।
এর মূল কলকাঠি নাড়ছেন সাবেক এক উপাচার্য যিনি মূলত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করছেন। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আলাউদ্দিন এর নাম আসছে ঘুরে ফিরে। যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া সমস্যার কোনো সমাধানই হচ্ছে না। উপরন্তু আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা চালিয়ে পুরো ব্যবস্থাকেই আরো উত্তপ্ত করা হচ্ছে।
বুয়েটের আন্দোলনের প্রকৃতি দেখে বোঝা যায় শিক্ষকরা এখনো শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি আস্থাশীল।
কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর বিব্রত হওয়ার ঘটনায় বোঝা যায় সমস্যার সমাধান আর কারো হাতে।
প্রকৃত পক্ষে নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করাটা এখন বেশি প্রয়োজন। শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হাতে ফিরে না আসা পর্যন্ত এই সমস্যা চলতেই থাকবে। এই সরকারের তেমন কোনো সফলতা নেই। যেটুকু সফলতা তা শিক্ষা ও কৃষির ক্ষেত্রেই।
তাই সরকারকে নিজের মর্যাদা টিকিয়ে রাখতে হলে নেপথ্যের কৃশীলব থেকে ব্যবস্থাকে মুক্ত করাটাই বড় বিষয়। প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ে ভূমিকা রাখার দরকার নেই। কেবল কুশীলব দের থামান। তাহলেই চলবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।