Nothing Especial....
View this link হাত-পা বেঁধে ইউপি চেয়ারম্যান পেটাচ্ছেন আমজাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে। তাঁর তিন শিশুসন্তান হাউমাউ করে কাঁদছে। বাবাকে না পেটানোর অনুরোধ করছে। কিন্তু অবুঝ শিশুদের আর্তি ‘বুঝদার’ চেয়ারম্যানের মন গলাতে পারেনি। চার ঘণ্টা বেধড়ক পেটানোর পর থামলেন চেয়ারম্যান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা।
গত রোববার রংপুরের বদরগঞ্জে ঘটে এ ঘটনা।
আমজাদ হোসেনের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জের কালুপাড়া ইউনিয়নের বৈরামপুর গফুরেরপাড়া গ্রামে। কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিকের অভিযোগ, আমজাদ বাড়িতে চোরাই গরু রেখেছেন। তবে পিটুনির শিকার হওয়া আমজাদ বলেছেন, তিনি বাড়িতে কোনো চোরাই গরু রাখেননি। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি শহিদুল হকের পক্ষে কাজ না করায় তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।
হাত-পা বেঁধে ইউপি চেয়ারম্যান পেটাচ্ছেন আমজাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে। তাঁর তিন শিশুসন্তান হাউমাউ করে কাঁদছে। বাবাকে না পেটানোর অনুরোধ করছে। কিন্তু অবুঝ শিশুদের আর্তি ‘বুঝদার’ চেয়ারম্যানের মন গলাতে পারেনি। চার ঘণ্টা বেধড়ক পেটানোর পর থামলেন চেয়ারম্যান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা।
গত রোববার রংপুরের বদরগঞ্জে ঘটে এ ঘটনা।
আমজাদ হোসেনের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জের কালুপাড়া ইউনিয়নের বৈরামপুর গফুরেরপাড়া গ্রামে। কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিকের অভিযোগ, আমজাদ বাড়িতে চোরাই গরু রেখেছেন। তবে পিটুনির শিকার হওয়া আমজাদ বলেছেন, তিনি বাড়িতে কোনো চোরাই গরু রাখেননি। গত ইউপি নির্বাচনে তিনি শহিদুল হকের পক্ষে কাজ না করায় তাঁর ওপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে।
আমজাদের স্ত্রী কুলসুম বেগম কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘আমার স্বামী টাকা দিয়া গরু কিনি আনছে। চেয়ারম্যান কয় ওটা চোরাই গরু। স্কুলের মাঠে দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মাটিতে ফেলে মারা শুরু করে। আমার বড় বাচ্চা আফরিন আখতার মাইর দেখে চিৎকার করে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে, “আমার বাপ চোর না, মাইরেন না। ও আল্লাহ, আমার বাপরে বাঁচাও।
” এ সময় চেয়ারম্যানের ভয়ে কেউ কথা বলার সাহস পায়নি। বাচ্চাটাকে টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দিয়ে তার বাবাকে মেরে পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা দেখার পর আমার দুই মেয়ে আফরিন ও আঁখির (৫) প্রচণ্ড জ্বর এসেছে। ’
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক বলেন, ‘ওরা দুইজন চোর। ওদের পক্ষে কথা বলা ঠিক না।
আমি মারিনি। জনগণ ও চৌকিদার মেরেছে। মারপিট করার সময় দুইটা বাচ্চা দৌড়ে এসে বাবা বলে একজনকে জাপটে ধরলে আমি মারপিট বন্ধ করতে বলি। ’
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক চৌধুরী ওই মারধরের ভিডিও চিত্র দেখে প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘চোর হলেও এভাবে কেউ মারতে পারেন না। বাচ্চাদের সামনে এভাবে মারপিট করাটা খুবই দুঃখজনক।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুরির অভিযোগে বেদম পিটিয়ে দুইজনকে চেয়ারম্যান আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তাঁদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল সোমবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। ’
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।