আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দেলু রাজাকারের পুত্রের কান্ড দেখুন। শ’ টাকায় লোক ভাড়া: দেশপ্রেমিকের ব্যানারে যুদ্ধাপরাধের সাফাই

প্রধান অতিথি আর প্রধান আলোচককে ছাড়াই আলোচনা সভা করলো দেশপ্রেমিক যুবশক্তি। আর সে সভায় ‘রাজনৈতিক বিতর্ক এড়িয়ে দ্রুত পদ্মাসেতু নির্মাণ ও ঈদুল ফিতরের পূর্বে জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নি:শর্ত মুক্তির দাবি’ আলোচনার বিষয় হিসেবে নির্ধারিত থাকলেও সারাটা সময় মূলত মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের পক্ষে সাফাই গাইলেন অখ্যাত বক্তারা। এ পরিস্থিতিতে সভাস্থল ছাড়লেন অধিকাংশ মিডিয়া কর্মী। বিশেষ করে অনুষ্ঠান ধারণ না করেই চলে গেলো ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সব ক’টা ক্যামেরা। ভাড়া করে এনে দর্শক সারিতে বসিয়ে রাখা জনা চল্লিশেক শ্রোতাও হয়ে উঠলেন অসহিষ্ণু।

যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের পক্ষে বক্তাদের বাগাড়ম্বর বক্তৃতায় দফায় দফায় হাসির রোল উঠলো তাদের মধ্যে। এরই মধ্যে চললো রকমারি তামাশা, খুনসুটি। শেষে তো দু’ঘণ্টার জন্য একশ’ টাকায় ভাড়া এনে বসিয়ে রাখা লোকগুলো দু’শ’ টাকাই দাবি করে বসলো অতিরিক্ত সময় বসিয়ে রাখার কারণে। সব মিলিয়ে চরম বিশৃংখলায় কোনরকমে অনুষ্ঠান শেষ করলো দেশপ্রেমিক যুবশক্তি। প্রধান অতিথি আর প্রধান আলোচকের মতোই সংগঠনের কোন পদধারীর অনুপস্থিতিতে সভাপতিত্ব করলেন আল মানার হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. সুলতান আহমেদ।

বক্তব্য রাখলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিক শিকদার, মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের নায়েবে আমীর দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী, অখ্যাত জামায়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। নির্ধারিত আলোচ্য বিষয়ের ধারেকাছেও না ঘেঁষে জামায়াত নেতাদের ক্লিন সার্টিফিকেট দিয়ে তারা বললেন, “গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদ, সাঈদীরা ভালো মানুষ। তারা গরুচুরি আর ধর্ষণের মতো অপরাধ করতে পারেন না। যুদ্ধাপরাধের মিথ্যা অভিযোগে তাদের বিচার করা হচ্ছে। ” এমন বক্তব্যে যেন আরও কয়েক কাঠি সরস সাঈদী তনয় শামীম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সতর্ক করে তিনি বললেন, “অবিলম্বে সাঈদীর মুক্তি না দেওয়া হলে ঈদের পর যে আন্দোলন শুরু হবে তা ঠেকানোর ক্ষমতা আপনার নেই। ” সাঈদী তনয়ের এমন বক্তব্যে সরকারের কি গেলো বা এলো তা বোঝা না গেলেও হাসির রোল শোনা গেলো তাদেরই ভাড়া করা দর্শকদের মধ্যে। এভাবেই শেষ হলো অগোছালো অনুষ্ঠান। অবশ্য অনুষ্ঠান শেষ ঘোষণার কিছুক্ষণ আগেও প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুর ইসলাম মিয়া ও প্রধান আলোচক জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আসছেন বলে ঘোষণা করছিলেন আয়োজকরা। এজন্য বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মঞ্চে লম্বা বক্তৃতায় সময় ক্ষেপনের কৌশলও নিয়েছিলেন তারা।

যুবশক্তির এক বক্তা তো একাই মাইক কাঁপালেন এক ঘণ্টা বিশ মিনিট ধরে। কিন্তু এভাবে আর কতোট সময়ই বা টানা যায়? তাই অবশেষে অনেকটা বাধ্য হয়েই আয়োজকরা অনুষ্ঠানের যবনিকা টানলেন যেন। বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১২ এসকেএস/ সম্পাদনা: জাকারিয়া মন্ডল, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.