আধা পাগলের লেখা লেখি... হয়তো শুধুই মস্তিস্ক বিকৃতি...
নিষাদ আর কলির সম্পর্ক প্রায় ২বছর। নিষাদ একটা কলেজ থেকে অনার্স পড়ছে, সে ৩য় বর্ষের শেষ সেমিস্টারে পড়ছে। সেশন জটে গেছে প্রায় আরও আড়াই বছর তা না হলে এতদিনে অনার্স শেষ করে চাকুরির খোজ নিতে পারতো। নিষাদের বাবা ছাপোষা কেরানি গোছের একটা চাকুরি করেন, নিষাদের বাবার ইচ্ছা নিষাদ ব্যাংকার হবে। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের তফাৎ রয়েই যায়।
ছেলেকে ভালো কোথাও পড়াতে পারেনি বলে মনের ভেতর একটা ক্ষোভ রয়েই যায়।
আর কদিন বাদেই কলির বিয়ে, নিষাদ তার পরিবারকে জানায় কিন্তু কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। কলিরা নিষাদ দের থেকে অবস্থাপন্ন তাই এই সম্পর্কের আশা নেই তারউপর নিষাদের বাবা এই সম্পর্ক মেনে নেবে না। এভাবেই দো’টানার মধ্যে এগিয়ে জেতে থাকে নিষাদের দিনগুলো। কলির সাথে হাজারো কথা, কয়েকবারের দেখা কোন কিছুই কোন সমাধান দিতে পারে না...
কাল কলির বিয়ে, কিছু করলে আজকের মধ্যেই করতে হবে।
কি করবে নিষাদ? পালিয়ে যাবে?
কি হবে পালিয়ে গিয়ে? কি খাওয়াবে সে কলিকে? কোথায় রাখবে সে? এখনো তো তার পরাশুনা শেষ হয় নি। মাস শেষে টিউশনির ৮০০ টাকায় হবে কি?? নিষাদের কাছে কোন প্রশ্নের কোন উত্তর নেই, জানালার রডের সাথে মাথা ঠেকিয়ে সে ভেবে চলছে। বাবা-মা’র একমাত্র ছেলে নিষাদ? নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে এই মানুষ দুটোকে ছুড়ে ফেলে দেবে? নিজের সাথে পেরে উঠছে না নিষাদ...
ওদিকে সময় বয়ে যাচ্ছে, ৪.৩০ বেজে গেছে, কলি নিষাদের অপেক্ষায় তার সাথে পালিয়ে যাবে। এমন সময় নিষাদের মা ডেকে কিছু কথা বলে, ছেলে দুপুরে খায় নি, তাকে খেতে দেয়, পাশে বসে বাতাস করে।
নিষাদ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় সে যাবে না কলির কাছে, সে পারবে এই দুটো মানুষের মুখের হাসি চিরদিনের জন্যে মুছে দিয়ে নিজে হাসতে।
বার বার নিষাদের ফোন বেজে উঠছে, নিষাদ ফোনের সিম খুলে ফেলে দেয়। ঘর থেকে বের হয়ে তাদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নদীর পারে বসে থাকে। আর কলি? নিষাদের আসার পথ চেয়ে একসময় চলে যায়। এই ঘটনার আর কিছুই জানা যায় নি।
নিষাদ আজ সরকারী কর্মকর্তা, এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে ঢাকায় থাকে।
সময় অনেক দূর চলে গেছে। নিষাদের বড় ছেলে নিরব তার বাবাকে চরম ঘৃণা করে, তার বাবা ঘুষ খায় বলে। রূপা আর নিরব দুই ভাইবোন তাদের বাবাকে খুব একটা পছন্দ করে না, কেননা তাদের শৈশবের বা কোন সময় ই বাবাকে তাদের পাশে পায় নি, বাবার আদর কি তারা আজও জানে না। জানবেই বা কিভাবে তারা ঘুম থেকে উঠে দেখত বাবা নেই, ঘুমুতে যাবার আগেও দেখত বাবা ঘরে ফেরে নি। আর নিষাদের ঘুষ খাবার রহস্য অন্যরকম।
কলেজ থেকে অনার্স পাশ করতে তার ৭বছরের মত লেগে গেছে, এই ৩টা বছর নষ্ট না হলে আজ হয়তো কলি তার হতে পারতো। এই নষ্ট সমাজের প্রতি সে এভাবেই ধিক্কার জানিয়ে যায়।
কয়েকদিন পর্যন্ত নিষাদ খেয়াল করছে নীরব কিছুটা মন মরা, কিন্তু সে কিছু বলতেও পারছে না ছেলেকে। রাত জেগে রকিং চেয়ারে বসে ভাবছিল সে। রাত প্রায় ২টা বেজে গেছে, এবার ঘুমুতে যাওয়া দরকার।
মেয়ে রূপার রুমের সামনে দিয়ে যাবার সময় একটু আওয়াজ শুনে থমকে দাড়ায়। ভাবে ঘরে হয়তো বিড়াল ঢুকেছে। নিষাদ রূপার রুমে গিয়ে লাইট জালিয়ে দেয়। বিস্মিত চোখে বাব-মেয়ে চোখে চোখে তাকিয়ে থাকে। নিষাদ কল্পনাও করে নি এরকম কিছু দেখতে হবে।
রূপা সুইসাইড করার জন্যে গলায় ফাস দিচ্ছিল, আর কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কিছু হলেও হয়ে জেতে পারতো।
নিষাদ কিছু না বলে শুধু রুপাকে রুমের বাইরে আসতে বলল, এবার ছেলের রুমে গিয়ে দেখে সে জানালার পাশে বসে আসে, তাকেও ডেকে নিয়ে আসলো। একটা শার্ট গায়ে দিয়ে দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে এত রাতে বাইরে বেরিয়ে যায়। ঘরে একা নিষাদের স্ত্রী আফরিন ঘুমাচ্ছে। নিষাদ, নীরব আর রূপাকে নিয়ে পাশের পাড়ার একটা চায়ের দোকানে গিয়ে বসে।
চা খাবার পর নিষাদ তার ছেলে মেয়ের থেকে তাদের কথা শুনতে চায়।
রূপা জানায় সে যে ছেলেটিকে ভালোবাসতো সে ছেলেটি তার সাথে প্রতারণা করেছে, সে অন্য একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক করেছে। আর নীরব জানায় সে যে মেয়েটিকে ভালবাসে সে মেয়েটির বাবা বছর খানেক এর ভিতরে তাকে বিয়ে দিয়ে দেবে, সে ছেলে দেখা শুরু করেছে, কিন্তু আমার কিছুই নেই...
বলে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেদে ওঠে, নিষাদ ঠেলে ছেলেকে সরিয়ে দিয়ে নিজের অতীত বলতে শুরু করে...
দু ছেলে মেয়ের চোখে মুখে রাজ্যের বিস্ময় তাদের বাবা কি বলছে। হ্যাঁ নীরব আমি ঘুষ খাই বলে তুই আমাকে ঘৃণা করিস, যেদিন আমার স্বপ্ন গুলো এই টাকার কারনে ভেঙ্গে গিয়েছিল সেদিন আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমার ছেলে মেয়েকে যেন এই টাকার জন্যে কাঁদতে না হয়। টাকার জন্যে যেন ওদের স্বপ্ন না ভাঙ্গে।
খুব বড় কিছু আমি হতে পারি না, টাকার পিছনে আমি মরিয়া হয়ে ছুটেছি, রাত করে বাড়ি ফিরেছি, তোদের সাথে দেখাও হত না। তোদের বাবা তোদের জন্যে অনেক টাকা রেখে দিয়েছে। রূপা ওই ছেলে তোর বাবার টাকা নেই বলে তোকে ফেলে গেছে, দেখিয়ে দে তোর বাবার কি আছে? নীরব আমার যা আছে তা দিয়ে তুই ব্যবসা করতে পারবি না? কাল ব্যাংকে যাবি আমার সাথে।
রাত শেষ হয়ে সকাল হচ্ছে, ফিরতে হবে বলে নিষাদ উঠে দাড়ায়, ছেলে মেয়েরাও তার পিছনে চলে। ওরা পিছনে বলে নিষাদ দাড়িয়ে যায়, কি রে কি হল? দুই ছেলে মেয়ে ধীর পায়ে এসে বাবার সামনে দাড়ায়।
কিছু বলবি? দুই ছেলে মেয়ে ডুকরে কেঁদে উঠে, নিষাদকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে, বলে বাবা তুমি এত খারাপ কেন? কেন আমাদের এত ভালবাস?
বাসায় ফিরে সোফায় বসে নিষাদ পানি খেতে চায়, রূপা পানি নিয়ে আসে। পানি খেয়ে নিষাদ ছেলে-মেয়েদের ঘুমাতে যেতে বলে সোফায় গা এলিয়ে দেয়। নীরব কিংবা রূপা কেউ যায় না, একে অপরের দিকে তাকায়, পানির গ্লাস টা রেখে রূপা বাবার পাশে গিয়ে বসে, নীরব ও তাই করে। দুজনই বাবার বুকের উপর মাথা রেখে, বাবাকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকে।
সকাল বেলা আফিরন ঘুম থেকে উঠে এমন একটা অবস্থা দেখে অবাক হয় কিন্তু সে কোনদিন ও ওই রাতের ঘটনা জানতে পারে নি।
এই তিনটি মানুষের মধ্যেই রয়ে যায় তা। সেদিন থেকে নিষাদ বদলে যায়, ছেলে মেয়েদের সময় দিতে শুরু করে, রূপা আর নীরবের কাছে তার বাবাই তার বন্ধুর মত হয়ে যায়। চা খাওয়া থেকে বাসে ওঠা কোন কথাই বাকি থাকে না যা তারা তাদের বাবাকে বলে না। বাবার দেয়া টাকা আর বুদ্ধিতে নীরব শহরের কয়েকটা মার্কেটে দোকান ভাড়া নেয়, আর সেখানে গার্মেন্টস থেকে কাপড় কিনে আলাদা ভাবে ব্র্যান্ড করে বিক্রি শুরু করে। ভালোই চলছে, দুই ঈদ পার হয়ে যায়, ভালোই লাভ হয়েছে, ব্যবসা দিন দিন বড় হচ্ছে।
নীরবের ব্যবসা আছে, নীরব এখন প্রতিষ্ঠিত, নীরব তার বাবাকে জানায় তার ভালবাসার মানুষ শিলার বাড়ি থেকে এবার বেশ তোর জোর চলছে, এবার কিছু না করে পারা যাবে না, নীরবের বাবা শিলাদের বাসায় প্রস্তাব পাঠায়। শিলার বাবা সব কিছু জেনে মেনে নিতে বাধ্য হয়, নেবেই না কেন নীরবের বাবা তো ভালোই বিত্তশালী, ছেলের ও বড় বিজনেস আছে। বিয়ে হয়ে যায় ওদের দুজনের। তার বছর ২পর রূপার ও বিয়ে দেয়া হয়, না রূপা আর এরপর কারো সাথে সম্পর্ক করেনি, বাবার পছন্দ মত একজনকেই সে বিয়ে করে।
ভালোই চলছিল সব কিন্তু উপর ওয়ালার বোধ হয় আর ইচ্ছে হল না, নিষাদের স্ত্রী মারা যায়, আগে থেকেই তার ডায়াবেটিকস ছিল, কিডনি ফেইলারে সে মারা যায়।
বছর বারতে থাকে, নিষাদের বয়স ও অনেক হয়েছে, প্রায়ই সে অসুস্থ হয়ে যায়, মাঝে মাঝে তার সাথে যারা কাজ করতো কিংবা নিষাদের বন্ধুরা তাকে দেখতে আসতো। শিলার এতে খুব বিরক্ত লাগলো। সেদিন নিষাদের সাথে দেখা করতে একজন আসে, শিলা পার্লারে যাবে কিন্তু এসময় একজন আসায় তার মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। নাস্তা নিয়ে সে নিষাদের রুমে যায়, টেবিলের উপর একটা পুরনো ডাইরি দেখে সেটা নিয়ে আসে এবং পুরোটা পড়ে।
নীরবকে আগে থেকেই শিলা চাপ দিচ্ছিল তার বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে, নীরব না পারছিল কিছু বলতে না পারছিল সহ্য করতে, আজ শিলা সেটা আবার তুলেছে সাথে তার বাবার অতীত জেনে তার বাবার সম্পর্কে বাজে কথা বলছে নীরবের খুব গায়ে লাগে।
দুজনের মধ্যে কথা কাটা কাটি চলতে থাকে। কোলাহল শুনতে পেয়ে নিষাদ এগিয়ে আসে, কিন্তু রাগের মাথায় নীরব তার বাবাকে অপমান করে তাকে তার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতে বলে।
ছেলের অপমান সহ্য করতে পারে না নিষাদ, অসুস্থ হয়ে পড়ে আর আগে থেকেই শরীর ভালো ছিল না, নিষাদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ অবস্থার উন্নতি হয় তো কাল অবনতি হয় এরকম অবস্থার মধ্যে দিয়ে ৩দিন যায়। হঠাৎ ই নীরবের মোবাইলে হাসপাতাল থেকে ফোন করা হয়, তার বাবার অবস্থা ভালো না, একটা ইঞ্জেকশন পুশ করতে হবে।
নীরব যখন এসে পৌছায় তখন ৩.৩০ বাজে, ডাক্তারদের সাথে কথা বলে, এবং সে আসার খানিক আগে সেটা পুশ করা হয়েছে, বাবার সাথে কোনরকম একটু কথা হয়। নার্সরা নিষাদের মুখে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে দেয়। ইঞ্জেকশন পুশ করার পর অবস্থার আরও অবনতি হয় ডাক্তার রা জানিয়ে দেয় তাদের পক্ষে আর সম্ভব নয়, সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্যে বলে, ওদিকে রূপাও চলে এসেছে। অঝোরে কাঁদছে সে। অ্যাম্বুলেন্সে বাবার পাশে নীরব বসে আছে, বাচ্চাদের মত বাবার আঙ্গুল শক্ত করে ধরে আছে।
নিষাদকে ভর্তির পর আই.সি.ইউ তে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানের ডাক্তার রা জানায় অবস্থা খুব একটা ভালো না, নিষাদের ভুল ট্রিটমেন্ট করা হয়েছে। নিষাদের সমস্যা ছিল হার্টে কিন্তু যে ওষুধ দেয়া হয়েছে তা এই রোগীকে কোনভাবেই দেয়া যায় না ! নীরবের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে, কি করবে ওই ডাক্তার বিরুদ্ধে মামলা করবে? তার বাবা কি আর ভালো হবে না? রূপা ভাইকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে... একটা কথাই বলছে তুই বাবার সাথে এরকম আচরন কেন করলি তুই না পারলে আমি বাবাকে দেখতে পারতাম না...
ডাক্তার দের অনেক রিকোয়েস্ট করার পর রূপাকে ভিতরে যেতে দেয়া হল। রাত ৮টার দিকে নিষাদ একটু পানি খেতে চাইলে রূপা খাওয়ায়। হয়তো ওটাই তার বাবাকে শেষ খাওয়ানো। রাত ৩টার দিকে নিষাদকে ক্লিনিক্যাল ডেড ঘোষণা করা হয়।
ভোর ৭ টার দিকে নিষাদকে মৃত ঘোষণা করা হয়। কে নেবে এই মৃত্যুর দায় ভার? নীরব নাকি ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসা?
বাবার সাথে যে কিছুটা সময় কথা বলতে পেরেছিল তখন নিষাদ তার বাবা জানিয়ে যায় তার কবর যেন তার মায়ের কবরের পাশে দেয়া হয়, বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী লাশ গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। লাশ নিয়ে লঞ্চে করে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় তারা, প্রায় দুই জুগ পর তারা গ্রামে যাচ্ছে। সেদিন আকাশ মেঘে কালো হয়ে আছে, মাঝে মাঝে মেঘের গর্জন শুনতে পাওয়া যাচ্ছে না, কখনো বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে... মাঝে মাঝে বৃষ্টিও হচ্ছে। নীরব লঞ্চের কেবিনে বসে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে... নীরব সময় দেখে রাত ২টার বেশি... রূপা ভাইয়ের পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে ভাইয়ের কাধে মাথা রেখে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ছে... বাইরে বেশ বাতাস, এখন বৃষ্টি ও পড়ছে... নীরবের বাবার কফিনটা লঞ্চের ছাদের পিছন দিকে বাধা আছে।
নীরবের ভেতর টা ছিঁড়ে যাচ্ছে... তার বাবা বাইরে বৃষ্টিতে ভিজছে আর সে এখানে বসে আছে। হোক না সেটা তার বাবার মৃত দেহ... ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে তার সেদিন তার বৃষ্টি ছিল তার বাবা তাকে আনতে স্কুলে গিয়েছিল। ছেলের জন্যে আরেকটা ছাতা নিয়ে যেতে পারেনি সেদিন নিষাদ, নেবেই বা কিভাবে আরেকটা ছাতা কিনতে গেলেও যে অনেক টাকা লাগবে। নিজে বৃষ্টিতে ভিজেকে ছেলের মাথায় ছাতা ধরে তাকে বাসায় নিয়ে এসেছিল, একটুও ভিজতে দেয় নি... আজও তার সেই বাবাটা তাকে সুখের পালঙ্ক এনে দিয়ে নিজে বৃষ্টিতে ভিজছে...
বাইরে মুশুল ধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে, বৃষ্টি ঝরছে নীরবের চোখেও। বার বার ভেতর থেকে বলছে বাবা তুমি খুব খারাপ, খুব খারাপ, সারাজীবন আমাকে দিয়ে গেলে, তোমাকে কিছু দেয়ার জন্যে কিছুই রাখলে না??
তোমার কবরে দেয়ার জন্যে এক মুঠো মাটি রেখে গেলে বাবা?
পুনশ্চঃ লেখাটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক, আমি কোন লেখক নই, তাই লিখতেও পারি নি, তাই ক্ষমা প্রার্থী।
আমি তথাকথিত প্রেম ভালবাসার গল্প লিখতে পারি না, লেখাটিকে ট্রেনের মত এক যায়গা থেকে আরেক যায়গায় ছুটিয়ে নিয়ে গিয়েছি, অনেকের কাছে বিরক্তি কর লেগেছে, এই জন্যে ক্ষমা চাচ্ছি সময় নষ্ট করার জন্যে।
বাবা যত খারাপ ই হোক সে বাবা, বাবা-মার মনে কষ্ট দিয়ে কখনো সুখে থাকা যায় না। বাবা মাকে কষ্ট দিয়েন না, তারা আপনার জন্যে যে স্যাক্রিফাইস করে তার কাছে তাদের প্রতি আপনার একটু ভালো ব্যবহার খুব সামান্য। তাদের খুশি করতে না পারেন না অন্তত কষ্ট দিয়েন না। বাবা-মার সাথে নম্র ভাবে কথা বললে, একটু ভালো ভাবে কথা বললে খুব ক্ষতি হয়ে যাবে না।
ভেবে দেখার একটু অনুরোধ রইলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।