আল্লাহর সব সৃস্টিকে ভালোবাসতে চাই.. ছোট্র একটি কাজ আমি আজ করে দেখিয়েছি, এভাবে যদি আমরা সবাই সবার জন্য এগিয়ে আসতাম তাহলে হয়ত আমরা একটি নতুন যুগের সূচনা করতে পারতাম...
ইউনিভার্সটি থেকে বাসায় ফিরছিলাম রাত তখন আনুমানিক ১১টা। সাহবাগ বাসের জন্য অপেক্ষা করছি এমন সময় কিছু লোকের জটলা দেখতে পেলাম। এগিয়ে গিয়ে দেখলাম একটি মেয়ে কান্না কাটি করছে। কারণ তার স্বামী তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছে। অসহায় গ্রামের একটি মেয়ে আজই স্বামীর হাত ধরে প্রথম জামালপুর থেকে ঢাকায় এসেছে কিছুই চেনেনা।
এমনকি পরিচিত কার মোবাইল নাম্বার ও বলতে পারেনা। সবাই গোল হয়ে তামাসা দেখছে। আমি জানি আমাদের পারিপাির্শক অবস্থা বিবেচনা করলে এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে জড়ান বোকামির পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু তাই বলেকি আমি এই গ্রামের সহজ সরল কিশোরী বালিকাটিকে একটি অন্ধকার অনিশ্চয়তার মাঝে ফেলেদিয়ে চলে আসব!!
না আমার বিবেক আমাকে সেটা করতে দিল না। পাশেই একটি ডিপার্টমেনটাল স্টোরের কয়েক জন লোক কে সাক্ষী রেখে।
মেয়েটাকে আমার সাথে করে বাসায় নিয়ে আসলাম। কিন্তু বিপত্তিটা হল বাসায় আসার পর। আমার পরিবারের লোকজন বিষয় টাকে সহজ ভাবে নিতে পারলনা। বিশেষ করে আমার বাবা, আমাকে তো ঘর থেকেই বের করে দিবে। অনেক বোঝানর পর কোন মতে রাতটি থাকর জন্য অনুমতি পাওয়া গেল।
অবশেষে আজ সকালে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে মেয়েটি বাসে তুলে দিয়ে আসলাম। হাতে কিছু টাকাও দিয়েছিলাম।
সত্যিই আমরা কি পারিনা আমাদের এই ছোট্র দেশটার জন্যে সামান্যও কিছূ করতে....আমাদের সবার ছোট্র একটা প্রয়াস পারে নব জাপানের ভিত গড়তে, এটা সম্ভব, অসম্ভব নয়…..
আসুন আমরা যার যার অবস্থান থেকে যতটুকু পারি তত টুকুই করি….. আমাদের এই জেনারেশন এর ওপরই নির্ভর করছে আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ। আপনার ছোট কাজটিই হয়ত অন্যের জন্য অনেক বড়... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।