'মৃত্যু বিষয়ক কথকথা' নামে একটি বই লেখার কাজ শুরু করেছি। কবে শেষ করতে পারব, জানিনা। মৃত্যুর পরে যা ঘটে তার এক সারাংশ তুলে ধরা হলো।
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হবার পর শরীরের তাপমাত্রা কমে তা শীতল হতে শুরু করে। ডাক্তারি পরিভাষায় এর নাম এলগর মর্টিস বা শীতল মৃত্যু ।
প্রতি ঘন্টায় শরীরের তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রী করে কমে যেতে থাকে। এ সময় শরীরের রক্তপ্রবাহ থেমে যায় এবং তা ধীরে ধীরে থিতু হতে থাকে। মৃত্যুর ২-৬ ঘন্টা পর শরীর শক্ত হয়ে যায়, ডাক্তারি পরিভাষায় এর নাম রিগর মর্টিস। এ সময় শরীর পুরো মাত্রায় নিথর হলেও ত্বকের কোষের বিস্তার হতে থাকে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত। এ ছাড়া পাকস্থলিতে ক্ষুদ্র জীবানু বেচে থাকতে পারে এ সময় ।
মৃত্যুর কিছু দিনের মধ্যেই ব্যাকটেরিয়া এবং এনজাইমসমূহ ভেঙ্গে যেতে শুরু করে । অগ্নাশয়ে এ সময় অজস্র ব্যাকটেরিয়া থাকে। এ সময় শরীর রং বদলাতে থাকে এবং একটা পর্যায়ে তা কালো রং ধারণ করে। ব্যাকটেরিয়ার কারণে তখন দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস তৈরী হতে থাকে । গ্যাসের চাপে শরীরের মাংস খুলে যেতে থাকে, চোখের মনি বের হয়ে আসে এবং জিহবা গলে যেতে শুরু করে।
মৃত্যুর এক সপ্তাহ পরে চামড়া ফেটে যেতে থাকে। এক মাস পরে চুল, নখ এবং দাঁত খুলে পড়বে। অনেকের ধারণা মৃত্যুর পরেও চুল লম্বা হয়, এটি আসলে ঠিক নয়। চামড়া শুস্ক হয়ে যাওয়ার কারণে চুলকে লম্বা দেখায় মাত্র।
শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং টিসু আস্তে আস্তে গলে যাওয়ার পর এক পর্যায়ে পুরো শরীর বিস্ফোরিত হয়।
এই পর্যায়ে শরীরের যে রূপটি প্রকাশ পায়, তা হলো কঙ্কাল। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।