আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কবিরাজি চিকিৎস

( একটা প্রবাদে বলা হয়ে থাকে ‘যদি হয় রোগ-বালাই, গাছের কাছে চল ভাই’। ) আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? ভাল থাকুন ও ভাল রাখুন আপনার প্রিয় মানুষটিকে। খবরের কাগজে প্রায়ই দেখা যায়- কবিরাজি ওষুধ খেয়ে চার ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে । মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাকি তিনজনের মৃত্যু হয়।

মৃতরা হলেন- ফুলতলা গ্রামের চান মিয়া (৩২),আব্দুল সালাম ওরফে শুকুর আলী ( ৩০),ঝাকুর গাছা গ্রামের মরিয়ম বিবি(২৩) এবং ফুলিয়া(১৭)। গরীব মানুষদের অসুখ বিসুখে প্রধান ভরসা হাতুরে ডাক্তার আর কবিরাজের পানি পড়া। চরাঞ্চলের হাজার হাজার নারী-পুরুষ অসুখে বিসুখে উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে হাতুরে ডাক্তার আর কবিরাজের পানি পড়া খেয়ে আরো বেশি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। কবিরাজী চিকিৎসা নিলে হাসপাতালে যেতে হয়না তারা বাড়ীতে এসেই চিকিৎসা দিয়ে থাকে। এতে পর-পুরুষ অসুস্থ রোগীর মুখ দেখতে পারেনা ! ভেষজ চিকিৎসা নিয়ে সকল অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।

ওষুধ প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। চিকিৎসা গ্রহণ করার আগে জনগণকেও সতর্ক হতে হবে। আকন্দ এক প্রকারের ওষধি গাছ। আকন্দ দুই ধরণের গাছ শ্বেত আকন্দ ও লাল আকন্দ। শ্বেত আকন্দের ফুলের রং সাদা ও লাল আকন্দের ফুলের রং বেগুনি রং এর হয়ে থাকে।

পাতায় এনজাইম সমৃদ্ধ তরুক্ষীর বিদ্যমান। এতে আছে বিভিন্ন গ্লাকোসাইড,বিটা-এমাইরিন ও স্টিগমাস্টেরল আছে। পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ।

এই গাছের পাতা তরি-তরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়।

শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব কাজে দেয়। তুলসি গাছের গুনের কথা বলে শেষ করা কঠিন। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগে এর রস ব্যবহৃত হয়ে আসছে। গাছটি কৃমিনাশক, বায়ুনাশক, হজমকারক ও রুচিবর্ধক হিসেবে বহুল ব্যবহৃত হয়। বহুবিধ ব্যবহারের জন্য তুলসি পাতাকে বলা হয় কুইন অব হার্ব বা ওষধি গাছের রাণী।

সকালবেলা খালি পেটে তুলসি পাতা চিবিয়ে খেলে মুখের রুচি বাড়বে। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, বলিরেখা ও ব্রণ দূর করতে তুলসী পাতার রস লাগাতে পারেন। ম্যালেরিয়া জ্বরে তুলসি পাতার রস খেলে দ্রুত জ্বর ভালো হয়ে যায়। তুলসির পাতা গরম জলে সিদ্ধ করে ওই জল দিয়ে গড়গড়া করলে মুখ ও গলার রোগজীবাণু মরে, শ্লেষ্মা দূর হয় ও মুখের দুর্গন্ধও দূর হয়। তুলসি পাতার চা শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দূর করে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায়।

তুলসি গাছের বাতাস ও যথেষ্ট উপকারী। তাই সম্ভব হলে বাসার বেলকনিতে বা ফুলের টবে অন্তত একটি তুলসি গাছ লাগান। শতমূলী একটি অতি পরিচিত ঔষধি গাছ। বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই এ গাছ জন্মাতে দেখা যায়। ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ঔষধি শিল্পে বিভিন্ন ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে শতমূলীর ব্যবহার সর্বাধিক।

শতমূলী লতাজাতীয় উদ্ভিদ। সাধারণত অন্য গাছ বা খুঁটিতে ভর করে আঁকাবাঁকা হয়ে বেড়ে উঠে। এর লতায় বাঁকানো কাঁটা থাকে। চারা রোপণের ২ বছর বয়স থেকেই কন্দ সংগ্রহ করা যায়। জমি থেকে খুব সাবধানে খুঁড়ে কন্দ তুলতে হবে যাতে তোলার সময় ছিঁড়ে না যায়।

বিশ্বের মানুষ ঘুরে ফিরে আবার সবাই ভেষজেই ফিরে আসতে যাচ্ছে....অথচ ভেষজ আমাদের দেশ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রায়.. অথচ এটি আমাদের অন্যতম রপ্তাপনী পণ্য হতে পারতো। সারাবিশ্বে আজ পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরিচর্যায় যত চিকিৎসা পদ্ধতি উদ্ভাবিত ও প্রচলিত হয়েছে, তার প্রতিটিরই বিরাট অংশজুড়ে আছে এ ভেষজ উদ্ভিদ। ভেষজ শব্দটির অর্থ হচ্ছে যাহা রোগকে জয় করে অর্থাৎ ওষুধ। যে সকল উপাদান রোগকে আরোগ্য করতে পারে সেগুলোকেই ভেষজ বলা হয়। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর ভেষজ ও পুষ্টিগুণ।

তেঁতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। তেঁতুল দিয়ে কবিরাজি, আয়ুর্বেদীয়, হোমিও, এলোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করা হয়। স্কার্ভি রোগ, কোষ্ঠবদ্ধতা, শরীর জ্বালা করাসহ প্রভৃতি রোগে তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী। তেঁতুল রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। মেদ-ভুঁড়ি কমায়।

পেটে গ্যাস হলে তেঁতুলের শরবত খেলে ভালো হয়। পাকা তেঁতুল কফ ও বায়ুনাশক, খিদে বাড়ায় ও উষ্ণবীর্য হয়। তেঁতুল গাছের বাকল, ফুল, পাতা, বীজ ও ফল সবই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পুরনো তেঁতুল খেলে আমাশয়, কোষ্ঠবদ্ধতা ও পেট গরমে উপকার পাওয়া যায়। পুরনো তেঁতুল খেলে কাশি সারে।

পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি। যে সকল উন্মাদ রোগীর বিষন্নতা এবং আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়, তাদের বেলায় স্বর্ণধাতু দিয়ে তৈরী ওষুধ আরোগ্য সম্পাদন করতে প্রায় ১০০% ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে বলে পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি আবাসস্থল গড়ে তুলতে চান। এছাড়াও দেশের যুবসমাজকে অন্য দেশে গিয়ে কর্মসংস্থান খুজতে না হয় সেজন্য বিভিন্নভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে একটি দেশ উপহার দিয়েছিলেন।

গারো পাহাড়ে এক সময় আমলকী, বহেড়া, হরীতকী, শতমূল, নিমসহ শত শত ঔষধি গাছের সমারোহ ছিল। বাংলাদেশ প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি টাকার হারবাল সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি হচ্ছে। এর বেশিরভাগই আসছে ভারত থেকে। অথচ পরিকল্পিতভাবে উদ্যোগ নেয়া হলে বাংলাদেশ হারবাল সামগ্রী উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে। বাংলাদেশে এক সময় প্রায় ৬শ’ প্রজাতির ভেষজ উদ্ভিদ পাওয়া যেত।

এখন এদের অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে অথবা বিলুপ্তির পথে। অতি পরিচিত বৃক্ষ নিম গাছকে একুশ শতকের বৃক্ষ বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এই সাধারণ নিমগাছ থেকে প্রায় দেড়শ’ রোগের ওষুধ তৈরি করা সম্ভব। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.