আজ খুব সকালে অফিসে আসলাম। ফ্যাক্টরীর গেটের কাছে আসতেই দেখলাম অনেক গুলো দিন মজুর দাড়িয়ে আছে শুকনো মুখে।
ওদের দাড়িয়ে থাকার কথা না। কারন কাজে প্রবেশের সময় পেড়িয়ে গেছে।
ফোরম্যানকে ডেকে জানতে চাইলে সে জানাল যে আজ বাইরে বৃষ্টি হতে পারে, তাই কনস্টাকশন প্রজেক্ট এর যোগালী নেওয়া হবে না।
মানুষ গুলোর শুকনো মুখ দেখে ভারী মায়া লাগল।
তাই অর্ডার করলাম ওদের অন্য কাজে লাগাও। লোকগুলো এখন যাবে কোথায়? সবার সুবিধাই দেখতে হবে। আমি ওদের কোন কাজে লাগানো যায় তা বলে দিলাম। সাত হাজার শ্রমিকের মাঝে দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া লোক গুলোর অবস্তাই সবচেয়ে বেশি নাজুক।
এদের শ্রম আইন অনুয়ায়ী কোন প্রকার বেনিফিট দেওয়া হয় না। জ্বর হলে বা ঝড় হলে ওদের রোজগার বন্ধ হয়ে যায়।
অফিসে এত সকালে সাধারণত আসিনা। তাই অনাহারীদের মুখ গুলো আগে নজরে পড়েনি। বৃষ্টি নিয়ে আমি অনেক রোমান্টিক গল্প কবিতা লিখেছি।
কিন্তু ওদের কথা লিখিনি। এই অপূর্নতা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে।
বৃষ্টি যখন আমার মত আরাম প্রিয় আয়েসি কবি মনকে আনন্দ দেয় আরেকটি নতুন কবিতা অথবা গল্প লিখতে প্লট সৃষ্টি করে দেয় তখন আমি বৃষ্টিকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
আমি লজ্জিত।
বৃষ্টি তুমি সবার মঙ্গল বয়ে আন।
এই ধরনীতে একটি মানুষও যেন অনাহারী না থাকে। তোমার বর্ষনের সাথে গরীব মানুষ গুলোর বর্ষন যেন মিশে না যায়! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।