যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে.
২/৩ দিন ধরেই খুব মন চাইছিল মুড়িঘন্টো করবো। তাই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। দেশে আম্মাকে ফোন করে জেনে নিয়েছিলাম কি করে করতে হয়। এমনকি এখানে ২/১ জনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। আজকে এই রান্না করতে যেয়ে আমার হাউজমেট বললো "মুড়ি কই, মুড়িঘন্টো করবা না?" (হা হা প গে)
যাই হোক, এইবার আসুন জেনে নেই কি করে করতে হয় -
উপকরণঃ
১।
মুগ ডাল (২ কাপ)
২। হলুদের গুড়া (আধা চামচ)
৩। মরিচের গুড়া (১ চামচ)
৪। তেজপাতা (২ টা)
৫। লবণ (পরিমাণমত)
৬।
মরিচ (শুকনা ২ টা)
৭। পিয়াজ
৮। টমেটো (১ টা হলে ভাল হয়)
৯। গরম মসলা
১০। জিরার গুড়া (আধা চামচ)
১১।
সয়াবিন তেল (পরিমাণমত)
১২। মাছের মাথা, কাটাকুটা
কি ভাবে করবেনঃ
১। মাছের মাথা বা কাটাকুটা যা আছে তা ভালমত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২। লবণ আর হলুদের গুড়া মিশিয়ে ভালমত মাখিয়ে নিন।
৩। চুলায় কড়ই বসিয়ে হাল্কা তেল দিয়ে মাছগুলো ভাজুন এবং সময়মত নামিয়ে ফেলুন।
৪। আর একটি কড়ইতে মুগ ডাল নিন এবং ভাজতে থাকুন। খেয়াল রাখবেন যাতে পুড়ে না যায় বেশি।
৫। এইবার একটি পাতিল নিন এবং তা চুলায় দিয়ে তেল দিন
৬। প্রথমে পিয়াজ তেলে ছেড়ে দিয়ে ভাজতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর মরিচ আর টমেটো দিন।
৭।
হলুদের গুড়া, মরিচের গুড়া, শুকনা মরিচ তেজপাতা দিয়ে ভাল মত ভাজুন
৮। আধা চামচের মত লবণ দিন এবং ভালমত নাড়ুন
৯। জিরার গুড়া আর গরম মসলা দিন
১০। এইবার ভাজা মুগ ডাল দিয়ে দিন মিশ্রণটিতে এবং নাড়তে থাকুন
১১। ২ কাপ পানি ঢালুন এবং ঢেকে দিন পাতিলটি মধ্যম মাত্রায়
১২।
মিনিট ২০ পর পানি যখন কষিয়ে আসবে তখন ঢাকনা সরিয়ে দেখুন ডাল নরম হয়েছে কি না!
১৩। এবার ভাজা মাছগুলো দিয়ে দিন পাতিলে।
১৪। ভালমত নেড়ে ৩ / ৪ কাপ পানি দিন এবং ঢেকে রাখুন পাতিল মধ্যম মাত্রায়।
১৫।
পরিমাণমত লবণ দিয়ে নেড়ে দিন।
১৬। কমপক্ষে ৪৫ মিনিট মধ্যম মাত্রায় রাখুন। যত বেশি সময় চুলায় রাখবেন ততই ভাল হবে।
ব্যস হয়ে গেল মজাদার মুড়িঘন্টো!
সাবধানতাঃ
যেহেতু আজই প্রথম করেছি রান্না তাই কিছু ভুল থাকতেই পারে।
যেমনঃ ১। মুগ ডাল না ভেজে সেদ্ধ করলেই সবচেয়ে ভাল হত। আপনারা সেদ্ধ করেও করতে পারেন।
২। যেহেতু ভেজে রান্না করেছি তাই ডাল পুরোপুরি গলতে বেশ সময় লেগেছে।
তাই রান্না করা অবস্থাতেই ডাল যাতে তারাতারি গলে যায় তাই ভালমত পিষিয়েছি (এখানে ডাল, আলু ম্যাসার পাওয়া যায়) তাতে বেশ মজাদার হয়েছে।
৩। আদা, রসুন দেই নি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।