“ইসলাম ও ব্লাসফেমি আইনের সমালোচনা করা কোনভাবেই অন্যায় নয়, বরং মৌলিক অধিকার। এই ব্লাসফেমি আইন অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। “ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে অতিথি বক্তা হিসেবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও বাক স্বাধীনতার পরিস্থিতির সমালোচনা করে সম্প্রতি এই বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত, নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
গত ৪ জুন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে বক্তৃতাকালে তসলিমা নাসরিন আরও বলেন, বিগত বছরগুলোতে ইসলামী গোষ্ঠীগুলো বাংলাদেশে অধিকতর শক্তিশালী হয়েছে। যারাই তাদের এই উত্থানের প্রতিবাদ করছে, তাদেরই তারা নির্যাতন করেছে, আহত বা হত্যা করছে।
আর এভাবেই তারা তাদের শক্তির প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। http://www.notun-din.com/?p=3403
তসলিমা নাসরিন দাবি করেন, ধর্ম বিশ্বাস করলে যেমন কাউকে হত্যা করা হয় না, তেমনি ধর্মে অবিশ্বাসকারীকেও কোনভাবেই হত্যা করা যাবে না। এটাই গণতন্ত্র।
নারীবাদী এই লেখিকা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উদ্দেশ্যে বলেন, তাদের উচিত বাংলাদেশের মুক্তমনা, যুক্তিবাদী, বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং ধর্মে অবিশ্বাসীদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করা। আটক ব্লগারদের মুক্তির জন্য বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়া উচিত এই সংসদের।
তসলিমা নাসরিন কাজ করেন নারীর স্বাধীনতা, বাক স্বাধীনতা ও সেক্যুলারিজমকে নিয়ে। আর তার এই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বেলজিয়ামের বিজ্ঞান, কলা এবং সাহিত্য বিষয়ক রয়েল একাডেমি তাকে পুরষ্কৃত করেছে। পুরষ্কার গ্রহণ করার সময় তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের নারীদের বর্তমান পরিস্থিতি, স্বাধীনতার পাশাপাশি বাংলাদেশের ইসলামী চরমপন্থীদের উত্থান নিয়েও কথা বলেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।