ইহুদি সম্প্রদায়ের নবী ও আমাদের নবী । খ্রিস্ট্রান সম্প্রদায়ের নবী ও আমাদের নবী । যুগে যুগে সকল জাতির জন্য সকল গোত্রের জন্য সতর্ককারি এসেছেন , পথপ্রদর্শক এসেছেন সকলেই আমাদের নবী । তাদের উপর আমাদের ঈমান না থাকলে আমরা মুসলমানই না ।
এবার আসি জিহাদ প্রসংগে ।
আমাদের ভুল কি জানেন ? আমরা না পড়ে কারো কথার উপর ভিত্তি কথা বলি । মনে রাখবেন জগতের সকল ধর্মে হত্যা ও যুদ্ধের কথা আছে । হিন্ধু ধর্মে কৃষ্ণ অর্জুনকে যুদ্ধের কথা বলেছেন যুদ্ধের মাঠে শত্রু হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন , তেমনি খ্রিস্টান ধর্মেও এক অবস্থা । মনে রাখবেন কুরানের একটা আয়াত বা বেদ / গীতার একটা শ্লোক কোন সময়ে ও পরিস্থিতিতে নাজিল হয়েছে । তখনকার অবস্থা কি ছিলো ।
পড়তে হবে , হাজার হাজার পেজের বই আপনাকেই পড়তেই হবে যদি ধর্ম জানতে ও বোঝতে চান । কোনো ধর্মেই স্রষ্টা শুধু শুধু হত্যার কথা বলেন নি । আচ্ছা আমি যদি বলি আমাদের স্বাধিনতার যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা চালিয়েছে , তারা পাকিদের হত্যা করতে বলেছেন ও হত্যা করেছেন , তারা নির্দয় , তারা অপরাধি । তাহলে আপনি আমাকে কি বলবেন ? পাগল বলবেন । কারন মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করে অন্যায় করেননি আর তারা অন্যায় ভাবে হত্যা করেননি তারা প্রতিরোধ করেছেন ।
তারা দুষ্টের দমন করেছেন , ধর্মের ক্ষেত্রেও এমন ।
বিদায় হজের ভাষনে নবী (সাঃ ) বলেন "ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না। এতদ্বিষয়ে সীমা লঙ্ঘনের কারণে তোমাদের পূর্ববর্তী বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। মনে রেখো! তোমাদের সবাইকেই আল্লাহর দরবারে উপস্থিত হতে হবে। তাঁর কাছে এসব কথার জবাবদিহি করতে হবে।
সাবধান, তোমরা আমার পরে পথভ্রষ্ট হয়ে যেয়ো না, খোদাদ্রোহী হয়ে পরস্পরে রক্তপাতে লিপ্ত হয়ো না। " "শুনে রেখো, অন্ধকারযুগের সব কুসংস্কার, সকল অন্ধবিশ্বাস এবং সব ধরনের অনাচার আজ আমার পায়ের নিচে দাফন করা হলো। বর্বর যুগের শোণিত-প্রতিশোধ প্রথা আজ থেকে রহিত করা হলো। .... আমি সর্বপ্রথম আমার স্বগোত্রের প্রাপ্য সুদ ও সব ধরনের রক্তের দাবি রহিত ঘোষণা করছি। .... মনে রেখো! একজনের অপরাধে অন্যকে দণ্ড দেওয়া যাবে না।
পিতার অপরাধে পুত্র এবং পুত্রের অপরাধে পিতাকে অভিযুক্ত করা চলবে না। ""অনারবদের ওপর আরবদের প্রাধান্যের কোনো কারণ নেই। মানুষ সবাই আদমের সন্তান আর আদম মাটি থেকে সৃষ্ট। জেনে রাখো, নিশ্চয়ই এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই, আর জগতের সব মুসলমান মিলে এক অবিচ্ছেদ্য ভ্রাতৃসংঘ। ""অতঃপর হে লোকেরা! নারীদের বিষয় আমি তোমাদের সতর্ক করছি।
তাদের প্রতি নির্দয় ব্যবহার করার সময় তোমরা আল্লাহর শাস্তির কথা ভুলে যেয়ো না। নিশ্চয়ই তোমরা তাদের আল্লাহর জামিনে গ্রহণ করেছ এবং তাঁরই কালাম দ্বারা তাদের সঙ্গে তোমাদের দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। মনে রেখো, তোমাদের সহধর্মিণীদের ওপর তোমাদের যেমন দাবিদাওয়া ও অধিকার রয়েছে, তেমনি তোমাদের ওপরও তাদের দাবিদাওয়া ও স্বত্ব্বাধিকার রয়েছে। পরস্পর পরস্পরকে নারীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করবে। স্মরণ রাখবে, এ অসহায়দের একমাত্র সহায় তোমরাই।
বর্তমানে যে ইসলাম ধর্ম আমরা দেখি তা আসলে বিকৃত ইসলাম । যে যমন খুশি তেমন করে ইসলামের ব্যাখ্যা দিচ্ছে। Click This Link এই লিংকে গিয়ে তার কিছু নমুনা দেখুন । সত্যিকার ইসলাম বলতে শুধুই কুরান আর হাদিস । এর মাঝখানে আর কিছুই নাই ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।