ভালো। নাটোরে এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর পুলিশের হাতে আটক হয়েছে দুই যুবলীগ কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের জংলী গ্রামে। স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়নের বুড়ির বটতলা গ্রামের শুকচান আলীর কিশোরী কন্যা কয়েক দিন আগে জংলী গ্রামে তার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সে নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য জেদ করলেও বোন-দুলাভাই তাকে আরও কয়েকদিন তাদের কাছে থাকার কথা বলে।
এতে সে তাদের ওপর রাগ করে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে মোবাইল করার জন্য একাই স্থানীয় জংলী মোড়ের দিকে আসতে থাকে। এসময় বড় বোনও তার পেছনে পেছনে আসতে থাকে। বড় বোনের চোখের সামনেই তেবাড়িয়া এলাকার যুবলীগ কর্মী মৃত আনছার আলীর ছেলে কালু মিয়া ও ছোট জংলী গ্রামের মৃত গোলাম মোস্তফার ছেলে রাব্বানী ওরফে টুরু মিয়া কিশোরীটিকে মুখ চেপে অপহরণ করে রিকশায় তুলে নিয়ে যায়। এসময় বড় বোন চেঁচামেচি শুরু করলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। স্থানীয় লোকজন অনেক রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পরও কোন সন্ধান না পেয়ে বড় বোন ও এলাকাবাসী রাতেই অপহরণকারী কালু ও টুরু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে ছোট বোনকে ফেরত চায়।
এসময় ওই দু’জনের শরীরে এবং কাপড়-চোপড়ে কাদা ও ময়লার দাগ দেখে তাদের সন্দেহ হয়, কিশোরীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। অপহরণকারীরা জানায়, কিশোরীকে বাবার বাড়ি বুড়ির বটতলায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পরে ভোর বেলায় বড় বোন নাটোর সদর থানায় অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভোরে অভিযান চালিয়ে জংলী রেলগেট এলাকা থেকে দুই ধর্ষককে আটক করে এবং ধর্ষিতা কিশোরীকেও উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানায় ধর্ষিতার বড় বোন বাদী হয়ে যুবলীগকর্মী ধর্ষক কালু ও টেরু মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে।
ধর্ষিতা কিশোরীকে মেডিকেল টেস্ট করানো হয়েছে। কিশোরীকে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদিকে ধর্ষিতার বড় বোন জানান মামলা প্রত্যাহারের জন্য তাকে ক্রমাগত ভয়ভিতী ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।