রোববার রাতে পাঁকা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মোহন আলীর (৩২) লাশ উদ্ধার করা হয়।
মোহন ওই গ্রামের হারেজ প্রামাণিকের ছেলে। তিনি একটি গোলাগুলির মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশের ধারণা, মোহন আত্মহত্যা করেছে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কৃষ্ণমোহন সরকার জানান, রোববার রাত আটটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁকা গ্রামের একরামুল আলমের বাড়ি থেকে এক রাউন্ড গুলিসহ একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
“পুলিশের কাছে খবর ছিল, পিস্তলটি অস্ত্র মামলার পলাতক আসামি মোহনের। এ ঘটনার পর রাত সাড়ে ৮টায় মোহনের ঘরে তার ঝুলন্ত লাশের সন্ধান মেলে। ”
“আমার ধারণা মোহন হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন। কারণ তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নাই।
”
তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে বলে জানান এসআই কৃষ্ণমোহন।
নাটোর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মোহন আলীর লাশ সোমবার দুপুরে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে বিকালে মোহনের ভাই গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে বাগাতিপাড়া থানায় এলাকার লালন আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে জানান এসআই কৃষ্ণমোহন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, লালনের সঙ্গে মোহনের বিরোধ আছে। লালন মোহনের নামে একটি মামলা দেয়।
এ কারণেই তাকে অস্ত্রসহ ফাঁসাতে চেয়েছিল। কিন্তু অস্ত্র উদ্ধারের সময় মোহনকে পুলিশ পায়নি।
আসামিরা তাদের বাড়ি এসে বালিশচাপা দিয়ে মোহনকে হত্যা করে। হত্যার দায় থেকে বাঁচার জন্য মোহনের লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।