২০০৫-০৬ অর্থবছরের তথ্যকে ভিত্তি ধরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায় পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মার্চে এ হার ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ ছিল।
মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরের তথ্যকে ভিত্তি ধরে করা পুরনো হিসাবেও। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। মার্চে এ হার ছিল ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এ তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানত চাল, মাছ, ফল, দুধ ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির কারণেই সার্বিক মূল্যস্ফীত ঘটেছে।
এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত খাতে পরিধেয় বস্ত্র, বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালীর সামগ্রী, পরিবহন ব্যয়, শিক্ষা উপকরণসহ বিভিন্ন দ্রব্য ও সেবার দাম বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন হিসাবে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। মার্চে এ হার ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ছিল।
তবে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে এপ্রিলে ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ হয়েছে। মার্চে এ হার ছিল ৮ দশমিক ০৪ শতাংশ শতাংশ।
পুরনো হিসাবে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি মার্চের ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে এপ্রিলে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ হয়েছে।
আর খাদ্যবহির্ভূত খাতে ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬ দশমিক ৮১ শতাংশ হয়েছে।
গত ১৮ জুলাই পরিসংখ্যান ব্যুরোর টেকনিক্যাল কমিটির সভায় ২০০৫-০৬ ভিত্তি বছরের সিপিআই (ভোক্তার মূল্য সূচক) অনুমোদন দেয়া হয়।
সে ভিত্তিতে ২০০৫-০৬ ভিত্তি বছরের পাশাপাশি ১৯৯৫-৯৬ ভিত্তিবছরের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।