আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এপ্রিলে বিএনপির কাউন্সিল

দলকে গতিশীল করতে আগামী এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হতে পারে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল। নির্বাহী কমিটিতে আসতে পারে আমূল পরিবর্তন। সরকারবিরোধী রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামকে মাথায় রেখে নতুন উদ্যমে ঘুরে দাঁড়াতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এক বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়েই চলছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। নির্বাহী কমিটির অধিকাংশ সদস্যই নিষ্ক্রিয়।

আন্দোলনে মাঠে নেই তারা। অবশ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে আগামী মে মাস পর্যন্ত কাউন্সিল করার সময় বাড়িয়ে নিয়েছে দলটি।

জানা গেছে, নির্বাহী কমিটির শতাধিক সদস্য পদে নতুন মুখ আসতে পারে। বিশেষ করে আন্দোলন-সংগ্রামে নিষ্ক্রিয় সদস্যদের বাদ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার। এ নিয়ে ইতোমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে।

বেগম জিয়া একাধিক ঘরোয়া বৈঠকে আন্দোলনে থাকা নেতাদের নেতৃত্বে এনে দলে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

বিএনপির একাধিক নেতা জানান, কোনো কারণে এপ্রিলে কাউন্সিল করতে না পারলেও মে মাস পর্যন্ত নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কারণ নেতৃত্বে পরিবর্তন এলে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেও গতিশীলতা আসবে বলে মনে করেন দলের নীতিনির্ধারকরা। নির্বাহী কমিটিতে অপেক্ষাকৃত তরুণ সৎ ও যোগ্য নেতারা স্থান করে নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। কাউন্সিল প্রসঙ্গে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা অবশ্যই কাউন্সিল করব।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাউন্সিল করতে পারিনি। তবে নতুন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলে আগামী এপ্রিলের মধ্যেই কাউন্সিলের কথা ভাবছি। এখন আমরা উপজেলা নির্বাচনকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে বাধ্যবাধকতার কারণে কাউন্সিল করতেই হবে। নির্বাহী কমিটিতেও কিছু পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটিতেও একাধিক নতুন মুখ আসতে পারে। বিশেষ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পূর্ণাঙ্গ মহাসচিব হলে পদাধিকার বলে তিনি স্থায়ী কমিটির সদস্য হবেন। এ ছাড়া অসুস্থ থাকা কয়েকজন স্থায়ী কমিটির সদস্যের স্থলে নতুন কাউকে স্থলাভিষিক্ত করা হতে পারে। এক্ষেত্রে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সাদেক হোসেন খোকার নাম শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিবসহ নির্বাহী কমিটির বেশ কয়েকটি শূন্য পদও পূরণ করা হতে পারে।

বিগত পাঁচ বছরে আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা পালন করা ক্লিন ইমেজের নেতারা শূন্য পদে স্থান পাবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, যথাসময়ে কাউন্সিল হবে। আর কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন নির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে।

জানা গেছে, বিএনপির সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল হয় ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলের মেয়াদ তিন বছর।

সে অনুযায়ী কাউন্সিল হওয়ার কথা ছিল ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাতীয় কাউন্সিল করতে ব্যর্থ হলে ওই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করার ক্ষমতা রাখে নির্বাচন কমিশন। ২০১৩ সালে কাউন্সিল আয়োজনের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিলেও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানসহ দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সরে আসে দলটি। তবে নির্বাচন কমিশনের বিধি মেনে ওই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে ২০১৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত কাউন্সিল আয়োজনের সময় চায় দলটি।

 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.