আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোন পাথরের কোন গুণ

শিপু সুখের পাশাপাশি মানুষের জীবনে রয়েছে দুঃখ। সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতাও। সবাই চায় জীবনে সুখী হতে, সফলতা পেতে। কিন্তু মানুষ ভাবে এক হয় আর এক। এই নেতিবাচক পরিস্থিতিকে এড়াতে কেউ কেউ গ্রহণ করেন বিভিন্ন রত্ন পাথর।

এর মাধ্যমে হাসিল করতে চান সাফল্য। সফলতা ও ব্যর্থতা আসলে মানুষের নিজ হাতেই। তারপরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব রত্ন পাথর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বলে একটি বিশ্বাসের প্রচলন আছে দুনিয়ায়। এসব পাথর বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মানতে হয় কিছু দিকনির্দেশনা। আর জানা দরকার রত্ন পাথরেরও নর ও নারী লিঙ্গভেদ আছে।

ব্যবহারের ক্ষেত্রে পুরুষদের জন্য নারী ও নারীদের জন্য নর শ্রেণীর রত্ন পাথর প্রযোজ্য। ব্যবহারে ঠিকমতো সমন্বয় ঘটলে ফল মেলে। বদলে যেতে পারে মানুষের ভাগ্য। কেউ কেউ এসব রত্ন পাথর ধারণ করে রাতারাতি সাফল্য চান। তা কখনোই সম্ভব নয়।

কারণ অনেক সময় এসব রত্ন পাথরের উপর গ্রহ নক্ষত্রের শুভ-অশুভ প্রভাব বিরাজমান। কষ্টি বিচারের সময় দুর্বল লগ্নপতি, রাশিপতি অথবা গ্রহের দৃষ্টিচক্র বিবেচনা ও সার্বিক বিচার বিশ্লেষণে এক বা সর্বোচ্চ দু’টি যথোপযুক্ত রত্ন পাথর নির্বাচন করা উচিত। আর কারও কষ্টি না থাকলে রত্ন পাথর নির্বাচন করতে হবে হস্তরেখা বিচার করে। নিম্নে বিভিন্ন রত্নপাথরের কার্যকারিতা বা গুণ পত্রস্থ হলো— গোমেদ সাধারণত অশুভ রাহু কাটাতে এটি ব্যবহার করা হয়। মামলা-মোকদ্দমা, পরকীয়া, পারিবারিক কলহ, অর্থনাশ ইত্যাদির জন্য গোমেদ কে কার্যকর মনে করা হয়।

সচরাচর জানুয়ারি মাসে জন্মগ্রহণকারীদের জন্য এই পাথর বেশি উপযোগী। অর্থাত্ মকর ও কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকার জন্য গোমেদ বেশি কার্যকর। অ্যাকুয়ামেরিন দাম্পত্য কলহ, পারিবারিক অশান্তি, মানসিক অস্থিরতা, আর্থিক টানাপোড়েন, সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন, গোপন শত্রুতা ইত্যাদি দূর করতে অ্যাকুয়ামেরিন একটি কার্যকর রত্নপাথর। ব্যবহারকারীদের ওপর পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে মীন রাশির জাতক-জাতিকার জন্য এটি বিশেষ ফলদায়ক। হীরা বেশিরভাগ মানুষের কাছে হীরা অত্যন্ত জনপ্রিয় পাথর।

অশুভ প্রভাব ঠেকাতে এটি অত্যন্ত ফলদায়ক। সামাজিক সম্মান, প্রেমে সাফল্য, প্রেমিকার মন জয়, দাম্পত্য সুখ, আর্থিক স্বচ্ছলতা ও হারানো গৌরব পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে হীরা নির্বাচন করা হয়। সাধারণত মেষ রাশির জাতক-জাতিকার জন্য একে সৌভাগ্য পাথর মনে করা হয়। পান্না আলোচনায় রত্ন পাথরের মধ্যে হীরার পরেই পান্নার অবস্থান। ব্যবসায়িক সফলতা, সচ্ছলতা, সামাজিক প্রতিপত্তি ও হূদরোগ উপশমে পান্না অত্যন্ত উপযোগী বলে পরীক্ষিত।

পান্না হাতে পরলে অভাব ও দারিদ্র কাছে ঘেঁষতে পারে না বলে অনেক জ্যোতিষীর অভিমত। শুভ রত্ন হিসেবে মিথুন রাশির জাতক-জাতিকার জন্য পান্না বেশ কার্যকর। মুক্তা ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে মুক্তা পরলে বিশেষ উপকার মেলে। অশুভ চন্দ্রকে বশে এনে শুভর প্রভাব জোরদারে এটি বিশেষ কার্যকরী। দাম্পত্য অস্থিরতা, মানসিক অশান্তি, ক্ষয় রোগের উপশম, আর্থিক অসচ্ছলতা-ইত্যাদির জন্য মুক্তা পরলে উপকার পাওয়া যায়।

সাধারণত কর্কট রাশির জাতক-জাতিকার জন্য এ পাথর বিশেষ মানানসই। রুবি অশুভ রবির জন্য এই রত্ন পাথর পরলে উপকার মেলে। তা সামাজিক দুর্নাম, আর্থিক সচ্ছলতা ও অন্যের শত্রুতা থেকে দূরে রাখতে সহায়ক। যাদের সহজে বিয়ে হতে চায় না, তাদের জন্য এটি বিশেষ কার্যকর। এই পাথরের গুণে সুখশান্তি বিরাজ করে।

অশুভ ও কুচক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা এটি ব্যবহার করেন। প্রবাল যশ, খ্যাতি ও আত্মসম্মান বৃদ্ধিতে প্রবালের জুড়ি নেই। অশুভ মঙ্গলকে বশে আনতে এই পাথর বিশেষ কার্যকর। পারস্পরিক শত্রু, ক্রোধ, হানাহানি ইত্যাদির রক্ষাকবচ হিসেবে প্রবালের বেশ প্রচলন আছে। মিথুন রাশির অশুভকে শুভর দিকে ধাবিত করতে প্রবাল বেশ কার্যকর।

তা বাম হাতের যে কোনো আঙ্গুলে পরলে দ্রুত ফল পাওয়া যায়। নীলা কর্মস্থলে ব্যর্থতা, দাম্পত্য কলহ, অর্থনাশ, মানসিক সমস্যা ইত্যাদি থেকে পরিত্রাণ পেতে নীলা পরা হয়। অশুভ শনিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটি অত্যন্ত কার্যকর। যে কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তির অবসানে তা ফলদায়ক। বিশেষ করে কন্যা রাশির জাতক-জাতিকার জন্য নীলা জোরালো ভূমিকা রাখে।

ডান হাতের যে কোনো আঙ্গুলে বা বাম হাতের বাহুতে পরলে খুব সহজে সামাজিক ও দাম্পত কলহ এড়ানো সম্ভব নয়। উৎস http://dnewsbd.com/single.php?id=35095  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৬৯ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।