আমার ব্যক্তিগত ব্লগ
আগে থেকে ধারণা করে রেখেছিলাম, নেপালে গেলে ভারত-বাংলাদেশের অনেক বড় বড় নদীর উৎস ছোট ছোট প্রবল স্রোতের নদী দেখতে পাব। যখন প্রথম নেপাল বর্ডার থেকে চলা শুরু করলাম, মনে হলো,নেপালে বোধহয় পাহাড়িয়া এলাকা নেই! তারপর একপর্যায়ে পেলাম নদীর দেখা। কিন্তু একি অবস্থা? এক ফোটা পানি নেই, আর গভীরতা আমাদের দেশের মাঠের চেয়েও কম। তাহলে আমরা যে নদীতে এত পানি দেখি সেটা কোথ্থেকে আসে? এসব নদী জুড়ে শুধু পাথর আর পাথর। ছোট বড় নানা রংয়ের নানা আকারের নুড়ি পাথর বিছানো পুরো নদি জুড়ে।
মাঝে মাঝে চোখ পড়ল পাথরের ঝড়না। সত্যিই পাথরের ঝর্ণা। পাহাড় থেকে নালার আকারে নুড়ি পাথর গড়িয়ে পাথরের নদীতে গিয়ে পড়েছে। রং প্রধানত: সাদা। তবে নীল আর হালকা লাল রংও চোখে পড়ল।
বিশাল এই পাথরের নদী। কয়েক ঘন্টা ধরে আমাদের রাস্তা এই নদীর পাশ দিয়ে গিয়েছিল, তারপর জংগলে ঢুকে গিয়েছে।
রাস্তায় বড় বড় অনেক ব্রীজ পার হয়েছি যার নিচে শুধু পাথর আর বালি। কোন কোন জায়গায় এক পাশ দিয়ে নালার মতোন পানি গরিয়ে যাচ্ছে।
পাথর এতো পাওয়া যায় বলেই হয়তো রাস্তার পাশে জায়গায় জায়গায় দেখলাম, তারের চৌকোনা বক্স তৈরি করে তাতে পাথর ভরে পাথরের বাঁধ দেয়া হয়েছে।
রাস্তার পাশের ড্রেন গুলো সিমেন্ট আর পাথর দিয়ে বানানো। নেপালে অনেক বাসা দেখেছি পাথরের। নেপাল থেকে শিলিগুড়িতে ফেরার পর শুনেছি, নেপাল থেকে ট্রাক ভরে ভরে পাথর আসে ভারতে, আর ভারত থেকে নেপালে যায় বহুকিছু।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।