জেল থেকে বেরোনোর পর মির্জা ফখরুলের কথার তেজ কমে গেছে। এছাড়াও বিএনপির অধিকাংশ নেতারা ঝিমিয়ে পড়ছে। আন্দোলনের মাঠে জামায়াতকে না পেয়ে বিএনপির গতি একেবারে শূন্যের কোঠায়। সেই রকম একটি সংবাদ চোখে পড়লো যায়যায়দিনে-শিরোনাটি এরকম-
ঘোষণা দিয়েও নয়া পল্টনে সমাবেশ করেনি বিএনপি
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিলেও ঢাকা মহানগর বিএনপি নয়া পল্টনে সমাবেশ করেনি। সমাবেশ করার বিষয়টি দপ্তর থেকে ঘটা করে জানানো হলেও মহানগর বিএনপি বলেছে, কোনো সমাবেশের খবর তাদের জানা নেই।
রোববার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোটের বিক্ষোভ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১১ জুন ১৮ দলীয় জোটের ঢাকার সমাবেশ থেকে জোটনেত্রী খালেদা জিয়া ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, দুঃশাসন, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি সমস্যা ও অসহনীয় যানজট নিরসনে সরকারি ব্যর্থতার প্রতিবাদে সারাদেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে সমাবেশ, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। ঢাকায় ওই বিক্ষোভ সমাবেশ নয়া পল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি এবং এর সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং ১৮ দলীয় জোটের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার অনুরোধ জানানো হয়। এ খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে রোববার প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়।
এর ভিত্তিতে বিএনপির কিছু সংখ্যক সমর্থক ও সংবাদকর্মী যথাসময়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ চোখে না পড়ায় টেলিফোনে রিজভী আহমেদের সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি জানান, ১১ জুনের খালেদা জিয়া ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ীই সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছে। আর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালাম জানান, বিএনপির দপ্তর ভুল করে প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি সংবাদ মাধ্যমে পাঠিয়েছে। রোববার নয়া পল্টনে ১৮ দলীয় জোটের কোনো বিক্ষোভ ছিল না।
এদিকে রোববার সকাল ১১টায় ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান এবং সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে ঢাকার জেলা প্রশাসক মহিবুল হকের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে ঢাকা জেলা বিএনপি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি ডা. দেওয়ান সালাহউদ্দিন, ঢাকা জেলা যুবদলের আহ্বায়ক নাজিমুদ্দিন, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম পল প্রমুখ। এ সময় আমান উল্লাহ আমান বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, দুর্নীতি বন্ধ, দুঃশাসনের অবসান, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি সমস্যার সমাধান এবং অসহনীয় যানজট নিরসনের দাবিতে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে স্মারকলিপি পৌঁছে দেয়া হবে বলে জেলা প্রশাসক মহিবুল হক তাদের আশ্বস্ত করেছেন।
এই সংবাদ।
আর এটা যদি হয় বিএনপির আন্দোলনের রূপ, তাহলে যুদ্ধাপরাধীরা তো তাদের সঙ্গে আর জোট বাধবে না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।