আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অস্থিরতায় বিনিয়োগে ভাটা, ব্যাংকে জমছে টাকা

নির্বাচন ঘিরে হরতাল-অবরোধের মধ্যে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ঝুঁকির মুখে বড় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও বিনিয়োগের বদলে টাকা রাখছেন ব্যাংকে, যার কারণে ব্যাংকগুলো একের পর এক সুদের হার কমালেও বাড়ছে আমানত।

তবে আমানতের এসব অর্থ ব্যাংকও বিনিয়োগ করতে না পারায় ব্যাংকগুলোতে অলস অর্থ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ মাসে ব্যাংকগুলোতে  এক লাখ কোটি টাকারও বেশি আমানত বেড়েছে।   

গত অক্টোবরের শেষে ব্যাংকগুলোর মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়ায় ছয় লাখ ১১৯ কোটি টাকায়।

২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের পরিমাণ ছিল পাঁচ লাখ ৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা।

তার আগের বছর মে মাসে ব্যাংকগুলোর মোট আমানত ৪ লাখ কোটি টাকায় পৌঁছায়।

এ পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, আগের বছর ব্যাংকিং খাতের আমানত বৃদ্ধি এক লাখ কোটি টাকা ছাড়াতে ১৭ মাস লাগলেও এবার লেগেছে মাত্র ১৩ মাত্র।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ ডিসেম্বর ব্যাংকগুলোতে মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ১২ হাজার ২৬৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

২০১৩ সালের জানুয়ারিতে আমানতের গড় সুদ হার ছিল ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, যা ধারাবাহিকভাবে কমে অক্টোবর শেষে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশে।

এদিকে ব্যাংকিং খাতে বর্তমানে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা  অতিরিক্ত তারল্য অলস পড়ে আছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতা আর আমানত সংগ্রহে ব্যাংকগুলোর প্রতিযোগিতার কারণে মোট আমানতের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাসান জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ব্যাংকগুলো আমানত সংগ্রহে বেশ তৎপর। বেসরকারি ব্যাংকগুলো গ্রাম ‌পর্যায়ে শাখা খুলছে। আমানতের জন্য আকর্ষণীয় বিভিন্ন সেবা চালু করছে।

“অন্যদিকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিনিয়োগ করতে না পেরে ব্যাংকে টাকা রেখেছেন। এ কারণে মোট আমানত দ্রুত বেড়েছে। ”

তবে ব্যাংকের আমানত বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “আগের বছরের তুলনায় গত বছরের আমানতের প্রবৃদ্ধির হার প্রায় কাছাকাছি। ”

ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ ব্যাংকার্সের(এবিবি) চেয়ারম্যান ও ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী রেজা ইফতেখার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিভিন্ন কারণেই বাজারে অনেক অলস অর্থ রয়েছে।

কিন্তু বিনিয়োগের সুযোগ সেরকম নেই।

“আবার সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও অনেক অর্থ রয়েছে। এই অর্থ ব্যাংকগুলোতে চলে আসায় ব্যাংকিং খাতের আমানত বাড়ছে। ”


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.