একি আজব কারখানা........... বাচ্চা ভয়ংকর, কাচ্চা ভয়ঙ্কর... তারপরেও দেখবেন শিশুদের দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। তাই তাদের ভবিষ্যতের জন্য আমাদের কিছু সাইকোলজিকাল জিনিস মাথায় রাখাটা বেশ জরুরী।
বাচ্চাকাচ্চারা সবসময়ই অনুকরন প্রিয়। তারা তাদের আশেপাশের মানুষদের অনুসরন করে, অনুকরন করে। খেয়াল করলে দেখবেন তারা ডাক্তার-পেশেন্ট, পুলিশ-চোর, রান্নাবাটি ইত্যাদি খেলার মাধ্যমে অনুকরন করে নিজেদের নোটিশ করা ক্যারেক্টারদের।
এই আচরন বেশি দেখা যায় ৩- ৮ বছরের শিশুদের মাঝে। সাইকোলজিস্ট মিড এবং হেগেল প্রথম এই ব্যাপারটি নিয়ে গবেষনা করেন এবং একটি থিওরী দেন, যার নাম রোল টেকিং থিওরি।
আমরা কখনো ছেলে, মেয়ে, আবার কখনো ছাত্র বা বড় ভাই বোন, শিক্ষক, চাকুরিজিবী। এগুলো হচ্ছে আমাদের সামাজিক স্টাটাস। এই স্টাটাস অনুযায়ি আমাদের প্লে করতে হয় নানান রোল।
যেমন, বাবা-মা স্টাটাসে আমাদের রোল হলো সন্তানের দায়িত্ব নেয়া, ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করা, ব্লগার হিসেবে ব্লগিং করা, আবার চাকুরিজিবী হিসেবে নিজেদের জব ঠিকভাবে করে যাওয়া। কিন্ত শিশুদের একটাই স্টাটাস, শিশু। কাজেই তারা নানান সময়ে আমাদের স্টাটাস অনুযায়ি রোল ফলো করার চেষ্টা করে। এই ব্যাপারে সবচাইতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখে পরিবার।
সাধারনত সংস্কৃতিমনা পরিবারের ছেলেমেয়েরা নিযেরাও কালচারাল হয়, ধার্মিক পরিবারের ছেলেমেয়েরা হয় ধর্মভীরু।
একিভাবে বিপরিত দিক থেকে যে ছেলে ছোটবেলা থেকেই দেখবে বাবা মা কে পেটাচ্ছে, ধরে নেয়া যায় সেও বড় হোয়ে বৌ পেটাবে।
কাজেই ছোট শিশুদের সামনে সৃষ্টিশীল এবং পজেটিভ অনুকরনীয় কাজ করা তাদের মানসিক বিকাশের জন্য খুব ই জরুরী।
এইটাই হচ্ছে আমার শর্টফিল্ম এর থীম। আসুন তাহলে দেখি...
( অতিমাত্রায় গ্রেইন ঢাকার জন্য এই কালার টোন দেয়া ছাড়া উপায় ছিলোনা, স্যরি)
স্ক্রিপ্ট এন্ড ডিরেকশনঃ আমি
ক্যামেরাঃ ক্যাপ্টেন দা
গ্রুপ মেম্বারঃ নাবিলা, জনি, সৌমিক, তানি, অর্চি, জহির,সোহেল।
এর আগের দুয়েকটা কাজ-
এডুকেশন ফর অল...
দা সেলফোন
সবাইকে ধন্যবাদ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।