Click This Link
হিজাব পরতে দেয়ার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের ছাত্রীরা। হিজাব পরা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষিকাদের নির্যাতনের পর গতকাল থেকে তারা আন্দোলনে নেমেছে। এদিকে ছাত্রীদের নামাজ পড়তে বাধা দেয়াসহ কর্তৃপক্ষ গতকাল নামাজকক্ষ তালাবদ্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, ড্রেস কোডের বাইরে তাদের কিছুই করার নেই। যদিও সরেজমিন দেখা গেছে, হিজাব ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে ড্রেস কোড মানা হচ্ছে না।
গতকাল সকালে কলেজে গিয়ে দেখা যায়, শতাধিক ছাত্রী হিজাব পরে কলেজ হোস্টেলের সামনে অবস্থান নেয়। উপস্থিত ভীতসন্ত্রস্ত ছাত্রীরা সাংবাদিকদের দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছাত্রীরা তাদের ওপর চলমান বিভিন্ন নির্যাতনের বর্ণনা দেন। তারা অভিযোগ করেন, হিজাব এবং নামাজ পড়ার কারণে তাদের ক্লাস, পরীক্ষা এবং ওয়ার্ডে ডিউটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধা দেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা জানান, নার্সিং কলেজ নিয়ে কয়েক দিন আগে দৈনিক আমার দেশ-এ এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষের নির্যাতন আরও বেড়ে গেছে।
ছাত্রীদের দাবি, মুসলমান হিসেবে তাদের হিজাব পরার অধিকার রয়েছে, কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের হিজাব পরতে দিচ্ছে না।
নামাজ পড়া নিয়েও কর্তৃপক্ষ ঝামেলা করছে। তারা জানান, গতকাল সকালে অধ্যক্ষের নেতৃত্বে কয়েক জন শিক্ষিকা তাদের নামাজঘর তালাবদ্ধ করে রাখে। এ সময় শিক্ষিকারা সেখানে রাখা বিভিন্ন ধর্মীয় বই, হিজাব পরা ও নামাজ পড়া নিয়ে কটূক্তি করেন। অঞ্জলী দেবী নামে এক শিক্ষিকা জুতা পরা অবস্থায় নামাজঘরে প্রবেশ করে তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘নামাজঘরে জুতা নিয়ে ঢুকেছি, কই আল্লাহ আমাকে কী করেছে?’
ছাত্রীরা আরও অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ তাদের বলেছেন নার্সিং করলে নামাজ পড়তে হয় না।
এছাড়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের ফোন করে তাদের সন্তানদের বহিষ্কারের হুমকি দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এতে অনেক অভিভাবক তাদের মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেকটা বাধ্য হয়ে হিজাব ছাড়া ক্লাস করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজের নোটিশ বোর্ডে, নীতিমালা অনুযায়ী হিজাব পরা ছাত্রীদের ক্লাস এবং ওয়ার্ড ডিউটি থেকে একরকম নিষিদ্ধ করেছে। হিজাব পরা ছাত্রীদের ক্লাস এবং পরীক্ষা হল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে সরেজমিনে কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, কলেজ কর্তৃপক্ষ যে ড্রেস কোডের কথা বলে হিজাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তা অনেক ছাত্রীই মেনে চলে না।
কলেজের ড্রেস কোডের বিভিন্ন নিয়ম ভঙ্গ হলেও শুধু কেন হিজাব বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের আপত্তি—জানতে কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। বারবার তিনি ড্রেসকোডের দোহাই দিয়ে হিজাব পরতে না দেয়ার ব্যাপারে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। অন্যদিকে কলেজের মেট্রন মিনারা খানম জানান, হিজাব পরা মেয়েদের মেডিকেল কলেজে ডিউটি দিতে বিএমএর পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।