আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মজিদ ও তার দোতলা বাড়ি

নিঃস্বার্থ মন্তব্যকে ধন্যবাদ, সাময়িক ভাবে আমি মন্তব্যে নেই সময়টা উনিশশ আশির দশকে। জিয়ার মৃত্যুর পরে দেশে একটা থম থমে অবস্থা। রেডিওতে ঘোষণা আসছে। দেশের পরিবর্তন কোন দিকে যাবে সে নিয়ে কোর্টে লবীতে ফিস ফাস চলছে। তালা মেকার সমিতির অফিসে রমিজ দৈনিক কাগজ পড়ছিল।

টাকা পয়সা গুটিয়ে বড়লোকেরা অনেকে ইন্ডিয়া গেছে। তাতে তাদের ভাল না মন্দ বোঝা মুশকিল। সবচেয়ে বয়োবৃদ্ধ তালার মেকার সাফি মুন্সী মজিদকে তার হতাশা শোনায়, তোমার বাপের ইচ্ছা ছিল ঢাকা শহরে একটা দুই তলা বাড়ি করা। আমি দেখসি কেমন করে চব্বিশ ঘন্টা কাজ করছে । কিন্তু হয় নাই।

সাফি মুন্সী সহানুভুতি দেখায়, তোমার বাবার মত মানুষ দেখি নাই। আপনার শরীর ভাল, চাচা । বয়স্ক মানুষের শরীর ভাল। ছানিপড়া লোকটিকে কদমতলায় আসতে প্রথাগত দাওয়াত করে মজিদ মেকার। বলে, পারভীন বলছিল, আমনি তো গরীবের বাড়িতে আর আসেনই না।

সাফি চাচা খোলা ছাউনিতে বসে সেগুনবাগিচার জানজট দেখছিল। মজিদ কে বলল, সে তখন মুকিমকাটরার আলমারীর মার্কেটের সামনে বসতো, তখন আমিও আছিলাম ঐ মহল্লায়। আমি বলছিলাম আমার না হয় বাপ দাদার পেশা ছাড়তে পারি না, তুমি মিয়া অন্য পেশা ধরো। তালা চাবির টেকায় কি কেউ বাড়ি বানায়! তবে, মজিদুল, তোমার বাপের বাড়ি কিন্তু উঠলো ঠিকই। তালা চাবিতেও কপাল বলে একটা জিনিস আছে! শাফি মুন্সী তখন বলে কি করে একদিন জেলখানার গেটে মজিদের বাবাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশের লোক।

জনৈক খুনীর ক্যাবিনেটের বিদেশী তালা খুলতে যখন সিকিউরিটি হিমশিম খাচ্ছে তখন রমিজের বাবা সেটা খুলে দেয় এবং নগদ অর্থ পুরষ্কার পায়। সেই টাকা দিয়ে কদমতলায় জমি কেনা হয়। একটা টং ঘর ভাড়া নেয়া হয়। আর নিয়মিত না খাওয়া উপার্জন দিয়ে তার বাবা একতলা বাড়ি করে। শাফি বলে, তালা খোলার যাদু জানতো তোর বাপ।

জি, চাচা, উনার ধারে কাছে যাইতে পারি নাই, শুনে সায় দেয় মজিদ। তালা মেকার সমিতির ঘরে নানান কিসিমের লোক আসে। এসে চাবি হারিয়ে বিপদ থেকে আহসান চায়। মাস্টার কি, অভয় কি, চাইনিজ কি, জার্মান তালা কত কি। লোকে ঘরে ঢুকতে পারছে না, স্টিলের আলমিরায় টাকা গয়না রেখে হা করে তাকিয়ে আছে, কখনো ব্রিফকেসের চাবি হারিয়ে এখানে আসে।

সাধারণ তালা হলে যে কেউ গিয়ে ঠিক করে দেয়। কিন্তু এ শহরে জটিল তালা হলে ঘুরে ফিরে দশ বারো জনের নাম আসে। এক সময় ছিল মজিদের বাবা, এখন মজিদ তাদের একজন। * পারভীন জিজ্ঞেস করে, আপনে কই আসিলেন সারাদিন? এত দেরী যে? রায়েরবাজারে প্রতিদিনই নতুন এলাকার কথা শুনতে পায় পারভীন। প্রতি ক্ষেপে দুইশ করে টাকা পায় তার স্বামী।

রোদ উঠেছে কড়া। পারভীনের স্বামী পয়সার সাশ্রয় করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে হাঁটে। আসার সময় দায়িত্ববান স্বামীর মত বাজার সয়দা আনে। মনে হয়, ভাল কাজ পাইসেন? হু কিন্তু এই মাসে আপনের আয়রোগজার বেশি কম। মতি লতির ইস্কুলের বেতন বাকি।

আর বাজার সয়দা নাই। লতির মা, তুমি পাঁচ অক্ত নামাজ পড়ো। একটু দোয়া করো ত। গত চাইরদিন ধইরা পারতেসি না। সাতটা-তালার একটা সিস্টাম।

না পারলে পুরো সময় নষ্ট। এই কাজ পারলে দশ লাখ টাকা ক্যাশ পুরুস্কার। এইটা তো লটারীর মতন হ মজিদ রায়ের বাজারে মাটির নিচের সিন্দুকটার দৃশ্য দেখতে পায়। চারদিকে টিনের বাউন্ডারী। কামলারা মাটি খিনন করে গেছে।

দু পাশ থেকে মাটি খুঁজে লোহার জং ধরা একটা দীর্ঘ লাল বাক্স বের হয়ে আসছে। বাড়ির মালিক প্রবাসী। বহু পয়সার মালিক। সে নতুন করে বাড়ি করতে গিয়ে দেখতে পায় এমন অদ্ভুত খনিজ জিনিস। ঘটনাটা জানাজানি করতে দিতে চায় নি মালিক।

তালা মেকার সমিতির তিন জন দক্ষ চাবিকর এসে ফিরে গেছে । মজিদের বাবা মৃত্যুর আগে মজিদকে কিছু দুর্লভ কৌশল শিখিয়ে গেছে। মজিদের কাছে কিছু গোপন যন্ত্র আছে যা সে কাউকে দেখায় না পারভীনের চোখে স্বপ্নটা বেড়ে ওঠে। দশ লাখ টেকা! ইশ! আপনে পারবেন জানি। গত কয়দিন ধরে মজিদ বাড়ির এ পাশ থেকে ওপাশে হেঁটে বেড়াচ্ছিল।

ছুটির দিন দুপুরে কাপড় নাড়তে ছাদে গেছে দেখে মজিদ একলা ইটের রেলিং এর উপর লাল ইট দিয়ে কি সব লিখছে মুছে ফেলছে। পারভীনের তার স্বামীকে খুব জ্ঞানী মনে হয়। সে প্রতিবেশীকে বলে তার স্বামী ইঞ্জিনিয়ার। রাতে বিড় বিড় করে কি বলছিল নিজেই। কদমতলার এই একতলা বাড়িটা দ্বীপের মত,াি একদিকে কচুরিপানার ডোবা।

কর্পোরেশন পুরো জায়গা ভরাট করবে। পথ হবে। মজিদের বাড়ির একতলায় তিনটা রুমের একটায় পারভীনের সঙ্গে সে থাকে। মতি লতি শেষ ঘরে থাকে, একটা প্যাসেজ। একটা গোল কাঠাল কাঠের টেবিল, ওখানে খাওয়া হয়।

মাঝের ঘরে উম্মে হানি ঘুমায়। মজিদ বলে, লতির মা, তোমার না অনেক গয়নার সখ। লতি পেটে থাকতে বলছিলাম কানের সোনার দুল দিমু। দিতে পারি নাই। লতির মা এরকম স্বপ্ন দেখতে পারে না।

বলে, কি যে বলেন আপনে! এখন সেই বয়স আছে? হানির বিবাহের দিন আসছে, মেয়েটার আমার হাত কান খালি। মজিদ বলে, লতির মা, বাড়িটা দোতলা হইলে নিচের তালা ভাড়া দিমু। মাসের খরচ নিয়া আর চিন্তা থাকবো না। মজিদ দেখতে পায় তার শৈশব সে যখন ছোট তার বাবার পিছন পিছন এখানে এসেছিল। মাটির নৌকা এসে ভরাট করছে।

একদিন সুরকি আর ইট মিশানো হচ্ছে। তারপর সারি সারি সাদা সিমেন্টের কলাম হলো। মাটি থেকে বৃক্ষের মত যখন কলাম হয়েছে, তার উপর আনুভূমিক স্ট্রাকচার বসলো। সাদা সিমেন্টে পানি ভিজিয়ে দিয়েছে তার বাবা নিজের হাতে। টাকা হলে তার দোতলা বাড়ি হবে।

লতির মা, আব্বা নিজের খরচে যা করছে আমরা খালি ভোগ করেই গেলাম। এইবার নিজের কিছু হবে ইনশাল্লা। আপনে এত বেশি ভাইবেন না। আবেগহীন গলায় বলে, যদি সিন্দুক না খুলতে পারেন, পরে আবার বিছনায় পইরেন না। ** পরদিন দুপুরে রায়েরবাজার বাড়িতে এলেন তালাবদ্ধ সিন্দুকের মালিক কবীর চৌধুরী।

বেশ অধৈর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলেন আসলেই কি তালাটা খোলা যাবে! তালা খোলার জন্য এক কোম্পানীর কাছে যাবে ভাবছে সে। কিন্তু যদি মজিদ খুলতে পারে তাহলে যাবে না। মজিদ সময় চেয়েছে আরো তিন দিন। সে তার ব্যাগ থেকে স্টেথোস্কোপটা বের করে আনে, এক গুচ্ছ যন্ত্র আছে তার বাক্সে। সিন্দুকে চেপে ধরে বাঁকানো একটা পিন সুরঙ্গে ঢুকিয়েছে।

পয়তাল্লিশ ডিগ্রি প্যাচ ঘুরাতেই একটা মৃদু শব্দ হয়েছে। মনে হলো কিছু একটা খুলে যাচ্ছে। উচ্ছ্বসিত হয়ে যায় কারিগর। কিন্তু পরক্ষণেই একটা চাকা ঘুরে জাপটে ধরে ভিতরে যেন আরো কঠিন ভাবে আটকে দিয়েছে তালাটা। মজিদের গত রাতের আঁকঝোঁকে এটা খুলে যাবার কথা ।

কিন্তু হলো না। সে স্থির হয়ে বসে পড়লো পাশের শুকোনো কাদায়। কিছুতেই কোন বুদ্ধি কাজ করছে না। যদি খুলে যেত! কবীর চৌধুরী আজকেও বলেছে ক্যাশ রেডি। মজিদ ভাবছিল কি জন্য এত গুলো টাকা দিতে চাইছে কবীর সাহেব।

সে কি জানে কি আছে এর ভিতর? অনেক রত্ন মাণিক্য! নাকি বড় লোকের খেয়াল। তালার আটকে যাবার ঘূর্ণনে হঠাৎ মনে হল দশ লক্ষ টাকায় সে যে স্বপ্নগুলো কিনে ফেলছিল তাতে সে ডুবে মরে যাচ্ছে। * দিন গেল। রাত বাড়লো। তখন আনুমানিক আড়াইটা।

পারভীন ঘুমাচ্ছিল বিস্ত্রস্ত শাড়ি উরুতে তুলে। গুঁজে দেয়া মশারীর দেয়ালে পায়ের ফর্সা ডিমে মশা রক্ত চুষে নিচ্ছিল। ডিম লাইটের লাল আলোয় কেমন ফ্যাকাশে দেখাচ্ছে চারদিক। অথচ প্রতিদিন একই মশারী, একই আলো! সিমেন্টের মেঝে তে নেমে তার মনে হল, ড্রেসিং টেবিলে রাখা ঘামাছি পাউডারের টিনের গোল কৌটা, ঠোঁটরঞ্জক, নারিকেলে তেলের বোতল এসব জেগে আছে। মজিদের দিকে নীরবে প্রশ্ন করছে, কি, মজিদ মিয়া তোমার দৌড় কি শেষ? যে টেকা এখনও পাও নাই, পুরাই কপালের নির্ভরতা, তারে নিয়া স্বপ্ন দেখা ফকিরের কাম।

তুমি কি চাও? বিছনা থেকে নামে মজিদ। পায়ে স্পঞ্জের সেণ্ডেল গলিয়ে নেয়। বের হয়ে বাতিজ্বালে। হলুদ ফিলামেন্ট - মাথার পড়ন্ত চুলে দু হাত মুচড়ে দেয়। নিজেই বলে, কেন হয় না! কেন? অন্য ঘরে দুই বাচ্চা ঘুমাচ্ছে।

লতিটার একটা ঘর লাগবেই। মতির ছবি আঁকার হাত ভাল। তারে একটা ডেস্ক কিনে দিতে হবে। আর সোফা কিনবে। নরম সোফা আর সাদা কালো টেলিভিশন থাকবে।

একটা আঁকানো পেইন্টিং থাকবে ঘরে। তার বাবার বড় একটা ছবি। সব হবে টাকা পেলে। মজিদের আর কি লাগবে? এটা লাগবে ওটা লাগবে। লম্বা ইচ্ছেগুলো মিছিল করে আসতে থাকে।

তার মাথা কি খারাপ হয়ে যাচ্ছে? সে কবি না শিল্পী না। কিন্তু এ কোন অস্থিরতা তাকে নিশির ডাকে বের করে আনে? সে দরজা খুলে বের হয়ে ছাদে উঠে যাবে। সিঁড়িগুলো অন্ধকার। শ্যাওলা জমে গেছে। ছোট আগাছে পাতা বের হয়ে এসেছে ইটে।

উঠছে। বাম পা উঠছে। ডান পা উঠছে তার পিছনে। ছাদে চাঁদের যতটুকু মিলে যায় সেই জোছনায় সে চারপাশ দেখবে। বাতাস বন্ধ তার নাকে।

বাতাসে নাক ভাসিয়ে শান্তি পাবে ভাবতে সে জলদি উপরে ওঠতে চায়। ** হঠাৎ মজিদ বাম পাশের সিঁড়িতে উঠতে চমকে যায়। সে দেখলো রাত থেকে দিন হবার মত আলো বেড়ে গেছে। সিঁড়িটা উজ্জ্বল হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ:ই। সে মন্ত্রেমুগ্ধ ভাবে হাটলো।

উঠে দেখলো ছাদের গেটের জায়গাটা বুঁজে গেছে। সেখানে দোতলা। কোথা থেকে এল এই ঘর? নিজেকে বোকা মনে হয় প্রায়ই। সে যা আছে তাকেই যেন চাইতে থাকে। তার না দোতলা বাড়ি! কবে থেকেই বাড়িটা দোতলা অথচ সে কিনা দোতলার স্বপ্ন দেখছে।

সে দোতলায় উঠে দেখলো দরজায় লেখা মজিদুল আহমেদ। ক্যাচ করে কেউ ভিনাইলের দরজাটা খুলে দিল। একটা সেলোয়ার কামিজ পরা অল্প বয়সী মেয়ে বলল, আব্বা! তুমি এতক্ষণ কই আছিলা? হানি! তুই এইখানে? তার কানে সোনার ফুল। গলায় চেইন। রূপবতী লাগছে তাকে।

নিজের মেয়েকে চেনাই যায় না। হানি জানান দেয়, আম্মা আব্বা নিজেই ফিরা আসছে। পিছনে হুবুহু পারভীনের মত এক মহিলা। শাসন করার মত করে বলে -- লতির বাপ, আপনে হা কইরা কি দেখেন। আপনের জন্য কত ক্ষন বইসা আছি।

লতি দোকান রাস্তা সব খুঁজে হয়রান। সে ঢুকে দেখলো দেয়ালে তেলচিত্র, একটা ফুল গাছের গোড়ায় তালা ঝোলানো। মোজাইকের মেঝে। পারভীন বলে, লতি আপনেরে খুঁজতে গেছে। আপনে সেই যে বাইর হলেন কিছু তো মনে থাকে না আপনার।

মজিদ বুঝতে পারে না, পারভীনের গায়ের দামী জামদানী কোথা থেকে এল। ও কি ঘরেও এমন পরিপাটি শাড়ী পড়ে থাকে? কি করে? ও না একটু আগে রাতে ঘুমানোর সময় রঙ জ্বলা শাড়ীটা পরেছিলো! ঘরের ভিতর টিউবের বাতি। পর্দায় সিল্কের কাপড়। আর একটু এগুতেই সেগুন কাঠের সোফা। টিভিতে সিনেমার গান হচ্ছে।

অস্থিরতা উধাও হল। সে বসতেই সোফাটা তুলতুলে ডেবে গেল। মতি এ ঘর থেকে অন্য ঘলে ওর সামনে দিয়ে গেল। মজিদ দেখলো তার বাবার বড় একটা ছবি তার সামনে। এক বার মনে হল এ হয়তো ভুল স্বপ্ন।

তার ভাল লাগলো না। তার স্যাতস্যাতে ঘরটাতে মশারীর নিচে যে পারভীন আছে তার কথা মনে হল। সে হয়তো জেগে গেছে। গুমোট সেই একতলায় তাকে খুঁজছে। নতুন পারভীন টেবিল ভর্তি খাবারের কথা মনে করালো।

নতুন হানি এসে দামী পাঞ্জাবী আর ধোয়াল লুঙ্গী দিয়ে দিল মজিদ মেকারের হাতে। কিন্তু খেতে ইচ্ছে নেই মজিদ মেকারের। তার মন পড়েছিল নিচতলায়। সে হানিকে বলল, আমি খাবো না। আমি গেলাম নিচের তলায়।

হানি বাঁধা দেয়। বলে, না আব্বা, তোমার শরীল খারাপ। তুমি আর বাইরে যাবা না। আমারে ছেড়ে দে। আমি নিচে যাবো।

ওরা সব ঘুমাইতেছে। সে হাত সরিয়ে বের হতে চায়। লতি আসে। কই যাবেন? হানি ডাকলো, আম্মা, ও আম্মা - শুনে যাও। আব্বা কেমন করতেছে।

ডাক্তার চাচারে ফোন দেও। আব্বা আবারও নিচ তলায় যাওয়ার কথা বলতেসে। মজিদ মেকার তখন বোঝাতে চায় এই ঘরটা তার না। এই ধনবান সুখময় বাড়িটা তার না। সে আসলে নিচ তলায় থাকে।

তার খুব বেশি মনে হয় তার আসল স্ত্রী নিচ তলায় ঘুমিয়ে আছে, তার ছেলে মেয়ে সবাই। কিন্তু তাকে জোর করে শুইয়ে দেয়া হয় দোতলার শোবার ঘরে। পারভীন উদ্বিগ্ন হয়ে আছে। লতি এসে পাশে দাঁড়ায়। মতি ডাক্তার নিয়ে আসবে।

মতির বাবাকে ইনজেকশন দিলে উনি হয়তো আগের মত স্বাভাবিক হবে। -- ড্রাফট ১.০ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.