আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন আপাদমস্তক অপদার্থ মেয়রের কবলে চট্টগ্রাম

নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!! জাতে তিনি আওয়ামী। ছিলেন মহিউদ্দীনের ডানহাত। হালুয়া-রুটি স্বর্বস্ব বিএনপি জুতমত প্রার্থী না পেয়ে ফুসলিয়ে তাকে ধানের শীষ ধরিয়ে দেয়। মহিউদ্দিনের অত্যাচার থেকে মুক্তির জন্য নগরবাসী তাকে ভোটও দেয়। তিনি বলেছিলেন খালগুলো সংস্কার করবেন।

পরিস্কার রাখবেন.......। রাখেননি। তিনি কিছুই করেননি। করছেননা। জাতে আওয়াম, পোষাকে জাতীয়তাবাদী নপুংসক এ মন্জুর আলম প্রায় মৃত একজন মেয়র।

প্রাকৃতিকভাবেই চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা হওয়ার কথা না। পাহাড়, নদী, সাগরের তীরবর্তী এখানকার যেকোন স্থানের পানি ১ ঘন্টায় বঙ্গোপসাগরে চলে যাওয়ার কথা। আগে যেত ও। কারণ নালা ও খালগুলো সচল ছিল। এখন সেগুলো বদ্ধ: -চাক্তাই, চকবাজার এলাকায় খালের মুখ ময়লা, পলি জমে ভরে গেছে -অযথাই কালভার্ট বানিয়ে জ্যাম করা হয়েছে -লালখানবাজার, খুলশী, পাচলাইশ, ষোলশহর, বায়েজীদ এলাকায় নির্বিচারে পাহাড় কেটেছে সবাই।

সবাইয়ের তালিকায় সিসিসি, সিডিএ, পরিবেশ, বন, হাউজিং কোম্পানি, রাজনৈতিক, সাধারন মানুষ সবাই। কাটা পাহাড়ের পলি জমে মারাত্নক ভাবে তলা ভরাট হয়ে গেছে খালের -সাগর ও কর্ণফুলীতীর ঘেঁষে যথাযথ ফাঁক না রেখে বাঁধ করা হয়েছে -হঠাৎ করে ১০/১২ তলা বিল্ডিং বেড়ে গেছে -রিয়েল এস্টেট কোম্পানি পাইলিংয়ের কাদা, রাবিশ ড্রেনে ফেলছে -ড্রেনের উপর ভার্সিটি করা হয়েছে (প্রিমিয়ার!) -সিডিএ, আর সিসিসির মধ্যে পিং পং বল খেলা চলছে আর এসবের ভুক্তভোগী জনগন। তারা ডুবে মরছে, কাদা চাপা পড়ছে। সিসিসির কতিপয় কমিশনার এখন বলছে আরও খাল খোড়া লাগবে! সম্ভবত: মাথাপিছু একটা খাল লাগবে শহরে। বিদ্যমান খাল যেমনই থাকুন না কেন!  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.