"হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ" নামে একটি পুস্তিকা বাংলা সাহিত্যে এক অসাধারন আলোড় ন তৈরি করেছিল। বইটি বের হবার পূর্বে এবং পরে এটি নিয়ে রীতিমত এক যুদ্ধ যুদ্ধ অবস্থা হয়েছিল সাহিত্যকদের মধ্যে। বিশেষ করে হুমায়ুন আজাদ, শামসুর রাহমান এবং সৈয়দ শামসুল হকের মাঝে শুরু হয়ে যায় এক তিক্ততম সাহিত্যযুদ্ধের যা এক পর্যায়ে পরিণত হয় রীতিমত মল্লযুদ্ধে। রুক্ষ ভাষায় একে অপরকে আক্রমন করেন তারা। স্বভাবতই হুমায়ুন আজাদ ছিলেন অধিক রুক্ষ আর আক্রমনাত্মক যার পরিচয় আপনারা পাবেন আলোচিত পুস্তিকাটির ভূমিকাতে
(বারবার পুস্তিকা বলছি কারন ঠিক বই বলতে আমরা সাধারনত যা বুঝি "হুমায়ুন আজাদের প্রবচনগুচ্ছ" তার থেকে ব্যতিক্রম, পড়লেই বুঝবেন।
)
যাহোক বাড়তি আলোচনায় না গিয়ে কয়েকটি প্রবচন এখানে তুলে ধরছি, তাহলেই বুঝবেন এর শক্তি:
১। বুদ্ধিজীবীরা এখন বিভক্ত তিন গোত্রে: ভন্ড, ভন্ডতর, ভন্ডতম।
২। কারো প্রতি শ্রদ্ধা অটুট রাখার উপায় হচ্ছে তার সাথে কখনো সাক্ষাত না করা।
৩।
কোন কালে এক কদর্য কাছিম হারিয়েছিল এক খরগোশকে, সে গল্পে কয়েক হাজার বছর ধরে মানুষ মুখর। তারপর খরগোশ কতো সহস্রবার হারিয়েছে কাছিমকে, সে কথা কেউ বলে না।
৪। ভারতীয় সাম্প্রদায়িকতা আর মৌলবাদের আধুনিক উত্স মোহনচাদ করমচাদ গান্ধি।
৫।
মুর্তি ভাংতে লাগে মেরুদন্ড আর মুর্তিপুজা করতে লাগে মেরুদন্ড।
৬। ইতিহাস হচ্ছে বিজয়ীর লেখা বিজিতের নামে একরাশ কুত্সা।
এরকম প্রায় ২০০ প্রবচন নিয়ে বইটি। তবে সবচেয়ে বিতর্কিতটি হল:
না থাক এখানে দিব না, কি বলেন?? তবে আপনারা চাইলে আরো দিতে পারি।
বইটি হাতের কাছে তো!
এবার কিছু মামুনীয় প্রবচন, আশা করি কেউ মাইন্ড খাবেন না ভাইয়েরা।
১। একজন হুমায়ুন আজাদ বা আহমেদের জীবনের তিনটি অংশ: চিন্তা, চিন্তা আর ঘুম। বাংলাদেশে আরেকজন হুমায়ুন আজাদ বা আহমেদ আসবে না, কারণ মেধাবীরা এখন শিক্ষক হয় না, তারা হয় ব্যাংকার; তাদের জীবনের তিনটি অংশ: অফিস, গাড়ি, ঘুম। আর অমেধাবীরা হয় শিক্ষক; তাদের জীবনের ও তিনটি অংশ: ক্লাস, লবিং, ঘুম।
২। সাংবাদিকরা নাকি সমাজের আয়না; মনে রাখবেন আয়নায় আপনি যাকে দেখেন সে সত্য আপনি নন।
তুমি ডাকলেই মনে হয় একাকি ছিলাম আমি
তুমি ডাকলেই প্রিয়ময় হয় আমার নির্জনতা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।