আবারো কিছু কমিউনিস্ট জোক্স। বলে নেয়া ভালো যে এগুলো আমার অনুবাদকৃত। আমি অনুবাদে এত দক্ষ নই। তাই নিজ গুণে ক্ষমা করবেন।
১.
এক কৃষক ঘরে ঢুকেই দেখে তার স্ত্রী আরেকজনের সাথে বিছানায়।
তখন তার কি বলা উচিত? যাই হোক সে বললঃ আপনার এভাবে সময় নস্ট করা ঠিক হচ্ছেনা। দোকানে আর মাত্র এক ঝুড়ি ডিম আছে। (!)
২.
কমিউনিস্ট প্রোডাকশানঃ
এক সদ্য রাশিয়া ফেরত পোলিশ পর্যটক। এক হাতে বিসাল বড় এক সুটকেস আর এক হাতে চকচকে একটা দামী ঘড়ি। কাস্টমস এর এক লোককে সে দেখিয়ে দেখিয়ে বললঃ এই ঘড়িটা ক্রেম্লিন থেকে কিনলাম।
জানেন, এটা আশ্চর্য এক ঘড়ি। এতে সময় তো বটেই, একই সাথে নিউইয়র্ক, মস্কো আর জাপানের আবহাওয়াও দেখা যায়। কাস্টমস এর লোক টা অবাক হয়ে বললঃ হুম্ম, আসলেও তো! আর ঐ সুটকেসটা?
- এটা ঐ ঘড়ির ব্যাটারী !!!
৩.
দোকানে মাংস না থাকলে কোন জায়গায় কি লিখা থাকেব দেখা যাকঃ
গণতন্ত্রঃ দোকান বন্ধ
পুঁজিবাদঃ স্টক শেষ।
কমিউনিস্টঃ আজ আর কারো মাংস দরকার নেই
৪.
আমেরিকাতে যে কেউই একটা পার্টি খুঁজে বের করতে পারে। আর রাশিয়াতে নাকি পার্টিই খুঁজে খুঁজে বের করে !
৫.
প্রাভদা তে জরিপ চালানো হচ্ছে আমেরিকাতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা উচিত হবে কি না।
উত্তর আসলোঃ না। কারন আমেরিকাতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলে সোভিয়েত রাশিয়া গম কিনবে কার কাছ থেকে? !
৬.
প্রশ্নঃ কমিউনিস্ট অর্থনীতির পারমানেন্ট ডায়লগ কোনটা?
উত্তরঃ টেম্পোরারী শর্টেজ !!
৭.
- পুঁজিবাদী অর্থনীতি আর কমিউনিস্ট অর্থনীতির মধ্যে পার্থক্য কি?
- পুঁজিবাদী অর্থনীতিতে সবকিছু বিক্রি করা হয়। আর কমিউনিস্ট অর্থনীতিতে সবকিছু কেনা হয়।
৮.
- ইংলিশ রূপকথার গল্প শুরু হয় “একদা এক দেশে…..” এভাবে আর রাশিয়ান রূপকথার গল্প শুরু হয় “ অতি শীঘ্রই হবে” – এভাবে।
৯.
জংগলেও কেজেবিঃ
এক খরগোশ দৌড়াচ্ছে।
এক ভালুক জিজ্ঞেস করলঃ এত জোরে পালাচ্ছ কই?
খরগোশ বললঃ কেজিবি উটদের ধরে ধরে তাদের পুরুষাঙ্গ কেটে দিচ্ছে।
ভালুকঃ কিন্তু তুমি তো খরগোশ?
খরগোশ বললঃ ভায়া, ঐ জিনিস কেটে গেলে প্রমাণ করবো কিভাবে যে আমি খরগোশ না উট???
১০.
কার্ল মার্ক্স কে একবার রাশিয়ায় প্ল্যানচেটে ডাকা হল। তিনি ইচ্ছা ব্যাক্ত করলেন যে তিনি কল কারখানা , খামার ইত্যাদি দেখতে চান। যে কথা সেই কাজ। শেষে তিনি চাইলেন টিভি তে বক্তৃতা দেবেন।
পলিটবুরোর সদস্যরা রাজি হলেন না কারণ এম্নিতেই মার্ক্সবাদ পুরোপুরি প্রতিষ্ঠা করা যায় নি। আবার কি চেয়ে বসবেন কি না কে জানে। মার্ক্স বললেন যে তিনি শুধু একটি কথা বলতে চান। পলিটবুরো রাজি হল। মার্ক্স ভাষণ দিলেনঃ শ্রমিকগণ, আমাকে ক্ষমা কর।
(!)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।