১।
কথায় বলে, এইডস হল বিংশ শতাব্দীর ব্যাধি । কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং জাপানের কাছে তা কোনও হুমকিই নয় । কারণ জাপান বাস করে একবিংশ শতাব্দীতে । আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ? – ঊনবিংশ শতাব্দীতে ।
২।
কমিউনিজমের মূল কথা হল, এক তাত্ত্বিক বোঝাচ্ছেন অন্য জনকে,
প্রতিবেশীর সঙ্গে নিজেরটা ভাগ করে নেওয়া ।
না মোটেই না । আরেকজন প্রতিবাদ করেন, কমিউনিজমের মূল কথা হল, প্রতিবেশীরটা নিজের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া ।
৩।
জিম্বাবোয়ের প্রেসিডেন্টের একশ জন প্রেমিকা । তাদের মধ্যে একজন এইডস্ এ আক্রান্ত। কিন্তু ঠিক কে, প্রেসিডেন্ট তা জানেন না ।
আমেরিকার প্রেসিডেন্টের একশ জন দেহরক্ষীর মধ্যে একজন কেজিবির এজেন্ট । কিন্তু ঠিক কে, তা তিনি জানেন না ।
সোভিয়েত প্রেসিডেন্টের একশ জন অর্থনৈতিক উপদেষ্টার মধ্যে একজনের কাছে সঠিক অর্থনৈতিক কর্মসূচীটি আছে । কিন্তু ঠিক কার কাছে, তা তিনি জানেন না ।
৪।
এক পোলিশ পুরনো এক প্রদীপ ঘষেমেজে পরিষ্কার করছিল । হঠাৎ আলাদিনের জিনের আবির্ভাব ।
জিন বলল, তোমার তিনটে ইচ্ছে আমি পূরন করে দিতে পারি ।
বেশ আমার প্রথম ইচ্ছে, চীন যেন পোল্যান্ড আক্রমন করে । আমার দ্বিতীয় ইচ্ছে চীন যেন পোল্যান্ড আক্রমন করে । আর আমার তৃতীয় ইচ্ছে চীন যেন পোল্যান্ড আক্রমন করে ।
জিন অবাক হয়ে জানতে চাইল এই অদ্ভুত ইচ্ছের কারণ ।
খুব সোজা । তাহলে চীনের সৈন্যবাহিনীকে ছ’বার রাশিয়ার উপর দিয়ে যেতে হবে ।
৫।
যদি তিরিশ বছর বয়সের আগে তুমি কমিউনিস্ট না হও, তাহলে বুঝতে হবে, তোমার হৃদয় বলে কোন পদার্থ নেই । যদি তুমি তিরিশের পরেও কমিউনিস্ট থেকে যাও তাহলে বুঝতে হবে, তোমার মস্তিষ্ক বলে কোনও পদার্থ নেই !
৬।
-- সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় কি সজারুর উপর বসা সম্ভব ?
-- সম্ভব কেবল তিনটি ক্ষেত্রে ।
এক-- যদি পশ্চাদ্দেশ নিজের না হয়;
দুই-- যদি বসার আগে সজারুর কাঁটা ছেটে ফেলা হয়;
তিন-- যদি পার্টি নির্দেশ দেয়।
৭।
১৯৭০ সালে ভয়ঙ্কর বন্যায় রুমানিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে সাহায্য হিসেবে আমেরিকা পাঠাল ২০ লক্ষ ডলার । ভারত পাঠাল পাঁচ লক্ষ ডলার ।
সোভিয়েত ইউনিয়ন পাঠাল ‘সাঁতার শিক্ষা পদ্ধতি’ নামক একটি বই ।
৮।
মৃত্যুর পরে এক কমিউনিস্ট নেতা যথাবিহিত নিয়মে পরলোকে পৌঁছলেন । বিস্মিত হয়ে তিনি দেখলেন, পরলোকে দুটি দরজা । একটির মাথায় লেখা ‘কমিউনিস্ট নরক’, অন্যটির মাথায় লেখা ‘ক্যাপিটালিস্ট নরক’
সাম্যবাদী নরকের দরজা দিয়ে ঢুকবেন, না, পুঁজিবাদি নরকে ঢুকবেন, এই নিয়ে চিন্তিত নেতা দেখা পেলেন এক কেরানির, যাঁর কাজ পরলোকে আগত ব্যক্তিদের নাম নথিভুক্ত করা ।
তাঁকে প্রশ্ন করলেন নেতা,
-- মাফ করবেন, কোনও পাপী সাম্যবাদী নরকে কিভাবে কষ্ট ভোগ করে ?
ওই কেরানী আসলে ছদ্মবেশী শয়তান । তিনি বললেন
-- সাম্যবাদী পাপীকে জ্বলন্ত কয়লার উনুনে ফ্রাইং প্যানে চাপিয়ে ভাজা হয় ।
-- আর পুঁজিবাদী নরকে ?
-- সেখানেও পাপীদের জ্বলন্ত কয়লার উনুনে ফ্রাইং প্যানে চাপিয়ে ভাজা হয় ।
-- তাহলে দেখা যাচ্ছে শাস্তির মধ্যে কোন ভেদ নেই । কমিউনিস্ট নেতার প্রশ্ন, তাহলে পুঁজিবাদী নরকের গেটে কোনও ভিড় নেই কেন ? আর কেনই বা সকলে ভিড় করছে কমিউনিস্ট নরকের গেটে ?
-- ভেদ নেই কে বলল ? শয়তানের জবাব, কমিউনিস্ট নরকে গত এক সপ্তাহ ধরে কয়লার যোগান নেই ।
আর এক সপ্তাহ এরকম চললে ফার্নেস বন্ধ করে দিতে হবে । তাছাড়া, ফার্নেসে কয়লা দেওয়ার লোকটি প্রায়ই মাতাল হয়ে শুয়ে থাকে । বিশ্বাস করুন কমরেড, কমিউনিস্ট নরকই ভালো ।
৯।
-- আদম এবং ইভ নির্ঘাৎ রাশিয়ান ছিলেন, এক রুশ নাগরিকের মন্তব্য, ‘তাঁদের পরবার কিছু ছিল না, আপেল ছাড়া খাওয়ার কিছু ছিল না, তবু তাঁরা বাস করতেন এক স্বর্গে !
১০।
সোভিয়েত ইউনিয়নের তাঁবেদার এক রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এক অদ্ভুত টেলিফোন দেখে এক বিশিষ্ট অতিথির বিস্মিত প্রশ্ন, এটা কেমন টেলিফোন ? ইয়ারপিস আছে, কিন্তু কোনও মাউথপিস নেই কেন ? তাছাড়া এতে তো ডায়াল করাও যায় না !
-- আপনাকে বলতে বাধা নেই । বিষন্ন প্রধানমন্ত্রী জানান, এটাই ক্রেমলিনের সঙ্গে আমাদের হটলাইন ! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।