আবার ফিরে আসলাম কিছু জোক্স নিয়ে।
১।
একা রাশিয়ান গেছেন ইতালি ভ্রমনে । সেখানে কোদাল কাঁধে এক শ্রমিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হল । রুশ পর্যটক কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন করলেন,
-- হপ্তায় ক’দিনের কাজ পাও তুমি ?
-- মাত্র দু’দিনের, সিনর !
-- খুবই খারাপ ।
আচ্ছা কমিউনিস্টরা যদি ইতালির ক্ষমতায় আসে, তাহলে সপ্তাহে ক’দিন কাজ পাবে বলে আশা কর ?
-- ওহ সিনর, তাহলে তো আমাকে সাতদিনই কাজ করতে হবে -- দিবারাত্র ।
-- বাঃ তা কী কাজ কর তুমি ?
-- কবর খোঁড়াই আমার কাজ সিনর !
২।
রাজনীতি শিক্ষার ক্লাস চলছে । তরুন শিক্ষার্থীদের বোঝাচ্ছেন প্রবীন কমিউনিস্ট নেতা :
-- সমাজতান্ত্রিক দেশগুলো পারস্পরিক লাভের ভিত্তিতে ব্যবসা করে বেশ লাভবান হচ্ছে । যেমন ধর,রুমানিয়া মাটি পাঠায় আমাদের ।
সেই মাটি দিয়ে খেলনা হুইসল বানিয়ে আমরা পাঠাই মঙ্গোলিয়া । সেখানকার রাখালেরা ভেড়া চড়ায় ওই হুইসল বাজিয়ে ।
-- তারপর মঙ্গোলিয়া কি আমাদের ভেড়ার মাংস আর চামড়া পাঠায় ?
-- না, মাংস তারা নিজের খায়, আর চামড়া পাঠায় বুলগেরিয়ায় । সেই চামড়া দিয়ে বুলগেরিয়া বানায় গরম কোট ।
-- ওই কোটগুলো বুলগেরিয়া নিশ্চই আমাদের পাঠায় ?
-- না, রুমানিয়ায় পাঠায় ।
-- আর রুমানিয়া থেকে আমরা কি পাই ?
-- ওই যে, শুরুতে বললাম, মাটি !
৩।
মস্কোর কাছে এস্তোনিয়ার আকুল আবেদন :
-- আমাদের অন্তত পাঁচ মিনিটের জন্য স্বাধীনতা দেওয়া হোক ।
সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টিতে এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হল । প্রেসিডেন্ট গর্বাচভ সবাইকে বোঝালেন পাঁচ মিনিটের স্বাধীনতায় ওরা কি আর করতে পারবে ? দেওয়াই হোক পাঁচ মিনিটের স্বাধীনতা ।
পরদিন ‘প্রাভদায়’ সংবাদ প্রকাশিত হল :
গতকাল বিকেল চারটেয় এস্তোনিয়া যুদ্ধ ঘোষনা করে সুইডেনের বিরুদ্ধে এবং চারটে বেজে চার মিনিটে আত্মসমর্পন করে ।
৪।
একবার শুয়োরের ফার্ম পরিদর্শনে গেছেন ক্রুশ্চেভ । প্রাভদা ইজভেস্তিয়া প্রভৃতি প্রধান প্রধান সংবাদপত্রের সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকরা গেছেন ওই ঘটনা ‘কভার’ করতে । নানান ভঙ্গিমায় ক্রুশ্চেভের প্রচুর ছবি তোলা হয়েছে । তাঁর বাঁ দিকে শুয়োর, ডান দিকে শুয়োর,।
যথারীতি রাতে সংবাদপত্রের এডিটর, নিউজ এডিটরের টেবিলে জমা পড়েছে সেই সব ছবি । কিন্তু ছবির ক্যাপশন কী হবে ? কেউ পরামর্শ দিলেন , ‘শুয়োরদের মাঝখানে কমরেড ক্রুশ্চেভ’ -- এ ক্যাপশন কেমন হয় ?
-- চলবে না । এডিটর তৎক্ষনাৎ খারিজ করে দিলেন ।
-- ‘তাহলে শুয়োর পরিবেষ্টিত কমরেড ক্রুশ্চেভ ?’
-- না তাও চলবে না । বললেন নিউজ এডিটর ।
ক্যাপসানে শুয়োর কথাটা থাকলে চলবে না ।
পরের দিন পত্রিকা প্রকাশিত হল । প্রথম পাতায় সেই ছবি । ছবির নিচে ক্যাপসন ।
‘কমরেড ক্রুশ্চেভ -- বাঁ দিক থেকে চতুর্থ ।
’
৫।
ব্রেঝনেভের আমলের সোভিয়েত ইউনিয়নের গল্প এটি । ইথিওপিয়ার কমিউনিস্ট ফান্ডে সাহায্য করার জন্য স্কুলের ছাত্রদের দশ রুবল করে আনতে বলা হয়েছিল । সবাই আনল শুধু একজন ছাড়া । শিক্ষকমহাশয় কারন জানতে চাইলে সে উত্তর দিল :
-- বাবা বলেছে ইথিওপিয়ায় কমিউনিস্ট পার্টিই নেই !
এক মাস পরে ইথিওপিয়ায় সমাজতান্ত্রিক সরকারকে সাহায্য করবার জন্য আবার ছাত্রদের দশ রুবল করে আনতে বলা হল ।
সেই ছাত্রটি আবার এল খালি হাতে, বলল :
-- বাবা বলেছে ইথিওপিয়ায় সমাজতান্ত্রিক সরকারই নেই !
আবার এক মাস পরে ছাত্রদের উপর নোটিশ । এবারও বাড়ি থেকে দশ রুবল করে আনতে হবে, কারন ইথিওপিয়ায় দুর্ভিক্ষ পীড়িত মানুযকে সাহায্য করা ।
এবার সেই বালক একসঙ্গে ত্রিশ রুবল এনে শিক্ষকমশায়ের হাতে দিল । বলল :
-- বাবা বলেছে ইথিওপিয়ায় যদি দুর্ভিক্ষ থাকে, তাহলে সেখানে নিশ্চই কমিউনিস্ট পার্টি আছে, আছে সমাজতান্ত্রিক সরকারও !
৬।
নিক্সন জানতে চাইলেন ঈশ্বরের কাছে :
-- আমেরিকানরা কবে পুরোপুরি সুখী হবে ?
ঈশ্বর জানালেন আরও ৫০ বছর বাদে ।
-- ততদিন কি আর বেঁচে থাকব, আক্ষেপ করে বললেন নিক্সন ।
পম্পিদু জিজ্ঞেস করলেন ঈশ্বরকে
-- কবে পুরোপুরি সুখী হবে ফরাসীরা ?
ঈশ্বর জবাব দিলেন আরও ৮০ বছর লাগবে ।
ততদিন কি আর বেঁচে থাকব ? পম্পিদুর গলাতেও আক্ষেপের সুর ।
ব্রেঝনেভ প্রশ্ন করলেন ঈশ্বরকে :
-- সোভিয়েত দেশের মানুষ কবে সুখে শান্তিতে থাকবে ?
ততদিন কি আর বেঁচে থাকব ? আক্ষেপের সুরে বললেন স্বয়ং ঈশ্বর !
৭।
জনগন কি কি সংবাদপত্র পড়েন তা জানার জন্য সরকারী পর্যায়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল ।
সমীক্ষক দলের সদস্য এক সোভিয়েত নাগরিককে প্রশ্ন করলেন,
-- কোন পত্রিকা পড়েন এবং কেমন আছেন ?
উত্তরে বললেন ওই সোভিয়েত নাগরিক :
-- পড়ি প্রাভদা, নইলে ভাল আছি জানব কি করে?
৮।
প্রশ্ন : গণতন্ত্র ও সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের মধ্যে পার্থক্য কি ?
উত্তর : সাধারন চেয়ার ওর ইলেকট্রিক চেয়ারের মধ্যে যে পার্থক্য ।
৯।
মিলিটারি ক্যান্টনমেন্টের গোলন্দাজ বিভাগের দেওয়ালে এক বিশাল ব্যানার । তাতে লেখ : আমাদের লক্ষ্য কমিউনিজম ।
[ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য : ওদেসা শহরের গোলন্দাজ প্রশিক্ষন কলেজে এক সময় এমন একটি ব্যানার সত্যিই ছিল ]
১০।
প্রশ্ন : বিদেশের খবর রাশিয়ানরা পায় কোথা থেকে ?
উত্তর : তাস এর প্রতিবাদ থেকে ।
[ তাস = টেলিগ্রাম এজেন্সি অফ দি সভারিন স্টেটস ]
১১।
প্রশ্ন : পৃথিবীর সবচেয়ে বিলাসবহুল বৃদ্ধাশ্রম কোনটি ?
উত্তর : ক্রেমলিন
১২।
প্রশ্ন : দেশে কমিউনিজম পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হবার পর প্রেম কি থাকবে ?
উত্তর : না ।
ওই সময় যেহেতু হাতে টাকা থাকবে না, তাই প্রেমও থাকবে না ।
১৩।
প্রশ্ন : কমিউনিজম প্রতিষ্ঠিত হলে সোভিয়েত দেশে কি চুরিবিদ্যা থাকবে ?
উত্তর : না । কারন সমাজতন্ত্রের পর্যায় শেষ হতে হতে চুরি করার মতো আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না ।
১৪।
প্রশ্ন : ইলেকট্রিক শেভিং রেজার কে আবিষ্কার করেন ?
উত্তর : ইভান সিদোরভ । এবং তিনি তা আবিষ্কার করেন মার্কিন দূতাবাসের পাশ্বর্বতী ডাস্টবিনে । (!)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।