আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রদ্ধার খেসারত

অরুণালোক আমাদের পল্লীকবি জসীম উদ্দীন লিখেছিলেন- আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা আমি বাঁধি তার ঘর আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর। কবি মনের এ আক্ষেপ চিরন্তন। চিরন্তন হওয়ার পেছনের মূল কারণ হলো, কবি’রা সাধারণত: সমাজের সর্বস্তরের মানুষের দুঃখ বেদনা, হাসি কান্নাকে তাঁদের লেখনীর মাধ্যমে ফোটিয়ে তুলেন। তাঁরা মনে করেন, সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির সুখ-দুঃখই তাঁদের নিজেদের। তন্ময় শ্রেণীভূক্ত এ কবিতাটি পাঠক হৃদয়ে আলোড়ন তুলেছে, কেননা এ কবিতাটির মূল ভাব সমাজের বঞ্চিত মানুষের মনের কথা ব্যক্ত করেছে।

কবি’র দর্শন বড়ো গভীর। আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা নিজেদের সুখের কথা ভুলে গিয়ে ভালবাসার জন্য সর্বস্ব বিলিয়ে দিতেও কুণ্ঠিত হন না। নিজে রিক্ত নিঃস্ব হয়ে অপরের জন্য কিছু করার যে আনন্দ, এটা ত্যাগী না হলে বোঝা যাবে না। হৃদয়ের গভীর থেকে যে শ্রদ্ধার জন্ম নেয়, দেহ ক্ষুদ্র হলেও সে শ্রদ্ধার উচ্চতা ও আকার পর্বতকেও হার মানায়। পদার্থ বিজ্ঞানের বারো ইঞ্চি স্কেল দিয়ে শ্রদ্ধা, ¯েœহ, ভালবাসা পরিমাপ করা সম্ভব নয়।

এটা সম্পূর্ণ হৃদয় ঘটিত বিষয়। তেমনি হৃদয় আছে কার! কাউকে শ্রদ্ধা করে রাজরোষে পড়ে নিজের ক্ষতি নিজেই ডেকে এনেছেন এমন লোক কি সমাজে সত্যি আছে? আছে হয়তো। তা নইলে আবুল কালাম আজাদ সাহেবের এমন দশা হবে কেন? তবে তাঁর মতো মানুষের সংখ্যা পৃথিবীতে খুবই কম। কম হলেও এঁদের অস্তিত্ব ছিলো, আছে, থাকবেও। আর তাই এঁদের ত্যাগের মহিমা সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়ে উঠে আসে যুগে যুগে।

রূপসী বাংলার ছায়া সুনিবিড় শ্যামলে ঘেরা একটি জেলা দিনাজপুর। আবুল কালাম আজাদ এ জেলার এক কৃতি সন্তান। কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের করুণ দশা দেখে যাঁর মন ছেলেবেলাতেই কেঁদে উঠেছিলো। বাংলা মায়ের এ অবস্থা দেখে যিনি ছেলেবেলাতেই স্বপ্ন দেখতেন একজন কৃষিবিদ হওয়ার। এ স্বপ্ন পূরণ করতেই তিনি শিক্ষা জীবনের চতুর্থ স্তরে এসে ভর্তি হয়েছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে।

অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে অতি অল্প সময়েই তিনি সবার নজর কাড়তে সক্ষম হন। ছাত্রাবস্থাতেই তিনি ছিলেন রাজনীতি সচেতন। “শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি” বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এ তিনটি মূলনীতি তাঁর হৃদয়কেও নাড়া দিয়েছিলো গভীরভাবে। নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাঁর সহ-শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশোনার অনুকূল পরিবেশ পেতে পারে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাবলম্বী শিক্ষার্থীদের সাথে কিভাবে সদ্ভাব বজায় রাখা যায় এসব নিয়ে তিনি কাজ করেছেন দীর্ঘ দশটি বছর। তাঁর এ পরিশ্রম, ত্যাগ বৃথা যায় নি।

যার ফলশ্রুতিতে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ভালবাসা তাঁর হৃদয়ে ধারণ করে তিনি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি হতে পেরেছিলেন। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনের পাট চুকিয়ে জ্ঞানতাপস এ মানুষটি এলএলবি, এলএলএম, এমবিএ (ফাইন্যান্স এন্ড মার্কেটিং) এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষির উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১১তম বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সাক্ষর রাখলেন এবং এর পরেই পা রাখলেন জীবনের অন্য এক অধ্যায় অর্থাৎ কর্মজীবনে। কর্মজীবনে তিনি সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), আরডিসি, এলএও, এনডিসি, জিসিও, এডিএলজি, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এডিসি, সিনিয়র সহকারী সচিব ও উপসচিব হিসেবে দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় একজন সৎ, আদর্শ, নীতিবান হিসেবে সকলের শ্রদ্ধার পাত্র হিসেবে নিজের একটি স্বতন্ত্র আসন তৈরি করতে সক্ষম হন। ************* শ্রদ্ধা-সম্মান-ভালবাসা-¯েœহ এমনই মোহনীয় অনুভূতি যে, ¯েœহভাজন এবং শ্রদ্ধাভাজন ছাড়া এটা বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারে না।

তবে হ্যাঁ, বোঝার মতো মন যদি থাকে তো ভিন্ন কথা। কিন্তু বোঝার মতো মন ক’জনেরই বা থাকে! তেমন লোকের সংখ্যা কম বলেই হয়তোবা। তা নইলে তাঁকে কাউকে সম্মান প্রদর্শনের অপরাধে রাজরোষে পড়তে হতো না। কৌতুহলী পাঠকের জন্য বলছিÑ আবুল কালাম আজাদ শিক্ষাজীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যে আদর্শে উজ্জীবিত হয়েছিলেন, পরবর্তীতে তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন নি। ছাত্রজীবন শেষে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের চারটি মূলনীতির সাথে তিনি একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন।

মনের গভীরে যাঁর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সে এসব থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। আবুল কালাম আজাদও পারেন নি। আর পারেন নি বলেই তাঁকে তৎকালীন বিএনপি সরকার (২০০৩ সালের ৩১ জুলাই) সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশের মাধ্যমে সিনিয়র সহকারী সচিবের পদ থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী সচিব বানিয়ে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগকে ভালবাসার প্রতিদান হিসেবে এটা একটা সৌভাগ্যই বটে! কিন্তু কেন এ ডিমোশন! এরও নিশ্চয়ই একটা ইতিহাস আছে। ইতিহাসটা আর কিছু নয়Ñ গত ৩০শে এপ্রিল ২০০৩ তারিখে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা গাইবান্ধা সফর করেছিলেন।

বখাটে ছেলেদের উৎপাত সইতে না পেরে গাইবান্ধা শহরের তৃষা নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছিলো। গাইবান্ধা সফররত অবস্থায় মানবিক কারণেই শেখ হাসিনা তৃষাদের বাড়ি যেয়ে তৃষার অভিভাবককে সান্ত¦না দিতে এবং গাইবান্ধায় এক জনসভায় বক্তব্য দেন। শেখ হাসিনা যখন তৃষাদের বাড়ি যাওয়ার জন্য গাইবান্ধা সার্কিট হাউজের সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছিলেন, তখন আবুল কালাম আজাদ তাঁর প্রিয় রাজনৈতিক দলের নেতা শেখ হাসিনার পা ছুঁইয়ে কদম বুছি এবং কুশল বিনিময় করেন। কদমবুছি করার সময় তাঁর মনের কোণে উঁকি মেরে যাচ্ছিল স্বাধীন বাংলার স্থপতি, জুলিও কুরি উপাধি খ্যাত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। সেই বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে দেখে তিনি শ্রদ্ধাবনত হয়ে পা ছুঁয়ে সালাম করার অপরাধে তাকে তৎকালীন বিএনপি সরকার পদাবনতি করেছিলেন।

তৎকালীন সরকারের জন্য এটা অবশ্য দূষণীয় ছিলো না। কেননা, নিয়ম অনুযায়ী সরকারী কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী কোন ধরনের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে প্রকাশ্য অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। যদিও আবুল কালাম আজাদ সাহেবের শ্রদ্ধাবশত: শেখ হাসিনার পা ছুঁয়ে সালাম করাটা রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়েছিলো। বাংলাদেশে উদার রাজনৈতিক পরিবেশ থাকলে এটি কোন সমস্যাই ছিলো না। শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গকে কদমবুচি করায় কোন দূষণীয় নয়, এ ধরনের মানসিকতা থাকলে তাঁকে হেনস্তা হতে হতো না।

কিন্তু যা হবার হয়েছে, সরকারের দেওয়া শাস্তি আবুল কালাম আজাদ অবনত মস্তকে মেনে নিয়েছিলেন। এ জন্য তাঁর বেতনও কমে যায়, যা তাঁকে সাংসারিক জীবনে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। আবুল কালাম আজাদ হয়তো মনে মনে আশা পোষণ করেছিলেন যে, পরবর্তীতে কখনও যদি আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে হয়তো তাঁর এ দুরাবস্থা ঘুচবে কিন্তু বাস্তবে তা হয় নি। বিগত সরকারের দেওয়া শাস্তি তিনি আজও বয়ে চলেছেন। জনাব আবুল কালাম আজাদের সাংসারিক ও ব্যক্তিজীবনের এ দুরাবস্থা দেখে বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির দৈনিক যুগান্তরে “শেখ হাসিনাকে কদমবুচি করার শাস্তি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন এক কর্মকর্তা” শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিলো।

পত্রিকার পক্ষ থেকে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, একজন সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে তিনি কোন রাজনৈতিক নেতাকে প্রকাশ্যে কদমবুচি করতে পারেন কিনা। জবাবে আবুল কালাম আজাদ বলেছিলেন, “আসলে তখন আমার মাথায় এ ধরনের কোন প্রশ্ন উদয় হয় নি। বরং আমি তখন চোখের সামনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকেই দেখছিলাম। ” যুগান্তর মারফত জানতে পারা গেল, পরবর্তীতে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর, আবুল কালাম আজাদের শাস্তি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাহী আদেশ প্রদান করলেও তা বাস্তবে আজও কার্যকর হয় নি। ************* শেখ হাসিনার প্রতি তাঁর অমন শ্রদ্ধা প্রদর্শনের সময় উপস্থিত সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ অন্যান্যদের মধ্যে চাপা গুঞ্জন ও হাসাহাসি চললেও সেদিকে আবুল কালাম আজাদের কোন প্রকার দৃকপাত ছিলো না।

তার চোখের সামনে তখন বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কিছুই ছিলো না। এ এক আশ্চর্য অনুভূতি! কেননা আবুল কালাম আজাদ শেখ হাসিনাকে চিনতেন। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিপি থাকাকালীন তিনি শেখ হাসিনার সাথে দেখা হলে এভাবেই পায়ে হাত দিয়ে সম্মান জানাতেন। মনের ভেতর পুষে রাখা সেই শ্রদ্ধা কর্মজীবনের সম্মানজনক পদে অধিষ্ঠিত থেকেও তিনি ভুলতে পারেন নি। তাই গাইবান্ধা সার্কিট হাউজের সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসার সময় তাঁর প্রিয় নেতার পায়ে হাত দিয়ে সম্মান জানানোটাকে দোষের মনে করেন নি।

যদিও তিনি জানতেন, এরকম আচরণের জন্য তাকে শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু যাঁর শ্রদ্ধা বুকে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন, সামাজিক ও ব্যক্তিজীবনের বিড়ম্বনার শিকার হলেন, যে রাজনৈতিক দলের আদর্শের জন্য নিজের সুখ বিসর্জন দিলেন, যে দলের প্রেম তাঁকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে, সেই তিনিই ব্যথাহত বুকে ঘুরে ঘুরে ফিরছেন। তিনি এখনও তাঁর হৃত পদে ফিরে যেতে পারেন নি, পরবর্তী পদোন্নতি তো দূরের কথা। এই যদি আওয়ামীলীগ সরকারের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের প্রাপ্তি হয় তাহলে তাঁরা যাবে কোথায়! বলতে অসুন্দর শোনালেও সত্য যে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ একটি গণতন্ত্র মনা রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিলেও বাস্তবে সত্যিকারের গণতন্ত্রের চর্চা এখানে কতটুকু হয়, তা ভুক্তভোগিরা ভালই জানেন। এমনও দেখা গেছে, আজীবন আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মী হয়েও নির্বাচনের সময় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেকেই মনোনয়ন বঞ্চিত হয়।

মনোনয়ন দেওয়া হয় এমন সব লোককে যারা আওয়ামীলীগে অতিথি পাখি হয়ে ভিড়ে, অথচ রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের তেমন কোন অবস্থান নেই। যার ফলশ্রুতিতে কিছু কিছু জায়গায় আওয়ামীলীগের ভরাডুবি হয়েছে। অবজ্ঞা করা হয়েছে অনেক নেতা-কর্মীকে যারা আওয়ামীলীগের দুর্দিনে বিশাল ভূমিকা রেখেছিলো। শুধুমাত্র আওয়ামীলীগ সমর্থনের অপরাধে অতীতে অনেকেই লাঞ্ছনা-গঞ্জনাসহ অন্যান্য শাস্তি ভোগ করেছেন। বিরোধীদল থেকে আওয়ামীলীগ যখন সরকার গঠন করলো, তখন এসব ভুক্তভোগিরা মনে করেছিলো, এতোদিনে বুঝি তাদের দুঃখের অবসান হলো।

কিন্তু না, প্রায় তিনবছর হতে চললো আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করছে কিন্তু উচ্চপর্যায়ের কোন নেতা ঐসব ত্যাগী নেতাকর্মীদের আর কোন খোঁজ খবর নেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেন নি। বিগত বিএনপি সরকারের সময় শুধু আওয়ামী লীগ পরিচয়ে সরকারি বহু কর্মকর্তা কর্মচারির পদাবনতি বা চাকুরিচ্যুত হয়েছেন। তাঁরা তা নিরবে সহ্য করে প্রহর গুণছিলেন সুদিন হয়তো একদিন আসবে কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করেছে অথচ সেই সব প্রত্যাশিত মানুষগুলোর প্রত্যাশা পূরণ হলো না যা তাদেরকে আশাহত ও কর্মবিমূখ তো করছেই, অন্যদিকে তারা নিজেকে নিজে ধিক্কার দিচ্ছে কেন যে আওয়ামীলীগ সমর্থক হলাম! যে সমর্থন তাদেরকে মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছে এবং অনেকের কাছে হাসির পাত্র হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে। এভাবেই যদি চলতে থাকে, সত্যিকারের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের যদি মূল্যায়ন করা না হয়, তবে সেদিন খুব দূরে নয় যেদিন আওয়ামীলীগ সত্যিকারের সমর্থক, নেতা-কর্মী হারিয়ে ফেলবে যা হয়তো আগামী দিনের জন্য একটি অগ্নি পরীক্ষার সম্মুখিন হতে হবে। তারিখ: ১৮-০৫-২০১২ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.