তারুণ্যের শক্তিতে জাগুন এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল সাগর রুণি খুন হয়েছেন ১৩৫ দিন হলো। এখনো খুনীরা গ্রেফতার হয়নি। সাংবাদিক সমাজ এটি নিয়ে রাজপথে আছেন বহুদিন। সাধারণ মানুষও এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন চায়।
এই হত্যাকান্ড নিয়ে রহস্য আরো ঘনীভূত হচ্ছে। একেক জন একেক কথা বলে ঘটনাকে আরো জটিল করে তুলছেন। শেষ ফাজলামোটা করেছে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান। উল্টাপাল্টা কথা বলে নিজেকে বিতর্কিত করে তুলেছেন। (অবশ্য উনি আগে থেকেই বিতর্কিত, ইভা রহমানকে বিয়ে করা, তাকে নিয়ে বাড়াবাড়ি এবং ইত্যাদির কারণে এটিএন চ্যানেলটি তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে অনেকদিন।
)
মাহফুজুর রহমান এখন হয়েছেন তার ভাষা সাংস্কৃতির (সংস্কৃতি নয়) ধারক বাহক।
সাগর রুটি সম্পর্কে রুচিহীন কথা বলতে গিয়ে তিনি ফেসে গেছেন। নিজের ইমেজে নিজেই পেরেক ঠুকেছেন, নিজের জালে নিজেই বন্দী হচ্ছেন।
তার কথার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা মানববন্ধন করতে গেলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে। অতি উতসাহী কেউ কেউ মাহফুজুর রহমানের সমালোচনা করতে গিয়ে এটিএন বাংলার সংবাদকর্মীদেরও দোসর বলে ফেলেন।
কথাটি কতটা সঙ্গত সেটি সাংবাদিকরাই বিচার করবেন। আর এটির প্রতিবাদ করতে গিয়ে এটিএন এর সংবাদকর্মীরা দ্বন্দ্বে বা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। একে হয়ে ওঠেন অপরের প্রতিপক্ষ।
সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা (দু এক জনের খারাপ উদাহরণ বাদ দিলে) সেক্ষেত্রে এর মধ্যে বিভাজন অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন আরেকজনের উপরে চড়াও হবে এবং এক পক্ষ অপর পক্ষকে তাড়িয়ে বেড়াবে এর কোনোটিই কাঙ্খিত নয়।
আবার যারা এটিএন এ কাজ করে বলেই তারা দোসর একথা বলাও সঠিক কিনা সেটা বিচার করা প্রয়োজন। এটা মনে রাখা দরকার রুনি নিজেও এটিএন এর কর্মী ছিলেন। তার হত্যাকান্ডে তার সহকর্মীরা অনেক বেশি কষ্ট পাবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার জন্য তাদের যদি কেউ দায়ী করে তাহলে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
এখানে যে বক্তব্য এসেছে তা বিশ্বাস থেকে এসেছে বলে আমি মনে করি না।
বরং প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্যই এসেছে (যা আমাদের রাজনীতিকরা করেন) । আর এই কথাতে এত উত্তেজিত না হলেও পারতেন এটিএন এর কর্মীরা।
এখন কি হলো: মানুষ দেখলো সমাজের সবচেয়ে সচেতন অংশ মারামারি করছে। এই মারামারিতে লাভবান হবে স্বার্থান্বেসী মহল, আর এর মাধ্যমেই চাপা পড়বে সাগর রুণি হত্যার আসল রহস্য।
এই ঘটনায় কেউই জিতলেন না।
বরং হেরে গেলেন উভয় পক্ষই। যা আমাদের কারো প্রত্যাশা নয়।
সাগর রুণি এখন পরষ্পর বিরোধের উপাদান মাত্র। কেউ এই হত্যারহস্য উন্মোচিত হোক তা চায় বলে মনে হয় না। এটা এখন ইস্যু হিসেবে টিকে থাক এটাই যেন সকলের প্রত্যাশা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।