সাগর শুকিয়ে গেল। আর কখনোই এই সাগরে পানি থাকবে না। আর এই কারণেই সাগরে প্রাণও মেলবে না। কিন্তু সাগর জানে না তার এভাবে হঠাৎ করে শুকিয়ে যাওয়ার কারণে কতজনই না কষ্ট পেয়েছে। এই সাগর নোনা পানির কোন সাগর নয়।
আমাদের প্রিয় সাগর সারোয়ার ভাই। শুক্রবার দিবাগত রাতে পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় সাগর ভাই ও তার স্ত্রী মেহের’ন র’নী নৃশংসভাবে নিহত হন।
সকাল পৌনে নয়টার দিকে ঘুম থেকে উঠে নিত্যদিনের অভ্যাসমত টেলিভিশন খুলে চ্যানেলগুলোর একের পর এক দেখতে থাকলাম। হঠাৎ একটি বাংলা চ্যানেলের নিচের স্ক্রোলে দেখলাম সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও র’নী খুন হয়েছে। প্রথমে বিশ্বাস করতেই পারছিরাম না।
পরপর সবকটি বাংলা চ্যনেল দেখলাম। একই খবর। শুধু একটা লাইন। বিস্তারিত কিছুই জানা যাচ্ছে না।
সাগর ভাই ছিলেন নম্র-ভদ্র ও নিরীহ গোচের মানুষ।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের রিপোর্টার হিসেবে দেশের অনেক নামকরা সংবাদপত্রে তিনি কাজ করেছেন। মাঝে বছর খানেক আগে তিনি জামার্ন বেতার ডয়েচ ভেলের কাজ ছেড়ে দেশে ফিরে মাছরাঙা টেলিভিশনে বার্তা সম্পাদক হিসেবে দেশের কর্মজীবন শুর’ করেন। জ্বালাণী খাত ছাড়াও দেশের পার্বত্য অঞ্চল, নৃতাত্ত্বিক জাতি গোষ্ঠি নিয়েও তিনি অনেক রিপোর্ট করেছেন।
আমি সাগর ভাইকে চিনি ২০০১ সাল থেকে। আমি তখন ঢাকায় একটি সাপ্তাপহিক পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুর’ করি।
তখন তিনি যুগান্তরে কাজ করছেন। একদিন যুগান্তরের মতিঝিল অফিসে তার সঙ্গে পরিচয় হয়, অন্য কোন সাংবাদিকের মাধ্যমে। ওই সাংবাদিকের নামটা এই মুহূর্তে স্মরন আসছে না। সাক্ষাতেই আমাকে ‘তুমি’ সম্মোধন করে বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে জিজ্ঞেস করল নাম কি, কোথায় কাজ কর ইত্যাদি প্রশ্ন। তবে এই ফাকে চা পর্বে অংশ নেয়ার জন্য বলতে তিনি ভুলেননি।
চায়ের ফাকে ফাকে কত কথা................................
সাক্ষতের দুই বছর পরে আমি একটি দৈনিক পত্রিকায় যোগদান করি। সেখানে আমাকে জ্বালানী খাত নিয়ে রিপোর্ট করতে হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালাণী খাত হচ্ছে একেবারে টেকনিক্যাল একটি খাত। এই খাতের রিপোর্ট করতে হলে পড়াশুনা করতে হয়। যদিও অন্যান্য খাতেও পড়াশুনা করতে হয়।
তো সে সময় আমি তার কাছে যখন যেই মুহূর্তে যেকোন বিষয়ে জানতে চেয়েছি, তিনি বিরক্ত হননি। বরং আমাকে সাহায্য করেছেন।
সর্বশেষ সাগর ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির বনভোজনে। একই সঙ্গে দেখা হয় তারি স্ত্রী র’নি আপা ও সস্তান মেঘ’ও সঙ্গে। অনেক কথা হয় ওেসসদিন সাগর ভাইয়ের সঙ্গে।
তার এবং তার ছেলের একসঙ্গে অনেক ছবি তুলে দিই। এরপর একদিন ফোনে কথা হয়।
কিন্তু এখন আর কথা হবে না। কারণ তিনি চলে গেলেন একটি নৃশংস হত্যাকান্ডের মধ্যদিয়ে।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের ধারণা, খুনি অপেশাদার (সুত্র :বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন নাহার রুনির মরদেহের ময়নাতদন্তের পর ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, খুনি অপেশাদার বলেই আঘাতের ধরন দেখে মনে হয়েছে তাদের।
শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি। র্যাবের গোয়েন্দাদের ধারণা এ হত্যা পরিকল্পিত, খুনি পূর্ব পরিচিত।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্তের পর ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. সোহেল মাহামুদ সাংবাদিকদের বলেন, দুজনের শরীরেই ছুরি ও ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
“আঘাতের ধরন দেখে আমাদের মনে হয়েছে, খুনি অপেশাদার কেউ”, বলেন তিনি।
লাশের ময়নাতদন্তকারী এই চিকিৎসক জানান, সাগরের দেহে ১৯টি বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল।
এছাড়া ছোটখাটো আরো ২০-২৫টি কাটা দাগ পাওয়া গেছে।
“তার বুকের বাম পাশে একটা ছুরির ৮০ ভাগ গেঁথে ছিল। এখানে সেটা বের করা হয়েছে। ছুরির বাট ছিল না। ”
রুনির পেটে বড় ধরনের দুটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে জানিয়ে সোহেল মাহামুদ বলেন, “রক্তনালী কেটে যাওয়ায় তার মৃত্যু দ্রুততর হয়েছে।
”
ময়নাতদন্ত শেষে এই সাংবাদিক দম্পতির মরদেহ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের প্রথম জানাজায় অংশ নেন এই দুই সাংবাদিকের সহকর্মী, রাজনৈতিক নেতা ও স্বজনরা।
তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবীর নানক, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের শিরিন আখতারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিক সংগঠনের কর্মীরা এ সময় সাগর-রুনির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
ডিআরইউর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশাহ বলেন, “এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মাছরাঙা ও এটিএন বাংলা কার্যালয়ে। সেখানে দুটি জানাজার পর পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডে নিয়ে যাওয়া হবে দুজনের কফিন।
সেখানে আরেকটি জানাজা শেষে সাগর আর রুনিকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। ”
এই দম্পতির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ‘দোষীদের’ খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, গভর্নর আতিউর রহমান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকসহ অনেকেই।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জাকির হোসেন মোল্লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার রাতে কোনো এক সময় খুন করা হয় সাগর-রুনিকে।
শনিবার সকাল ৭টার দিকে সাগর-রুনির পাঁচ বছর বয়সী ছেলে মেঘ ঘুম থেকে উঠে বাবা-মায়ের শোবার ঘরে গিয়ে তাদের লাশ দেখতে পায়।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান জিয়াউল আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, ঘটনা পরিকল্পিত। হত্যাকারীরা পূর্বপরিচিত বলেও আমাদের মনে হয়েছে। ”
এ ঘটনায় ওই ভবনের নিরাপত্তা প্রহরী পলাশ রুদ্র পাল ও কেয়ারটেকার আবু তাহেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া রুনির দুই ভাই নওশের আলম ও নওদিশ আলমকে সদরদপ্তরে নিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
‘হত্যা পরিকল্পিত, খুনিরা পরিচিত’
রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হয়েছেন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। র্যাবের গোয়েন্দাদের ধারণা এ হত্যা পরিকল্পিত, খুনিরা পূর্ব পরিচিত।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জাকির হোসেন মোল্লা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শুক্রবার রাতে কোনো এক সময় তাদের খুন করা হয়। এ ঘটনায় ওই বাসার এক নিরাপত্তা প্রহরীকে আটক করেছে পুলিশ।
ওসি জানান, শনিবার সকাল ৭টার দিকে সাগর-রুনির পাঁচ বছর বয়সী ছেলে মেঘ ঘুম থেকে উঠে বাবা-মায়ের শোবার ঘরে গিয়ে তাদের লাশ দেখতে পায়।
এরপর সে টেলিফোনে বিষয়টি নানীকে (রুনির মা) জানায়।
সকালে পুলিশ আসার পর দেখা যায়, শোবার ঘরের মেঝেতে দুজনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। সাগরের হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। দুজনেরই শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ওসি জানান, ঘরের জিনিসপত্র ছিল এলোমেলো, ড্রয়ারগুলো ছিল খোলা।
তবে ল্যাপটপ ও ক্যামেরার মতো দামি জিনিসপত্র ঘরেই পাওয়া গেছে। মূল্যবান কিছু খোয়া যাওয়ার কোনো তথ্য আমরা এখনো পাইনি। তবে রান্নাঘরের জানালার একটি গ্রিল কাটা দেখা গেছে।
র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান জিয়াউল আহসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, ঘটনা পরিকল্পিত। হত্যাকারীরা পূর্বপরিচিত বলেও আমাদের মনে হয়েছে।
”
পশ্চিম রাজাবাজারে ৫৮/এ/২ নম্বর হোল্ডিংয়ে পাঁচতলা ভবনটির পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে ছেলেকে নিয়ে থাকতেন সাগর-রুনি দম্পতি। তাদের খুন হওয়ার খবরে সকালে আশেপাশের মানুষ এবং গণমাধ্যম কর্মীদের ভিড় জমে যায়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং বিশেষ সহকারী (মিডিয়া) মাহাবুবুল হক শাকিল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, পুলিশের মহা পরিদর্শক হাসান মাহামুদ খন্দকার, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার বেনজির আহমেদসহ অনেকেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান তারা।
কয়েক বছর জার্মানির রাষ্ট্রায়াত্ত গণমাধ্যম ডয়চে ভ্যালে রেডিওতে কাজ করার পর গত বছরের শুরুতে দেশে ফিরে মাছরাঙায় যোগ দেন ৩৬ বছর বয়সী সাগর সরোয়ার।
এর আগে সংবাদ, দৈনিক যুগান্তর ও ইত্তেফাকেও কাজ করেছেন তিনি।
স্বজনরা জানান, সাগরদের পৈত্রিক বাড়ি ঢাকার নবাবপুর রোড। চার বোন এক ভাইয়ের মধ্যে এক বোন এখন ওই বাড়িতে থাকেন।
রাজাবাজারে এই দম্পতির বাসার কাছেই আরেকটি বাসায় থাকেন রুনির বাবা-মা। এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনি এর আগে সংবাদ, যুগান্তর ও চ্যানেল আইয়েও কাজ করেছেন।
এই দম্পতির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।
‘কান্নার শব্দ শুনেছিলেন একজন’
পুলিশের তেজগাঁও জোনের উপ কমিশনার ইমাম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ওই বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী পলাশ রুদ্র পালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। সে জানিয়েছে, সাগর শুক্রবার বাসায় ফেরেন রাত ২টার দিকে। এরপর অপরিচিত আর কাউকে সে বাসায় ঢুকতে দেখেনি।
“তবে পলাশ বলেছে, ফজরের নামাজের কিছু আগে ওই ভবনের মালিক সমিতির সভাপতি মো. নুরুন্নবী তাকে টেলিফোন করে বলেছিল, তিনি নাকি ওপরে কান্নার শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
নুরুন্নবী সাগরদের ঠিক নিচের ফ্ল্যাটেই থাকেন। ”
সাগরের সহকর্মী মাছরাঙা টেলিভিশনের প্রতিবেদক জোবায়ের আহমেদ জানান, রাত দেড়টা পর্যন্ত অফিসেই ছিলেন সাগর।
“আমারও কাল রাতে ডিউটি ছিল। একটার পরও তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সকালে এই ঘটনা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে যাই”, বলেন জোবায়ের।
ঘটনার তদন্তে বেলা ১১টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
উপ কমিশনার ইমাম হোসেন বলেন, “রান্নাঘরের গ্রিল কাটা থাকায় ১ ফুট ৮ ইঞ্চির মতো ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে। ওই জায়গা দিয়ে একটা বাচ্চা ভেতরে ঢুকতে পারবে। এ বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ”
সাগর-রুনির পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা হামিদা সুলতানা জানান, রুনিদের বাসায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর কথাবার্তার শব্দ শুনে তার ধারণা হয়েছিল- বাসায় মেহমান এসেছে।
তবে ভবনের গেইটে নিরাপত্তারক্ষীদের লগবুকে শুক্রবার কোনো অতিথি আসার তথ্য পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিকদের প্রতীকী কর্মবিরতি
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার এবং মেহেরুন রুনির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা প্রতীকী কর্মবিরতি পালন করেছেন।
শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে প্রেসক্লাবের মূল ফটকের সামনে প্রায় ১৫ মিনিটের এ প্রতীকী কর্মবিরতিতে নেতৃত্ব দেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রধান রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিবেদক সুমন মাহমুদ।
এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রায় অর্ধশত সাংবাদিকরা এতে অংশ নেয়। এরা হলেন-বৈশাখী টেলিভিশনের শফিক আহমেদ, বাংলাভিশনের শাহ সিকান্দার রেহমান, এবিসি রেডিওর জিলহাস উদ্দিন নিপুন, ইটিভির তাপসী রাবেয়া, এটিএন নিউজের জাভেদ আক্তার, জনকণ্ঠের শরীফল ইসলাম, দিনকালের মুস্তাফিজুর রহমান, ইমলামিক টিভির মাহমুদুর রহমান রুবেল প্রমুখ।
শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরোয়ার এবং তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। র্যাবের গোয়েন্দাদের ধারণা এ হত্যা পরিকল্পিত।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।