এক সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্দালয় পড়ুয়া সাগর আমার ছোটবেলার বন্ধু। সে খুবই মজাদার পাব্লিক। আড্ডার ছলে সে আমাদের সাথে প্রতিনিয়তও মজা করে। তার এই মজার জন্য আমাদের আড্ডা সবসময় মুখরিত থাকে। সে যে কাউকে হাসির খোরাক বানাইতে পারে ।
সে এমনি এক কমেডিয়ান চরিত্ত যাকে নিয়া লিখাও যায় এবং হয়ত নাটকও বানানো যাইতে পারে । আমি সাগর ১ এ তার কিছু মজাদারর মূহুর্ত তুলে ধরছি যাতে আপনারাও পড়ে মজা পান ।
একদা এক আড্ডার সময় সুজন আসে । তাকে জিজ্ঞেশ করলাম কথায় ছিলি । সে খুবই হাসিমুখে বলল -
- নওশিন কে নিয়া একটু বাইর হইছিলাম ......আজকে ঢাকা শহরে রিকশা ভমন করসি...... নওশিন আসার সময় আমাকে জোর কইরা দুইটা বডি স্প্রে কিনা দেয়।
- ওহ তাই নাকি ...জটিল ত ।
আমরা সবাই সুজন রে দেইখা অনুভব করতাছিলাম যে প্রেম কত মজার । হঠাত সাগর বইলা উঠল -
- আরে জানস না ওর গার্লফ্রেন্ড ওরে বডি স্প্রে কিনা দিসে কে
- কে দোস্ত কে
- আরে বেটা ...যখন কোন মাইয়া রিকশায় উইঠা দেখে যে তার লগে পোলাটা তুলার মধ্যে আতর মাইখা কানে দিয়া রাখসে ত অরে বডি স্প্রে কিনা দিব না ত কি আমগরে কিনা দিব ।
হা হা হা হা ......দশ থেকে পনেরজনের একটা হাসির কলরব উঠল......বেচারা সুজন ।
এভাবেই সাগর সাবলীলভাবে কথা বলে যেটা ছিল খুবই এক্সপারটনেসস ।
তো একদিন এক ফ্রেন্ড সোহান কথায় কথায় কি কারনে জানি বাজি ধরতে চাইল -
- আয়......এক লিটার আর সি বাজি ধর তাহলে...
- আজব তো...তুই মনে হয় আর সি খাস ? ( সাগর )
- কে...আর সি খামু না কে...আর সি তো সবাই খায়
- কি কস ...কালকে তর বাপ রে দেখলাম দুইটা ভারজিন নিয়া যাইতে......একটা ভারজিন কিনলে একটা ফ্রী দেয় ......এটা তুই জানস না ।
- সাগর...মামা ......ভুল হইয়া গেছে......মামা তুই চুপ থাক ...বাজি ধরুম না ।
- অই অই তোরা জানস ......সোহান যে মাটির বাঙ্কে টাকা জমায় ।
- না ত...এটা তো কহনও হুনি নাই ।
- হালায় টাকা জমায়া প্রতি সপ্তায় রমনা পার্কে গিয়া সূপ খায়
- আবার কয় আর সি বাজি লাগব.........হালায় আসলেই একটা বস্তি ।
হো হো ঠিক কইছস সাগর ......হালাই একটা বস্তি ।
- মামা ......ভুল হইয়া গেছে...আর পচাইছ না ।
- ঠিকাছে একটা আর সি কিন্না আন......আর কিছু কমু না ।
এই হল সাগর ...হাসতে হাসতে সময় পার । যতটা না তার কথা ততোটাই হাসি পায় তার বাচনভঙ্গি দেখে ।
একবার আমার পানি পিপাসা লাগলে সাগররে কই
- বন্ধু চল হোটেল এ যাই...পানি খাইয়া আসি ।
- হোটেল এ যাবি কেন.........সাথির বাসা থেকে এক বোতল ঠান্ডা পানি নে
- কি কস.........সাথির মায়ে পানি দিবো নাকি......চল হোটেল এ চল ।
- কেন দিবে না একশ বার দিবে.........ভাইয়ের সাথে চল ......দেখ
সাগর যখন বলসে....আর মানা করতে পারলাম না.....গিয়া দেখি হইতেও পারে ।
- চল বন্ধু
- আন্টি.....সামালাইকুম...কেমন আছেন । (বারান্দায় )
- এই ত ভাল ।
( খুবই গম্ভির হয়ে )
- আন্টি কি আচার শুকাচ্ছেন......আন্টি আপনার আচারের কিন্তু অ...নে...ক সুনাম শুনেছি ......এবার কিন্তু আমাদের আচার খাওয়তে হবে ।
- আচ্ছা খাওয়বনি ।
আমি সাগরের পাশে দাঁড়িয়ে এক গাল হাসি নিয়ে সাথির আম্মার দিকে চেয়ে আছি......আর এদিকে সাগরে কথা বলার মাঝখানে দরজার দিকে উকি মেরে সাথি কে দেখার বৃথা চেষ্টা চালাচ্ছে ।
- আন্টি ......। এক বোতল ঠান্ডা পানি দেওয়া যাবে ।
- দাড়াও দিচ্ছি ।
- দেখছো......বলসি না ...ভাই গেলে পানি দিব ।
- হ বন্ধু ...ঠিক বলস ।
প্রায় দশ মিনিট পর সাথির আম্মা পানি নিয়ে আসলো । সাগর খুব খুশি হয়ে - আন্টি ......আপনি কষ্ট করে আনলেন কেন...বাসাই কি আর কেউ নাই ।
এটা কি কইলি সাগর......সাথে সাথে সাথির আম্মার চেহারা চেংজ হইয়া গেল ।
- আছে কেন
- না এমনেই.........আপনি আনলেন ত ...তাই ...যাই আন্টি ।
হাসি সংবরন কইরা আমি আর সাগর ধূর্ত সেখান থেকে চলে আসি । আর আমি মনে মনে বলি ওরে সাগর চুপ থাক ......আর কত হাসাবি রে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।