আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নেটওয়ার্কিং - ২

প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। Pre-Networking Issues নেটওয়ার্কিং আরম্ভের মূল কারণ ছিলো সবাই মিলে (বিশেষ করে সুশিক্ষিত লোকদের মাঝে) তথ্য শেয়ার করা। বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষকেরা যখন পরষ্পরের মাঝে তথ্য বিনিময় করতে চাইলো, তখন প্রথম ভিন্ন ডাম্ব টার্মিনালগুলোর মাঝে যোগাযোগ গড়ে তোলার আইডিয়া নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা শুরু হলো। এতে দুইটি সমস্যা পাওয়া গেলো - একটি ইউনিভার্সিটির মেইনফ্রেম থেকে ১০০ মাইল দূরের অন্য আরেকটি ইউনিভার্সিটির সংযোগ সম্ভব কীভাবে এবং ভিন্ন ইউনিভার্সিটি ভিন্ন কোম্পানীর মেইনফ্রেম ব্যবহার করায় ভিন্ন রকমের মেইনফ্রেমের সংযোগ সম্ভব কীভাবে? প্রথম সমস্যা দূর করার জন্যে সবার মাথায় টেলিফোনের নাম আসলেও একটি নতুন ডিভাইস আবিষ্কার করা হয় যাকে বলা হয় মোডেম। এই মোডেম দিয়ে দুই জায়গায় অবস্থিত দু'টি ডাম্ব টার্মিনালকে ফোন লাইনের মাধ্যমে সংযুক্ত করা সম্ভব হয়।

পুরাতন মোডেমগুলি সেকেন্ডে ১৫০টির বেশি ক্যারেক্টার পাঠাতে বা গ্রহণ করতে না পারলেও তখনকার সময়ে এটিই ছিলো যথেষ্ট। রিমোট টার্মিনাল সে সময়ে ভালো কাজ করলেও দিনে দিনে আরো নতুন টার্মিনালের ব্যবহার আরম্ভ হয়। কিন্তু যতই টার্মিনালের সংখ্যা বাড়তে থাকে, ততই নতুন সমস্যা দেখা দিতে থাকে। ভিন্ন রকমের মেইনফ্রেমের ভিন্ন রকমের টার্মিনালের দরকার হতো। নানান সময়ে, একটি স্কুলের ৫/৬ রকমের টার্মিনাল লাগতো তাদের মেইনফ্রেমগুলো অন্য স্কুলের সাথে সংযোগ দেয়ার জন্যে।

এর মধ্য দিয়ে আরেকটি নতুন জিনিসের শুরু হয় যেটি হচ্ছে: ক্রস-প্লাটফর্ম সাপোর্ট (Cross-platform support)। টার্মিনাল ম্যানুফ্যাকচারগুলি স্ট্যান্ডার্ড ডেভেলপ করা আরম্ভ করে যা বিভিন্ন কোম্পানীর টার্মিনালগুলোকে ভিন্ন রকমের মেইনফ্রেমের সাথে যোগাযোগ গড়ে তুলতে সক্ষম করে তোলে। এর মাধ্যমে, রিমোট লোকেশনে একজন প্রফেসর বা রিসার্চার একটি টার্মিনাল ব্যবহার করে বিভিন্ন মেইনফ্রেমের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়। নেটওয়ার্কিং আবিষ্কারের ক্ষেত্রে এটি খুব দরকারী একটি আইডিয়া ছিলো। এক মেইনফ্রেম থেকে আরেক মেইনফ্রেমে যোগাযোগ আরম্ভ হওয়ার পর যেটির ভাবনা আসে সেটি হচ্ছে এক মেইনফ্রেম থেকে অন্য মেইনফ্রেমে যোগাযোগের বদলে অন্য মেইনফ্রেমটি যে রিসোর্স আছে সেটি শেয়ার করা যায় কীভাবে।

এই আইডিয়া থেকে উদ্ভব হয় ইলেক্ট্রিক মেইল বা ইমেইলের যার মাধ্যমে এক জায়গার প্রফেসর অন্য আরেক জায়গার প্রফেসরকে কোনো ডকুমেন্ট পাঠাতে সক্ষম হয়। এভাবে একটির পর একটি ভাগ উন্নতির পর যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম প্র্যাকটিক্যাল নেটওয়ার্ক স্থাপিত হয় যেটি হচ্ছে আরপানেট (ARPANET)। (চলবে) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.