প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। Networking
একাধিক কম্পিউটার যখন পরষ্পর বিভিন্ন তথ্য বিনিময় করে তখন সেটাকে নেটওয়ার্কিং বলে।
কম্পিউটার আরম্ভের যুগে, অনেক বড় কম্পিউটার যেগুলোকে মেইনফ্রেম বলে ডাকা হতো সেগুলো বেশি কর্মক্ষম ছিলো না। সেগুলোর কীবোর্ড বা মনিটর পর্যন্ত ছিলো না। বেশিরভাগ কাজ সম্পন্ন হতো পান্চ কার্ড বা ম্যাগনেটিক টেপের মাধ্যমে।
মানুষেরা দীর্ঘ সময় লাইন ধরে যার যার নিজস্ব পান্চ কার্ড নিয়ে দাড়িয়ে থাকতো, এরপর লাইন ধরে কাউন্টারে পৌছালে কাউন্টারের পেছনে একজন লোককে নিজের একটি কাজ করতে দিতো। এক ঘন্টা বা একদিন পর এসে নিজের কাজ ও পান্চ কার্ড নিয়ে যেত।
কিছুদিনের মাঝেই মেইনফ্রেম CRT টার্মিনাল ব্যবহার করা আরম্ভ করলো যেখানে কীবোর্ড রয়েছে। এগুলি কোনো রকমের নেটওয়ার্ক ছিলো না, এগুলিতে কোনো অ্যাপ্লিকেশন ছিলো না। এমনকি সিপিইউ বা কম্পিউটার চিপসও ছিলো না।
এগুলিতে শুধুমাত্র ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস হিসেবে কিবোর্ড ও মনিটর ছিলো। সেকারণেই সেই পুরোনো ডিভাইসগুলিকে ডাম্ব টার্মিনাল নামে ডাকা হতো।
১৯৭০ সালের দিকে অপারেটিং সিস্টেমের উন্নতি হওয়ার কারণে ডাম্ব টার্মিনালে কমন ডাটার ব্যবহার শুরু হলো। কিন্তু তখনও নেটওয়ার্কিং আরম্ভ হয়নি কারণ প্রতি ডাটা আলাদা কম্পিউটারে থাকতো। (চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।