মনে রবে দীর্ঘশ্বাসে, আর ১মিনিট নীরবতায়....! প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্ব
তৃতীয় পর্ব
চতুর্থ পর্ব
পঞ্চম পর্ব
ষষ্ঠ পর্ব
সপ্তম পর্ব
আমার দুর্বলতার দিকগুলো এরিক এবং আমার দুজনের কাছেই ধরা পড়ে গিয়েছিলো তাই কথা বন্ধ হয়ে যায় । টুকটাক কথা হতো, আমি বুঝতে চেষ্টা করলাম এরিকের প্রতি অনুভূতির গভীরতা কতটুকু আমার । সবকিছু মিলিয়ে আমার স্মৃতিতে ওর সাথে কাটানো সময়টুকুর আনাগোনা বেশি দেখা দেয় ।
একসময় সেটা অনেক পরে হোক আমি আর এরিক এটা নিয়ে কথা বলি । এরিক যথেষ্ট অনেস্ট একটা ছেলে, সে আমাকে সরাসরি বলে আমিও খুব সহজেই আমার অনুভূতিগুলো ওকে বলে এই সিদ্ধান্তে আসি এটা সম্ভব না, একতরফাভাবে তো নয়ই ।
এরিক যদি চায় তাহলেই কোন একদিন এই সম্পর্কটা সম্ভব, কিন্তু এরিক চাইতো আমি ভালো থাকি, সেটা কি আমার জন্য অনেক কিছু নয়?
ওর ভয় ছিলো এই সম্পর্কটা ও টানতে পারবেনা, এতে কষ্ট পাবো আমি । যেখানে কুম্ভকর্ণ চলে যাওয়ার পর আমার বেহাল দশা হয়েছিল, এরিক আর রিস্ক নিতে চায় নি
আমার দেখা অসম্ভব ভালো ২য় ছেলে এই এরিক...
আমি মনেহয় ভালো আছি, উহু আমি আসলেই ভালো আছি ।
এরপরের গল্পটুকু সুখের, আমি দারুণ কিছু কাছের মানুষ পেয়েছি । ফেবুতে যে পেইজ 'ভালবাসার গল্প' তে লিখতাম, ওরা আমাকে অনেক আপন করে নিয়েছে । একটু একটু করে অনেকের সাথে পরিচয় এবং আশ্চর্য্যের ব্যাপার হলো এরা সবাই ভীষন আন্তরিক, আমি তাদের পরিবারের সদস্যদের মত ।
সামুতে যখন এসেছিলাম, শুধুমাত্র কমেন্ট করার লোভে । ধীরে এখানকার কিছু মানুষ আমার প্রিয় হয়ে গেলো ।
প্রিয়তম (প্রিয়তমা বলাই ভালো) কেউ একজন অবশ্যই আছে, যে প্রতিটা মুহুর্তে পাশে ছিলো পাশে আছে । আমার কান্না যাকে কষ্ট দেয়, যে চায় আমি প্রতিটা মুহূর্তে ভালো থাকি সব প্রতিকূলতা পার হয়ে । আমাকে সে জড়িয়ে রেখেছিলো ভীষন ভালোবাসায়, যতটা না বোন হয়ে তারচে বেশি বন্ধু হয়ে ।
এত ভালোবাসায় থেকে একজন খারাপ থাকে কি করে বলুন তো?
হৈ হুল্লোড় করে বাঁচতে শিখেছি, গলা ছেড়ে গাইতে শিখেছি । আগের মত প্রতিটা কথায় বলি না যে মরে যেতে ইচ্ছে করে...
সময় ক্ষত সারায়নি আমার, আমি ক্ষত পুষে রেখেছি । আমার ব্যাথা আমারই থাকুক না, আমি প্রচণ্ড কষ্টে থাকলেও ভালো থাকতে চাই কারণ একটা সময় আমি একা ছিলাম, তখন আমার কষ্টে কারো কিছু যায় আসতো না । এখন যায় আসে, আমার কষ্টে আমার প্রিয় মানুষেরা কষ্ট পায়, তাই কষ্ট করে হলেও জানান দেই এই পাগলাটে মেয়েটা ভালো আছে
স্টাডি চলছে দূর্দান্ত গতিতে, আর আমিও চলছি আমার মত করে । কৈশোর আমার শেষ হয়নি কিন্তু কিশোরীবেলা সিরিজটা এই পর্বের মাঝে দিয়েই শেষ করে দিতে চাচ্ছি ।
হয়তো এটাই শেষ লেখা, কারণটা সাক্ষাত্কারে আছে । কিশোরীবেলা লেখার পর এতটা রেসপন্স পাবো তা ভাবিনি, আমি দেখতাম এই হাবিজাবি লেখাও মানুষ শেয়ার দিয়েছে । আমার ইচ্ছে ছিলো শেষপর্বে আরেকটু বিস্তারিত লেখার, কিন্তু পারলাম না কেনো যেনো!
নিজের দুঃখগাথা অনেক শুনিয়েছি, আসলে এই স্মৃতিগুলো আমার ভীষন প্রিয় । আমি বেঁচে আছি কাছের মানুষদের নিয়ে, বইয়ের পাতায়,ছবির হাটের আড্ডায়, মেটালফ্রিক হয়ে, ইনসমনিয়াক হয়ে গত ৪বছরের প্রতিটা রাত জেগে.,
বেঁচে আছি কুম্ভকর্ণ আর এরিকের স্মৃতিকাতরতায়. . .
আর নিজের কাল্পনিক মেয়ে....মৃন্ময়ীর মাঝে!
উত্সর্গ : আমি কিশোরীবেলা সিরিজের কোন পর্ব তো দূরের কথা আমার কোনো গল্প আমি কাউকে উত্সর্গ করিনি । কিন্তু আজকের এই শেষ পর্ব আমার এক প্রিয় বন্ধুকে উত্সর্গ করছি ।
চাইলে তাকে নিয়ে ব্লগে একটা পোস্ট দেয়া যেতো, কিন্তু এক ঢিলে ২পাখি মারতে চাইছি ।
ব্লগে খুব দ্রুত আমার ভালো বন্ধু হয়ে যাওয়ার তালিকায় একজন ছিল প্লিওসিন অথবা গ্লসিয়ার । সবচে মজার ব্যাপার এই ছেলেটা যখন আমার বন্ধু হয় আমি এর কোন লেখা পড়িনি এমনকি ব্লগে নাহোলের সম্পর্কে কে কি ভাবে তাও জানতাম না ।
নাহোল আমার বন্ধু এই ব্যাপারটা অনেকের পছন্দ ছিলো না কিন্তু আমি জানতাম এই ছেলেটা কতটা ভাল বন্ধু হতে পারে । যদিও নিজেকে সে স্বার্থপর দাবি করে থাকে ।
নাহোলের সাথে আড্ডা দিয়ে একটা মজার ব্যাপার জেনেছি যেটা ওর সাথে দেখা হলে যে কেউ বুঝবেন । সে ব্লগের ফিমাস কবি, বন্ধু বলেই কিনা জানিনা ওর সব কবিতা আমার ভাল্লাগে, খিক (মনে হয় আমি কবিতা বুঝিনা) । অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমাদের ঝগড়া লাগে, এবং আমার সারাজীবন মনে থাকবে নাহোল আমাকে একটা থাপ্পড় দিসিলো :'(
যাইহোক এই বদ পোলার এত গুনগান গাওয়ার কোন মানে হয় না তবুও গাইতেছি কারণ আজকা পোলাটার বার্থডে ।
কি করবে করে জানিনা তবে শুভ জন্মদিন প্লিগ্ল!
তোর বার্থডের আগে তোর সাথে আমার ঝগড়া হয়নাই এই খুশিতে একটা পার্টি দিস, খিদা লাগছে রে
হ্যাপি বার্থডে এগেইন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।